দৈনিক আজাদীর নান্দনিক আয়োজন

হৈমন্তী তালুকদার

| শনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:১৫ পূর্বাহ্ণ

কিছু লিখতে গেলে আগে ভাবতে হয়, আমরা যারা লিখি আবেগ থেকে ভালোবেসে লিখি। মন থেকে সায় না দিলে চাইলেও কেন জানি লেখাটা মনের মতো হয় না। বলছি প্রিয় আজাদীর কথা। কাগজ জড়বস্তু হলেও পত্রিকার কাগজও জীবন্ত হয়ে উঠে গুণী লেখকদের কলমের দক্ষতার আবেগে। কথাবলে প্রতিটি শব্দরা, হাসি কান্নায় ভরে থাকে পুরো এক একেকটা পাতা। প্রিয় আজাদীর ৬৩তম জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক শ্রদ্ধেয় এম এ মালেক সেই গুণীজন, আপনাকে অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাই। যিনি দৈনিক আজাদীকে ভালোবেসে, আজাদীকে জাতীয় পত্রিকা হিসেবে না নিয়ে শুধুমাত্র চট্টগ্রামের পত্রিকা হিসেবে একটি ভালোবাসার কাগজ উপহার দিয়ে চলেছেন যুগ যুগ ধরে। প্রিয় পত্রিকাটি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মানসে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন এতোগুলো বছর। একজন পাঠক হিসেবে আগে থেকেই আমি এই পত্রিকার ভক্ত ছিলাম। আজাদীর সাথে আমার সখ্যতার শুরুর কিছু স্মৃতি ও লিখতে চাই একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। ২০২০ সাল থেকে সবকিছুই বদলে গেলো কিভাবে? বলছি… একজন শিক্ষিত মা, একজন নারী, চাকরিটা ছোট হোক বা বড় হোক, সন্তানদের জন্য ছাড় দিয়ে যাচ্ছি শতো শতো নারী। সারাদিন ঘরে বাইরে দুইদিকেই সামলে নিচ্ছে, আবার অনেকে চাকরিটা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। গৃহিণী জীবন একটা সময় হতাশা আসে না বললে ভুল হবে। একজন গৃহিণী সারাদিন তার সবটুকু দিয়ে অনেকগুলো মানুষকে আগলে রাখে রোজ। সব নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিয়মিত শখের লেখায় ২০২০এ ৫ই ডিসেম্বর আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় দৈনিক আজাদীর কাগজের ভাঁজে, ‘সুখে দুখে ফেসবুকে’ বিভাগে। পাতায় শিরোনাম ছিলো, ‘গৃহিণী কোনো বেকার শব্দ নয়’। এই লেখাটির মাধ্যমে দৈনিক আজাদীতে আমার লেখার অভিষেক। সেই দিনটা কোনদিন ভোলার নয়, পুরো দিন ছিলাম আবেগে খুশিতে উচ্ছ্বসিত। কলমকে শাণিত করার যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা এই স্বনামধন্য পত্রিকা আমাদের মতো নবীনদের সুযোগ দিয়ে মনের সৃজনতাকে আরো ঋদ্ধ করছেন এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। প্রিয় দৈনিক আজাদী দীর্ঘজীবী হোক। সৃষ্টি হোক আরো সাহিত্যপ্রিয় মানুষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৈনিক আজাদী সর্বমহলে সমাদৃত
পরবর্তী নিবন্ধআজাদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা অপরিসীম