ট্রলি ব্যবস্থাপনা ও ট্রলি পদক
বেশ অনেকটা হাঁটার পরও যখন ইমিগ্রেশন কাউন্টারের হদিস না পেয়ে কিছুটা ত্যক্তবিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম ঝট করে, এটা বোঝার জন্য যে পেছনে ফেলে এসেছি কিনা সে সাইন টি আবার, ভুল করে? একটু পেছন থেকে ভেসে এলো লাজুর গলা -“কি ব্যাপার দাঁড়ালে কেন? এই দীপ্র, এই অভ্র দাঁড়াও তোমরা। দেখছো না বাবা দাঁড়িয়ে পড়েছে” আমাকে পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়া অভ্র দীপ্রর উদ্দেশ্যে কথাকটি লাজু ছুড়ে দিয়ে, হেলেন সহ পাশে দাঁড়াতেই ; আমিও পুত্রদের থামতে বলে কিছুটা বিরক্তি আর হতাশা মিশ্রিত গলায় বললাম -দেখো কি অবস্থা এখানকার ! এ পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে সবগুলো সাইন খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার পরও পেলাম না হদিস কোনদিকে যেতে হবে ইমিগ্রেশনের জন্য! ভাবছি তোমাদের এখানে দাঁড় করিয়ে আবার পেছন দিকটায় ঘুরে আসবো। হয়তো পেছনে মিস করে ফেলেছি সেই সাইন টা। অবশ্য পেছনে বাঁয়ে কোন গলি পেরিয়ে এসেছি বলে মনে তো হয় না। আর এ পর্যন্ত হেঁটেছি তো আমরা যাকে বলে এক্কেবারে সরল রেখায়, ডানে বা বাঁয়ে কোন মোড় না নিয়ে,অতএব পেছনে কোথাও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকার কথাও না।তারপরও সন্দেহ এক্কেবারে দূর করার জন্য পেছন দিকটা আবার রেকি করে আসি। এইফাঁকে তোমরা পাসপোর্টগুলো অন্তত ব্যাগ থেকে বের করে হাতের কাছাকাছি রাখো, যাতে যে মুহূর্তে পেয়ে যাবো ইমিগ্রেশন কাউন্টার দ্রুত গিয়ে দাঁড়াতে পারি লাইনে। এ কথাটুকু বলতেই বিদ্যুৎ চমকের মতো মনে হলো, আরে এখানে তো ইমিগ্রেশন করার ঝক্কিই নাই কোনো!
চায়নায় অন্তর্গমন ইমিগ্রেশনের ছাড়প্ত্র তো পেয়ে গেছি আমরা সেই কানমিং এয়ারপোর্টে, প্রথম দিনেই। এখন তো আমার ঘুরছি এই দেশেরই ভেতরে। আর আমাদের বিমানের টিকিট মোতাবেক ঢাকায় ফেরার পথে সেই কানমিংএই হবে আমদের বহির্গমন ইমিগ্রেশন। তখনি হলো আমার দ্বিতীয় বোধোদয় যে এখানে তো ইমিগ্রেশন কাউন্টারই থাকার কথা না। কারণ এটা তো বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর না। এটা হল অভ্যন্তরীণ বা ডোমেস্টিক এয়ারপোর্ট। অতএব নিশ্চিন্ত মনে ফের চালালাম পা সামনের দিকে সকলকে নিয়ে।
ইমিগ্রেশন বৈতরণী পার হতে হবে না এখন! এমন ভাবনার রেশে বেশ হৃষ্ট চিত্তে হাঁটতে হাঁটতে ফের দেখতে শুরু করলাম দেয়ালে লাগানো অতিঅল্প সাইনগুলোর দিকে। তবে এখন ভিন্ন উদ্দেশ্যে। এমুহূর্তে ঠাহর করতে চাচ্ছি কোনদিকে আছে ব্যাগেজ কনভেয়ার বেল্ট। আসলে বৈধ সব পাসপোর্ট, ভিসা টিসা সবকিছু থাকার পরও শুধুমাত্র বাংলাদেশি হওয়ার কারণে, নানান এয়ারপোর্টে নানান উটকো ঝামেলায় অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ থাকায়, সবসময়ই ইমিগ্রেশন নিয়ে একটা চাপ থাকে মনে অন্তত আমার, যা নাকি বেড়ে যায় বহুগুণে যদি থাকে পরিবার সাথে। কিছুক্ষণ আগেকার আমার বোধোদয় আমাকে সে চাপ থেকে মুক্ত করে দেয়ায় মেজাজ বেশ খোলতাই এখন। তদুপরি ইমিগ্রেশন বৈতরণী পার হতে হবে না, এর আরেকটা অর্থ হলো, বেঁচে গেলো ভ্রমণের অমূল্য কিছু সময়। মন ভাল হওয়ার উপর্যুপরি এই দ্বিবিধ কারণে, বেইজিংয়ের এই বিমানবন্দরটির দৃশ্যমান দৈন্য দশাটির সপক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়ে আধুনিক শহর বেইজিং এর মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ফুরফুরে গলায় বললাম সবাইকে, বুঝলে এটা হলো এদের ডোমেস্টিক এয়ারপোর্ট, এজন্যই এর অবস্থা কানমিং এয়ারপোর্টের মতো অতো ঝলমলে না।
“তাতে কি, আমাদের ডোমেস্টিক এয়ারপোর্টও তো এর চেয়ে অনেক অনেক ভাল” লাজুর এ জবাব কানে যেতেই তখনই চোখে পড়লো ব্যাগেজ এরিয়ার দিক নির্দেশক সাইনটি। অতএব ঐদিকে নিজের হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয়ার সাথে সাথে, একই তাড়া বাকিদেরও দিতে দিতে ভাবলাম, কথা অত্যন্ত যৌক্তিক। শুধু যৌক্তিক না এ এক্কেবারে প্রামাণিক সত্য। আমার নিজের কাছেই যখন এটিকে কমলাপুর রেলস্টেশনেরও চেয়ে খারাপ মনে হচ্ছে, সে অবস্থায় এ নিয়ে কথা আর না বাড়ানোই ভাল। অতএব সবাইকে ফের পা চালিয়ে ব্যাগেজ এরিয়ার দিকে এগুনোর মৌখিক তাড়া দিয়ে, পা চালালাম নিজে জোর ওইদিকে।
খুব বেশি সময় লাগলো না দল নিয়ে পৌঁছুতে আমাদের আপাত মঞ্জিলে মকসুদে। নাহ, দেখলাম ব্যাগেজ এরিয়ায় তেমন ভিড় ভাট্টাও নাই। এ সময়ে সম্ভবত আমাদের ফ্লাইটই শুধু ল্যান্ড করেছে এখন, এখানে। খোলা এই হলঘরটায় গোটা এয়ারপোর্টের মলিন চেহারার সাথে মিল রেখে একই চেহারার কনভেয়র বেল্ট গুলোর মধ্যে ক্যাঁচক্যাঁচ, কোঁ কোঁ এরকম নানান ধ্বনি তুলে শূন্যবুকে মাঝের দিকের একটা কনভেয়র বেল্টকেই আঁড়মোড়া ভাংতে দেখলাম। এইমাত্র জীবন্ত হয়ে ওঠা সেই কনভেয়র বেল্টের দু পাশে, একই রকম শূন্যবুক নিয়ে বাকি ৪/৫ টা কনভেয়র বেল্ট ঝিমুচ্ছে চুপচাপ । এসময় ব্যাগেজ ট্রলির খোঁজে হলটির চারিদিকে চোখ ফেলতেই ডান’দিকে একটু দূরে নজরে পড়লো সারিসারি ট্রলি দাঁড়িয়ে আছে ঠায়, যেখানে এরই মধ্যে কয়েকজন চায়নিজ হাজির হয়েছে। আর হ্যাঁ আরো কয়েকজন যারা আমাদের আগেই এসে হাজির হয়েছিল এই হলঘরে, ইতিমধ্যে তারা ট্রলি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এইমাত্র শূন্যবুকে নড়তে চড়তে শুরু করা কনভেয়র বেল্টের পাশে, তাদের বোচকা বুঁচকি, বাক্স পেঁটরা, ব্যাগ সুটকেস যার যেটা তুলে দিয়েছিল প্লেনে, সেগুলোর আগমনের অপেক্ষায়। পেছনের ডানে যেমন দেখতে পেলাম ট্রলি স্টেশন একটা, তেমনি আছে সামনেও আরেকটা ট্রলি স্টেশন। চোখের আন্দাজে দূরত্ব মেপে পিছু হটে যাওয়াটাই যৌক্তিক মনে হলো, কারণ ওটাই আছে তুলনামূলক কাছাকাছি। একটাই মাত্র কনভেয়র বেল্টকে চলমান থাকতে দেখে, আর এ পর্যন্ত আসতে আসতে যতো লোক দেখলাম তাতে, সহজেই চোখ বন্ধ করেই ধরে নেয়া যায় যে, ঐ বেল্টেই আসবে আমাদেরও ব্যাগ সুটকেস। অতএব সবাইকে ঐ বেল্টের দিকে এগুতে বলে, পিছন দিকে ঘুরে রওয়ানা দিলাম ডান দিকে কমপক্ষে একজোড়া ট্রলি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ।
মোটামুটি পা চালিয়ে ওখানে গিয়ে একটার পিঠে সাথে আরেকটা মুখ চেপে দাঁড়িয়ে ঝিমুতে থাকা লম্বা ট্রলি লাইন থেকে জোর টেনে দুটো ট্রলি বের করে , দুটোকেই থাক্কা দিয়ে একটু ট্রায়াল ধাক্কা বা পরীক্ষামূলক ঠেলা দিতেই পাস করে গেল দুটোই পরীক্ষায়, একবারেই। হ্যাঁ চেহারা তাদের যতই মলিন হোক না কেন, দুটো ট্রলিরই চাকা তিনটে সচল আছে দেখা গেল। এখন দেখা যাক ব্যাগ ট্যাগ উপরে তোলার পর আবার ওগুলো খোঁড়াতে খোঁড়াতে বা ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে চলতে শুরু করে কি না, হয় নাকি যা ঢাকা এয়ারপোর্টে অহরহ। তবে দেখনদারিতে শুরু থেকেই এই এয়ারপোর্ট তার ঢাকাই সহোদরের কাছে ফেল মারলেও, ট্রলি পরীক্ষায় এইমাত্র এটি পেছনে ফেলেছে ঢাকাকে। কোন দৌড়ঝাঁপ ছাড়া, উপরন্তু এক চান্সেই চলৎশক্তি সম্পন্ন দু দুটো ট্রলি পেয়ে যাওয়ায় বেশ খোশমেজাজে মনে মনে বেইজিং এয়ারপোর্টের গলায় একটা ট্রলিপদক ঝুলিয়ে দিয়ে,জোড়া ট্রলিকে আবার পিঠেমুখে একাট্টা করে লাগিয়ে, ঠেলতে ঠেলতে এগুতে শুরু করলাম শূন্যবুকে এখনো ক্যাঁচক্যাঁচ করে ঘুরতে থাকা সেই কনভেয়র বেল্টের দিকে যেখানে অপেক্ষমাণ পরিবারের বাকীরা । এসময়ে মনে হলো খুব তো ট্রলিপদক দিয়ে দিলাম এই ম্যাড়ম্যাড়ে চেহারার এয়ারপোর্টকে, কিন্তু ঢাকার ডোমেস্টিক এয়ারপোর্টে কখনো ট্রলি বিড়ম্বনায় পড়েছি বলে তো মনে হয় না। আসলে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে তো ঐ অভিজ্ঞতা হওয়ারই কথা না। ঐসব ভ্রমণ তো করি বেশির ভাগ সময় হয় হাত ব্যাগ নিয়েই, না হয় থাকে সাথে খুব জোর চাকা লাগানো ছোট কেবিন ব্যাগ। তাই এয়ারপোর্ট ট্রলির তো প্রয়োজনই পড়ে না দেশের ভেতরের বিমানভ্রমণে। তার উপর অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে ব্যাগেজ নেয়ার সময় তো অতো ঝামেলাও হয় না। হয় নাকি যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শেষে। প্রতিবারই বিদেশভ্রমণ শেষে ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমে ইমিগ্রেশন শেষ করে, মোটামুটি একশ মিটার স্প্রিন্ট এর মতো দৌড় না দিলে প্রয়োজনীয় ট্রলির দখল নেয়া যায় না। আবার ঐরকম দৌড় ঝাপ করে ট্রলি কর্নারে গিয়ে হাজির হবার আগেই যদিও বা কখনো এদিকে ওদিকে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রলি পেয়ে ভাগ্য আমার সুপ্রসন্ন মনে করে, ওগুলোর কোনটির দখল নিয়ে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবারই বুঝতে পেরেছি যে, ল্যাংড়া খোঁড়া ওটা। তাই ওটাকে কেউ ওভাবে ফেলে গেছে পথিমধ্যে। আর মূল ট্রলি কর্নারে গিয়েও ভিড় ভাট্টা ঠেলেই খুঁজে পেতে বেছে বের করতে হয় প্রয়োজনীয় সচল ট্রলি!
অতএব যে তুলনাটা করে এইমাত্র যে ট্রলিপদক ঝুলিয়ে দিলাম বেইজিঙয়ের অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্টের গলায়, তা হয়েছে অনেকটা আপেলের সাথে কমলার তুলনা করে দেয়া। তবে এটা বলতেই হয় যে গত দেড় দু দশকের ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নানান দৃশ্যমান উন্নতি হতে দেখলেও, এর ট্রলির মান, সংখ্যা, ব্যবস্থাপনায় আর ব্যাগেজ ডেলিভারি সার্ভিসে তেমন কোন উন্নতি হয়নি। ফলে তিনঘণ্টায় বিদেশ থেকে উড়ে এসে অনেক সময় আরো তিনঘণ্টা গুনতে হয়, ব্যাগ সুটকেস কনভেয়র বেল্ট থেকে সংগ্রহ করে বের হতে হতে। নিশ্চিত আমি বেইজিং এর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। কারণ বেইজিং তো হলো ২০০৮ সনের অলিম্পিক আয়োজক শহর। আর এধরনের বিশাল বৈশ্বিক আয়োজন যে শহরেই হয়, সে শহরকেই এসমস্ত বিষয়ে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হয় স্ব স্ব বৈশ্বিক কমিটির কাছে। তবে এটা বুঝতে পারছি না যে এরকম একটা শহরে, হোক না যতোই এটা অভ্যন্তরিণ এয়ারপোর্ট, এর এমন দৈন্যদশা হয় কিভাবে?
এদিকে সামনে এগুতে এগুতে এ মুহূর্তে একমাত্র সচল আমাদের সেই কনভেয়ার বেল্টটির শেষ মাথার দিকে, মানে যে মাথায় দেয়ালের গর্তের ওপাশ থেকে ব্যাগেজ তুলে দেয় বেল্টের উপর এয়ারলাইন্সের লোকজন, সেই দিকটার সুড়ঙ্গ মুখটির দিকে তাকাতেই দেখা গেল ব্যাগের আভাস। বুঝলাম আমাদের প্লেনের পেট থেকে যাবতীয় বোচকা বুচকি , ব্যাগ, সুটকেস বের করে নিয়ে ইতোমধ্যেই হাজির হয়েছে ব্যাগবহনকারী গাড়ি সুড়ঙ্গের ওপারে। এতে দুলকি চালের হাঁটা বাদ দিয়ে পা চলল জোরে। মনে হলো, নাহ খুব একটা দেরি করেনি এরা ব্যাগ হ্যান্ডলিং করতে গিয়ে। যদিও তা হওয়ারও কথা না, কারণ প্লেন তো নেমেছে মনে হচ্ছে এ মুহূর্তে সাকুল্লে একটাই, এমত ভাবনা শেষে দলের সাথে যোগ দিলাম ঘূর্ণায়মান বেল্টটির মাঝামাঝি জায়গায় নিজেদের ব্যাগ সুটকেসের অপেক্ষায়।
যদিও মনে মনে প্রস্তুতি রেখেছিলাম যে আমাদের ব্যাগ সুটকেস আসবে হয়তো সবার শেষে, কারণ আমরাই তো ছিলাম এক্কেবারে প্রথম দিকে চেক ইন করা যাত্রী। সে হিসাবে ঐ ব্যাগগুলো বিমানের পেটে ঢুকানো হয়েছিল সবার আগেই, ফলে অনিবার্যভাবে নামানোর সময় সেগুলো নামার কথা সবশেষে। কিন্তু না, আমাদের পেরিয়ে প্রথমে নামানো ব্যাগগুলো ঘুরে অন্যপাশের দিকে চলে যেতেই দেখলাম সুড়ঙ্গের ওপাশ থেকে চলতি কনভেয়র বেল্টে উকি দিল লাল সুটকেস একটা, যেটিকে দেখে ভাবছি যখন ওটি আমারই কি না তখনি -“বাবা ঐ যে আমাদের সুটকেস” বলেই অভ্র ঐদিকে এগিয়ে যেতে চাইতেই বললাম, থাক ওটাকেই আসতে দাও এদিকে। একই রঙয়ের সুটকেস তো অন্যদেরও থাকতে পারে। কাছে আসুক ওটা তাহলে ভাল করে দেখে নামাবো।
অল্পক্ষণের মধ্যে ওটা কাছে আসতেই দেখা গেল হ্যাঁ ওটার মালিকানা আমারই।অতএব ঝটপট ওটিকে স্থানান্তরিত করলাম ট্রলির উপর। অতঃপর সবগুলো ব্যাগ সুটকেস সাথে না হলেও অচিরেই চলে এলো একে একে বাকিগুলো, কিছুটা বিরতি দিয়ে দিয়ে। সবগুলোকে দুই ট্রলি বোঝাই করে হাঁটা ধরলাম আমাদের আগে যারা ব্যাগ সংগ্রহ করে হাঁটছেন সামনে তাদের অনুসরণ করে, এয়ারপোর্টের আগমনী লাউঞ্জের গেটের দিকে; যার ওপারেই আছে একসময়ের পিকিং মানুষদের দেশ আর হালের বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম নগরীগুলোর অন্যতম বেইজিং।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক