আইয়ামে জাহেলিয়াত ও আরব, এই শব্দযুগল মনের গহীনে যে এমন অঙ্গাঙ্গীভাবে একটি আরেকটিকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল, আগে তা টের না পেলেও মনে হল এখন তা। মনের গহীনে এরকম একটি বদ্ধমূল ধারণা গেঁথে দেবার কৃতিত্বের দাবীদার অবশ্যই আমার ছোটবেলাকার স্কুলের পাঠ্যবই লেখকদের। ইসলামিয়াত ও বাংলা বইয়ের পাঠ্যসূচীতে ঐরকমই ছিল মহানবী (দঃ) এর জন্মপূর্ব ও জন্মকালীন সময়ের আরবের বিবরণ। ফলে ঐ বদ্ধমূল ধারণার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অবেচতন এই উপসংহারে পৌঁছেছিল যে পবিত্র মক্কাই হল সৌদির সবচেয়ে প্রাচীন নগর।
এখানে আসার পর, কাজের প্রয়োজনে ও অবসরে নানান বইপত্র পড়া ছাড়াও এই সময়ের সুপ্রচুর তথ্য সমৃদ্ধ অন্তর্জালিক রাজ্যে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, হায়! কতোটা আকাট মূর্খ ছিলাম এ বিষয়ে এতোদিন!
এখন তো দেখি আরব উপসাগরের তাহরুট দ্বীপেই ছিল সৌদির সবচেয়ে আদি জনপদ। মানব সভ্যতার ব্রোঞ্জযুগে মানে খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে এই দ্বীপটি ছিল দিল্মুন সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পীঠস্থান। এছাড়াও এ মরুদেশের আর যে অঞ্চলে ছিল ঐরকম আদিমানববসতি বলে মনে করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা; তা হল আল উলা বা দেদান বা হেগরা মরূদ্যান, এখন নাম যেটির মেদান সালেহ। যতোটা জানি পবিত্র কোরানেও আছে উল্লেখ এর। আবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে খাইবার পাস নামের যে সুবিখ্যাত পার্বত্যপথ সংযুক্ত করেছে, ঠিক ঐ নামেরই এখানকার এক মরূদ্যানেও ছিল প্রাচীন মানববসতি। মরুতে অতি দুর্লভ যে সুপেয় জল, সেই জলের প্রাচুর্যের কারণে, ব্রোঞ্জযুগেই গড়ে উঠেছিল সেখানে সমৃদ্ধ এক জনপদ। এরপর দুমাত আল জান্দাল ও তায়েমা নামের মরূদ্যানেও গুরুত্বপূর্ণ মানববসতি গড়ে উঠেছিল, খ্রিস্টপূর্ব ৮ম ও দশম শতাব্দীতে। তার মানে, মানবসভ্যতার অন্যতম আঁতুড়ঘর, উর্বর অর্ধচন্দ্রে বা ফারটাইল ক্রিসেন্টে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়ান সভ্যতার, গায়ের সাথে গা লাগিয়ে, এখানকার নানান মরূদ্যানেও যাযাবরেরা গড়ে তুলেছিল নানান সুরম্য নগরী ও জনপদ!
উপচে পড়া তরল ডলারের জোরে যে সৌদিরা আজকাল, যে কোন ম্রুতেই গড়ে তুলছে অত্যাধুনিক নগরী সেই একই মরুতে, প্রাচীনযুগে মানব বসতি গড়ে উঠছিল প্রকৃতির সাথে এখনকার মতো যুদ্ধ ঘোষণা করে নয়, বরং সন্ধি করেই। ফলে বিস্তীর্ণ এই মরুভূমির মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মরূদ্যানগুলোতে সে সময়ের যাযাবর আরবেরা গড়ে তুলেছিল ডজনাধিক সমৃদ্ধ জনপদ।
ভেবেছি এতদিন যে, ভিসাবিষয়ক ঝামেলা কাটলে, মানে ইকামা হাতে পেলেই, সময় সুযোগ করে চট করে ঘুরে আসবো অন্তত সিরিয়া, ইরাক, জর্ডান, লেবানন মানে মেসোপটেমিয়ান সভ্যতার হাত ধরে গড়ে উঠা সুপ্রাচীন এই দেশগুলোতে; কিন্তু সৌদি বিষয়ে পাওয়া এই সব নতুন তথ্য জানতে পেরে মনে হচ্ছে এখন, আরেহ! হাতের কাছেই তো দেখছি আছে পবিত্র মক্কা, মদিনা ছাড়াও সুপ্রাচীন কিছু সমৃদ্ধ নগরী। আপাতত দুধের স্বাদ ঘোলে তো না, মোটামুটি দুধেই মেটাতে পারি বিস্তীর্ণ এই মরুদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাচীন ঐ নগরগুলো ঘুরে!
দেশ থেকে এবার আসার ঠিক পরদিন থেকেই, একটানা প্রায় দুই সপ্তাহ কাজ করে দাঁড় করানো বাজেট প্লানিঙয়ের শতাধিক পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইডগুলো নিয়ে আজই বসার কথা বস, ফিল রাশের সাথে একটা ড্রাইরান বা প্রস্তুতিমূলক মিটিংয়ে। সেই প্রস্তুতিমূলক মিটিঙয়েরও প্রস্তুতি হিসেবে এতোক্ষণ শতাধিক স্লাইডে বিরচিত বাজেটপ্লানিং ডেক নামের আগামী বছরটির জন্য রচনা করা ব্যবসায়িক এই গিলগামেসে,সংখ্যাগত, ব্যাকরণগত বা বানানগত বিভ্রাট আছে কিনা খুঁটয়ে খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে হাতড়াচ্ছিল মন, মগজের নিউরনে জমা হওয়া প্রাচীন সৌদি বিষয়ে নতুন পাওয়া তথ্যভান্ডারে, অবচেতনে।
নাহ, আধুনিককালের এই ব্যবসায়িক দলিলকে যতোই গিলগামেস নাম দেই না কেন, প্রাচীন জনপদ বিষয়ক ঐসব তথ্যের জন্য কোনই স্থান নেই তাতে। এ দলিলের উপক্রমণিকার দেশবিষয়ক মুখবন্ধ, ইংরেজি নাম যার কান্ট্রিস্টোরি, তাতে আধুনিক সময়ের নানান অর্থনীতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিষয়ের স্থান হলেও, স্থান হয়নি ঐ ঐতিহাসিক বিষয়গুলোর। পেশাগত কাজে এতোটাই মশগুল ছিলাম এতদিন যে, হালে জানা ঐ সব তথ্য নিয়ে ভাবাভাবীর পাইনি অবকাশ। কাজ এখন যেহেতু প্রায় শেষ, সুযোগ বুঝে তাই, মগজের নিউরনে নিউরনে জমা হওয়া নতুন ঐসব তথ্য ঘিরে, ডানা ঝাপটাতে শুরু করেছিল কল্পনা ও ভাবনারা অবচেতনে। সন্দেহ হচ্ছে তাতে এখন, ডানা ঝাপটানো ঐ ভাবনাগুলোর কারনে, চোখ এড়িয়ে গেল না তো কোন ভুল!
আচ্ছা কেঁচেগণ্ডূষ করবো নাকি এই গিলগামেস দেখাদেখির ফের? না থাক। থাকলে থাকুক দুই একটা ভুল। দুয়েকটা ভুল যদি নাই ই থাকলো, তাহলে বসের রিভিউর জন্য তো কিছুই থাকলো না! যদিও ফিল চমৎকার মানুষ, তারপরও বস তো! আদ্যিকালের মহাঋষি দ্রোনাচার্জই যখন একলব্যের গুরুমারা বিদ্যা সহ্য করতে পারেন নি, তখন হল তো এখন নাকি, ঘোর কলির কাল! এসময়ে এতো ভাল তো ভাল নাও ঠেকতে পারে বসের।
মন ভাল করার যে ব্যাপারটি দেখছি এখন, তা হলো একদম শেষ মুহূর্তে দেয়া সেলস হেড খলিলের, গোটা সৌদিআরব জুড়ে জনবল বরাদ্দের পরিকল্পনা, ইংরেজিতে যাকে বলে পিপল এলোকেশন প্লান। নজদ ভিলেজের ক্যবসা পার্টিতে সেদিন, মাসখানেক আগে আমারই দেয়া প্রস্তাবনা নিয়ে, খলিল নানান প্রশ্ন করলেও, ওটা সে কার্যকর করবে কী না, তা নিয়ে কোন স্থির সিদ্ধান্ত না দিলেও, দেখছি এখন আমার দেয়া প্লানের প্রায় ৭০ ভাগই সে নিয়েছে ! তবে যে দুটো ব্যাপারে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, আমলে নেয়নি সে, তা! পরিবর্তনের ব্যাপারে বেশীরভাগ মানুষের যে সার্বজনীন ভয় থাকে, সে কারনেই কি খলিল ঐদিকে পা বাড়ায় নি? নাকি ভাব হল তার, আরে মিয়া সেলিম তুমি তো হইলা সৌদিতে আসা দুই দিনের বৈরাগী। তুমি কী আমার চেয়ে বেশি জানো নাকি?
“সালামালাইকুম মিস্টার ভেরি বিজিম্যান লং টাইম নো টক। এ কয়দিন যখনই এসেছি, হয় দেখেছি রুম তোমার খালি, নয়তো আছো একগাদা লোক নিয়ে। তা এখন কী তোমার সাথে গল্প করতে করতে এক কাপ মিন্ট টি খেতে পারি?”
ওয়ালাইকুম মিঃ আবু আলী আই মিন ফাহাদ আল হিন্দি, বসো, বসো। অবশ্যই পারো। এই সুযোগে আমারও মিন্ট টি খাওয়া হবে। তোমাদের এই মিন্ট টি এর ভক্ত হয়ে গেছি তো আমি। আচ্ছা, দাঁড়াও চা দেবার কথা বলি।
“তোমার দেশে কি মিন্ট টি, নাই নাকি?”
চা ও পুদিনা দুইটাই বাংলাদেশে প্রচুর হলেও, হলাম আমার দুধ চা নয়তো লেমন টি এর মানুষ। নাহ, এখানে আসার আগে গরম রং চায়ে পুদিনা পাতা ছেড়ে দেয়া মিন্ট টি খাইনি। ফাহাদের প্রশ্নের উত্তরে এটুকু বললেও উহ্য রেখে দিলাম ঐ কথাটুকু, যার কারনে ইদানিং আমি সুযোগ পেলেই মিন্ট টি খাই। হল তা, মিন্ট টি এর ধোঁয়ার সাথে ভেসে আসা পুদিনার সুগন্ধে মনে যে পড়ে হাজার হাজার মাইল পেছনে ফেলে আসা চাঁদপুর সাপদি গ্রামের আমার দাদীর রসুই ঘরের পাশের পুদিনার ঝাড় থেকে ভেসে আসা সুগন্ধের কথা!
‘এবারতো বাজেটের সব কাজ তুমি একলাই করলে। বস ও বাকী সবাই তো খুব আরামে আছে। আই নো বাঙ্গালিজ আর ভেরি ইন্টেলিজেন্ড এন্ড হার্ড ওয়াকিং।’ পেছনে পেছনে মিসকিন ডেকে সামনে এসে বাঙ্গালীবন্দনা করার ফাহাদের এই স্বভাবতো জানাই হয়ে গেছে এতোদিনে। এই মুহূর্তে শুরুতে সে যা বলল, তাতে একটু পলিটিক্স আছে, অতএব ঐ বিষয়ে আলাপ বাড়ানো যাবে না। যেতে হবে তাকে নিয়ে ভিন্ন প্রসঙ্গে, ভাবতে ভাবতে বললাম– এভরিথিং ইজ টিম ওয়ার্ক। তুমিই তো বললে এ কয়দিন আমার রুমে লোকভর্তি দেখেছো। তারা তো এই কাজ নিয়েই ছিলো। আচ্ছা ফাহাদ, সুযোগ পেলেই কোন এক ছুটিতে আমি মেদান সালেহ যেতে চাই । কিভাবে যেতে পারি ওখানে?
‘কি বললে? মেদান সালেহ! আরে ঐটা তো অভিশপ্ত এলাকা! ওখানে কেউ যায় নাকি?’
তাই নাকি? কিসের অভিশাপ? ‘আল্লাহর অভিশাপ! জানো না কোরানে ২০ বারেরও বেশিবার উল্লেখ আছে অভিশপ্ত ঐ অঞ্চলের কথা! আমাদের সরকার তো ওখানে কাউকে যেতে দেয় না, তাই।’
ঠিক কতবার পবিত্র কোরানে মেদান সালেহর কথা আছে তা না জানলেও, এটা অবশ্যই জানি যে উল্লেখ আছে সুপ্রাচীন ঐ জনপদের কথা কোরানে, ভাবতে ভাবতে বললাম, আচ্ছা ওখানে কি হজরত লুত (আঃ) এর কউম থাকতো নাকি?
‘না না ওটা নবী হজরত সালেহ (আঃ) এর কউমের এলাকা। সুরা হিজরে আছে ঐ কউমের কথা। ঐ জায়গাটিকে এখন মেদান সালেহ নামে ডাকলেও এর আদি নাম ছিল আল–হিজর। এছাড়া আরো কয়কেটা সুরায় আছে ঐ অভিশপ্ত কউম আর নগরের কথা।’ বুঝেছি হজরত সালেহ (আঃ) এর নামের সাথে মিলিয়ে ঐ জায়গার নাম হয়েছে এখন, মেদান সালেহ। ‘ঠিক ধরেছ। মেদান সালেহ মানে হল, সালেহ নবীর নগর। আল হিজর মানে পাথুরে প্রান্তর। ঐ এলাকাটা পাথরে ভর্তিতো। ওটা ছিল তামুদ গোত্রের লোকজন এলাকা। ওরা পাথরের নানান মূর্তি বানিয়ে পূজা করতো। আল্লাহতালা তাদেরকে এক আল্লাহর সত্য পথে আনার জন্য নবী হজরত সালেহ (আঃ) কে পাঠিয়েছিলেন ঐ কউমে। নবী সালেহ (আঃ) যখন তার তামুদ গোত্রের লোকজনদের বললেন আল্লাহ এক। আল্লাহ ভিন্ন আর কারো ইবাদত করা যাবে না; তারা তাঁর কথা হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিল উনি যে আল্লাহর নবী তা প্রমান করার জন্য মাজেজা দেখাতে। তাতে আল্লাহর কুদরতে পাথরের ভেতর থেকে একটা গর্ভবতী ঊষ্ঠ্রির জন্মায়। হজরত সালেহ সবাইকে সাবধান করে বলেছিলেন, ঐটা কুদরতি উট! কেউ যেন সেটির ক্ষতি না করে। কিন্তু তামুদরা সে কথা কানে তো তোলেইনি, উল্টা তারা মেরে ফেলেছিল উটটিকে। তাতে আল্লাহর অভিশাপে এক তুমুল ভূমিকম্প ও আগুন বৃষ্টি হয়ে ঐ গোটা এলাকাটি ধ্বংস হয়ে যায়। এই কারনে আমাদের রাজাও অভিশপ্ত এলাকাটিকে নিষিদ্ধ করে রেখেছেন।’
হুম তাহলে কী আর করা?
‘শোন, একটা কথা কী জানো, যতোই ঐ এলাকা নিষিদ্ধ করে রাখুক না কেন রাজা, তারপরও কিন্তু ইউরোপিয়ান আমেরিকানরা চুপেচাপে ওখানে যায়, ঘুরতে। তুমি যদি চাও, আমি নিয়ে যাবো। আচ্ছা তোমার ইকামার কি হলো?
আরে এ আবার কী কথা! এতোক্ষণ অভিশপ্ত ঐ এলাকায় না যাওয়ার শাহী ফরমান শোনানোর পর, এখন আবার লোভ দেখাচ্ছে কেন ফাহাদ? তাকে কী বিশ্বাস করা যায়? আমার ইকামার খবরেই কাজ কী তার?
‘কী ব্যাপার বললে না তোমার ইকামার কতদূর করলো মিগ্রি গিউসি? বুঝলে এই গিউসি কিন্তু একটা মিচকা শয়তান। অতো সহজে করবে না তোমার ইকামা।’
ফাহাদের কথায় মনে পড়ল, গিউসি সাবধান করে দিয়ে বলেছিল কারো সাথেই যেন আমার ইকামা বিষয়ে কথা না বলি।বুঝতে পারছি না যদিও, এ নিয়ে অতো ঢাক ঢাক গুড় গুড় করার কী কারণ? আবার এও বুঝতে পারছি না, আমার ইকামা নিয়ে ফাহাদেরই বা কৌতুহলের কারণ কী? তবে এটা পরিষ্কার যে, সুযোগ পেয়ে, গিউসির ব্যাপারে আমার কান ভারী করার চেষ্টা করল, ফাহাদ। কী যে বলি এখন উত্তরে ভাবতে ভাবতেই বললাম, খুব শিগগিরই হয়ে যাবে বলেছে।
‘বাদ দাও, বাদ দাও। ইকামা না থাকলেও সমস্যা নাই! আমি তো থাকছি তোমার সাথে। এখান থেকে প্লেনে চলে যাবো মদিনা । তারপর মদিনা থেকে একটা জিপ ভাড়া করে চলে যাবো মেদান সালেহ। অবশ্য তুমি যদি রাজী থাকো, প্লেন বাদ দিয়ে আমার গাড়ি নিয়েই চলে যেতে পারি মদিনা। সময় তাতে বেশি লাগবে। কিন্তু অসুবিধা কী? আমার গাড়ী নিয়ে গেলেই ভাল হবে। দরকার হলে ছুটি নেব দুজনে, দুই তিন দিনের। আমার জিএমসি জিপটার পেছনে কিন্তু চুলা হাড়িকুড়ি সহ রান্নাবান্না করার সবই আছে। মেদান সালেহতে তো কোন রেস্টুরেন্ট, দোকানপাঠ এসব কিছু নাই, অতএব আমার গাড়িতে কিছু মাছ মাংশ কিনে নিলেই হবে। পিকনিক করবো ওখানে।’ নিষিদ্ধ নগরীতে পিকনিক করার ফাহাদের এডভেঞ্চারাস প্রস্তাবের জবাবে কী বলবো ভাবতে ভাবতেই এসময় ফোন বেজে উঠতেই দ্রুত ফোন কানে তুলতে তুলতে বললাম, শোন এ নিয়ে পরে আলাপ করবো। এই মনে হয় এলো বুঝি বসের ডাক। মা আস সালামা।
লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।











