দেশ হতে দেশান্তরে

‘হোয়াট এবাউট ইউর প্লান বি?’

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

বইয়ের কিম্বা বলা যায় কর্পোরেট ভাষায় হাইলি স্ট্রেস্ফুল এন্ড হাইলি প্রোডাক্টিভ টানা তিনদিন শেষে, মানে দেশ থেকে এবার ফেরার পর, হঠাৎ করেই যে টিমের কাজ দেখাশোনা করার বাড়তি দায়িত্ব উঠেছিল ঘাড়ে, সেই টিমের কাজে বেশ সন্তুষ্ট হয়ে, চেয়ারে গা এলিয়ে যখন নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে দিচ্ছিলাম, ঠিক সে সময় কোম্পানির হেডকোয়ার্টার বা রিজিওনাল হোমড়া চোমড়াদের লিঙ্‌গুয়া ফ্রাঙ্কার জারগনে করা, গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ মুহূর্তের আউট অব কনটেক্সট ঐ প্রশ্নটি কানে যেতেই, ভ্রু কুঁচকে দরজার দিকে তাকাতেই পড়ল চোখে হেলে দুলে ঢুকছে রুমে প্রশ্নকর্তা, আমাদের সিএফও কানাডিয়ান আমিন ইম্রাহিমের পিতৃভূমি পাকিস্তান থেকে সদ্য আমদানিকৃত ও আমার পূর্বপরিচিত সৌদি অফিসে সদ্য যোগ দেয়া বিজনেস প্লানিং ম্যানেজার, দীর্ঘদেহী তরুণ ফারুক আব্বাস!

ভাল কথা বলেছো ফারুক। তা এ ব্যাপারে তুমি কী চিন্তা করেছো? শোন আরেকটা কথা; এটা মনে রেখো, প্ল্যানটা কিন্তু আমাদের।কারোই একার প্ল্যান না ওটা। ইটস এ টিমওয়ার্ক।

না, মানে হাতের কাজই তো শেষ হয়নি। তাই ওটা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। আর মানে, এই বুঝতে পারছো না, আমি তো সবেই আসলাম’আমতা আমতা করে দেয়া ফারুকের উত্তরে বললাম হুম, তা তো বুঝেছি। শোন ফার্স্ট থিং ফার্স্ট। আগে ‘প্ল্যান এ’ এর যে কাজ, তোমার বস তোমাকে দিয়েছে সেটা শেষ করো। তারপর প্ল্যান বিসিডিই সবই করা যাবে। ভাল কথা, তুমি তো বললেই যে নতুন এসেছো, বলছি তাই জেনে রাখো; এই সৌদির অবস্থা যা দেখেছি গত কয়েক মাসে, তাতে আমার মনে হয়েছে কারো হাতে প্ল্যান বি সি ডি থেকে শুরু প্লান জেড পর্যন্তও যদি করা থাকে, তাতেও যে কোন মুহূর্তে সে এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে যে, ওইসব প্লানের কোনটাই কাজে আসছে না। দরকার হবে তখন তার, পাওয়ার অব থিঙ্কিং অন ফিট! ‘হাই ফারুক, হোয়াট এবাউট দ্যাট এক্সেল ফাইল? আই এম ইয়েট টু গেট ইট!’

আমাদের এই বাৎচিতের ফাঁকে এসময় রুমের দরজায় ফারুকের বস, আমিন এর মুখ উদয় হয়ে, ঐ কথাগুলো উচ্চারণ করতেই থতমত খেয়ে গিয়ে তড়িঘড়ি সামনের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে তোতলানোর ভঙ্গিতে ‘ইয়েস স্যার। স্যার, স্যার আই মিন, এম ট্রায়িং টু কমপ্লিট বাই টু নাইট।’ বলতে বলতে মুহূর্তেই ফারুক, কাফকার পোকায় পরিণত হয়ে গুটি গুটি পায়ে বসের পশ্চাতগমন করতেই মনে পড়লো, আমাদের বাংলাদেশ অফিসে একই দায়িত্বে কাজ করা সুপ্রিয় সুহৃদ ফাহমিদ কর্তৃক, ফারুক আব্বাস কে ফারুক গাবগাছ দেয়া নামটির কথা!

নিজ বসের কাছ থেকে মূল প্ল্যান বা প্ল্যান এ এর নিজ অংশের কাজ শেষ না করেই, বেহুদা আমার কাছে এসে প্লান বি এর ব্যাপারে তাড়া দেবার মতো যে জ্যাঠামিটি করলো সে একটু আগে, তাতে ফাহমিদের ঐ নামকরণকে এক্কেবারে সার্থক মনে হচ্ছে। হ্যাঁ, পাকিস্তানের বিজনেস প্লানিং ম্যানেজার এই ফারুক আব্বাসের সাথে পরিচয় হয়েছিল আমার, এ বছরের শুরুতেই, গিয়েছিলাম যখন ভুরবান নামের পাকিস্তানের পার্বত্য এক চমৎকার শহরে তাদের বাৎসরিক বিজনেস মিটিংএ যোগ দিতে। তখনি এর হাবভাব কথাবার্তায় যে সবজান্তা ও হামবড়া ভাব আছে, চোখে পড়েছিল। যেহেতু এই জাতের ভাবে আছে আমার তুমুল এলার্জিজনিত সমস্যা, একদম এড়িয়েই গিয়েছিলাম সে সময় তাকে, ছিলাম যে ক’দিন পাকিস্তানে। এরপর আমার সাথে তার যেহেতু সরাসরি কোন কাজ ছিল না, তাতে আমার আর এলার্জিতে আক্রান্ত হবার ভয় ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের বিজনেস প্ল্যানিং ম্যানেজার ফাহমিদ, তার কাজের ধরন ও পদের কারণেই, আব্বাসের মজ্জাগত সবজান্তা শমসের ভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছিল না। ফলাফল? অচিরেই ত্যক্তবিরক্ত ফাহমিদের কাছে সে ঐ গাবগাছই হয়ে উঠেছিল।

আচ্ছা, বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করা যাক। ঘটনা হচ্ছে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে খরচ কমানোর নাম করে নিজ পেশাগত জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য, আমাদের কোম্পানির হেডকোয়ার্টারের এক বড়কর্তা, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের রিজিওনাল অফিসটি রাতারাতি বন্ধ করে দিয়েছিল। তাতে এ অঞ্চলের দেশগুলোর দেখভাল করতে গিয়ে, পড়েছিল হেডকোয়ার্টার ঝামেলায়। সে সময় ঐ ঝামেলাটির নিদান হিসাবে হেডকোয়ার্টারের কোন এক কাবিল ‘লিড কান্ট্রি কনসেপ্ট’ নামের একটা হাতুড়ে চিকিৎসা দিয়েছিল। সেই চিকিৎসা মোতাবেক, দুই তিনটা দেশকে একত্র করে, ঐ দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসায় যেটি বড়, সেটিকে ‘লিডকান্ট্রি’ নাম দিয়ে, সেটিকে বাকী এক বা একাধিক দেশের অপারেশন দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল। সে হিসাবে বাংলাদেশের লিড কান্ট্রি হয়েছিল পাকিস্তান, সিঙ্গাপুরের জন্য মালয়েশিয়া। এই আর কি।

ঘটনা হচ্ছে,বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানে অনেক আগে থেকেই কোম্পানির ব্যবসার গোড়াপত্তন হওয়ায় সেটির ব্যবসা আকারে বাংলাদেশের দ্বিগুন হলেও, হাল আমলের পারফর্মেন্সে বাংলাদেশ টিম রিজিওন ও হেড কোয়ার্টারে অত্যন্ত নন্দিত ছিল। তার বিপরীতে পাকিস্তান ছিল হেড কোয়ার্টার ও রিজিওনের কাছে, যাকে বলে প্রভ্‌লেম চাইল্ড, তা।

কেতাবিভাবে কর্পোরেট গুরুরা বইপত্রে যতই, ব্যবসায়ের উপর ক্রেতাসাধারনের সংস্কৃতির, রাজনীতির গুরুত্বের কথা বলুক না কেন, প্রায়োগিকভাবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঐসব উপেক্ষিত হতে দেখা যায় যেমন ,ঘটেছিল ঠিক তেমনি এক্ষেত্রেও। যাবতীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করে দেয়া এই হাতুড়ে চিকিৎসাটির কারনে, সেসময় বাংলাদেশের অপারেশনের বেশিরভাগই এক্কেবারে মুষড়ে পড়েছিল। নিজের কথাই যদি বলি, তবে বলতে হয় ঠিক ঐসময়ে আমার কাছে এই সৌদি অফার আসায়, দেশ ছেড়ে বিশেষত সৌদিতে আসার ব্যাপারে তুমুল অনিচ্ছা থাকলেও, পাকিস্তানি মাতব্বরি থেকে বাঁচার জন্য এটিকেই লুফে নিয়েছিলাম সেসময়।

সে যাক, ঐদিকে নিজেদের প্রভ্‌েলম চাইল্ড পরিচিতি নিয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার ব্যপারে, পাকিস্তানের বুদ্ধিমান কান্ট্রি হেড শাহাব রিজভি সাহেবও যে পড়েছিলেন ঝামেলায়, বুঝতে পারছিলাম তা তাঁর হাবভাবে ও কাজের ভঙ্গিতে।

একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি ঠিক করেছিলেন, বেহুদা বাংলাদেশের উপর ছড়ি না ঘোরানোর। কারণ একদিকে বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড আমার দীর্ঘকালীন বস মনসুর ভাইয়ের পেশাগত সুনাম হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত বিস্তৃত। তদুপরি কোম্পানিতে আছেন তিনি আড়াই দশকেরও বেশী সময়। অন্যদিকে শাহাব সাহেব মাত্রই বছর দুয়েক আগে পাকিস্তানের হেড হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। এসব কিছুই মাথায় রেখে শাহাব সাহেব সংবেদনশীল পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে শুধু মাত্র রুটিন যোগাযোগ করা ছাড়া বাংলাদেশের কোন কিছুতেই নাক গলাতেন না। উপরন্তু অত্যন্ত সম্মান ও আগ্রহের সাথে তিনি, পাকিস্তানের বিজনেস মিটিংএ আমাদের দুজনকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

একই রকম বুদ্ধিমত্তা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় দিচ্ছিল সে সময় আমারই কাউন্টার পার্ট পাকিস্তানের হেড অব মার্কেটিং, দীর্ঘদিনের পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মী শামসও, আমার সাথে। শুধু এই ফারুকই ছিল ব্যাতিক্রম! নানান সময়ে কাজে অকাজে, বস না হয়েও সে ফাহমিদের উপর বেহুদা বসগিরি ফলিয়ে তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে গিয়ে, নিজে নিজেই গাবগাছ হয়ে উঠেছিল ফাহমিদের কাছে।

এইমাত্র বসের মুখোমুখি হয়ে ফারুক যেরকম দ্রুততায় নিমিষেই নিজেকে কাফকার পোকায় পরিণত করলো, তা চাক্ষুস করে একদিকে যেমন ফাহমিদের ঐ নামকরণের কথা মনে পড়লো, তেমনি চোখে পড়লো আমার দিকে ছুঁড়ে দেয়া কোন রকম সম্বোধনহীন ও এমুহূর্তে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গীক প্রশ্নটির বাক্যগঠনের সাথে তার দেহভঙ্গির ভেতরে থাকা পাকিস্তানি রোগের উপসর্গসমূহ! চিড়বিড়িয়ে উঠলো শরীর ও মেজাজ একই সঙ্গে তাতে। কিন্তু সাথে সাথেই শান্ত করলাম নিজেকে এই বলে যে না থাক, এখন আর মশা মেরে হাত কালো করার কোনই মানে নাই। সময়মতো অবশ্যই দেয়া যাবে তাকে চিকিৎসা ৭ই মার্চ। তাতে কাজ না হলে দেয়া যাবে, এক্কেবারে চরমপত্রের ‘কেঁচকা গাবুইরা’ চিকিৎসা। আপাতত বরং গত তিন ধরে বিরামহীনভাবে কাজ করা, সৈয়দ রাজভি, ইসাম আল খাতিব, তালাত আদ দিব ও বাসেম বারেমাহকে ডেকে একটু ধন্যবাদ দেয়া যাক!

হ্যাঁ চার ভিনদেশির পুরদস্তুর বহুজাতিক এই টিমটি হল, নিজ রুমে সর্বক্ষণ গ্যাঁট হয়ে বসে থাকার কারণে ইনভিজিবল ম্যানেজার অভিধা পাওয়া, আমাদের স্ট্রাটেজি হেড, মিশরি আহমেদ বাদাওইয়ির। সেদিন দেশ থেকে ফিরে আসার পর, প্রথমদিন অফিসে ঢুকে বসের সাথে দেখা করতে গেলে, কোন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করা ফিল দ্রুত জানিয়েছিল, অবশেষে আহমেদ বাদাওয়ি এক্কেবারেই আমাদের টিম ইনভিজিবল হয়ে ফিরে গেছে মিশরে। তাতে ঐ টিমের লোকজন এ কয়দিন বারবারই ধন্না দিয়েছে ফিলের অফিসে, তাদের কাজের ব্যাপারে। কিন্তু প্রতিবারই ফিল তাদেরকে বলেছে আমি ফেরার পর যেন বসে তারা আমার সাথে। অতএব আমি যেন দ্রুত সেই টিমকে নিয়ে বসে বাজেটপ্লান সম্পর্কিত তাদের যার যা কাজ, তা বুঝিয়ে দিয়ে করিয়ে নেই। আর হেডকোয়ার্টারের ঝড় ঝাপটা নিয়ে আমার কোন চিন্তার কারণ নাই। সেটা সামলাবে ফিল নিজে।

অতএব বসবাক্য শিরোধার্য করে সেদিনই দ্রুত মিটিং এ বসেছিলাম ভারতীয় রিজভি, প্যালস্টাইনি ইসাম, মিশরি তালাত আর জর্ডানি বাসেমের সাথে, মানে বাদাওয়ির ফেলে যাওয়া টিমমেম্বারদের নিয়ে। ওদের সাথে বসার পর প্রথমেই হয়েছিলাম তুমুল হতাশ। কারণ নিজে দুই সপ্তাহের মতো ঢাকায় থাকলেও এবং আমার টিমের অর্ধেক মিশরে চলে যাওয়ার পরও, আমার টিমের কাজ যতোটা এগিয়েছে তার পাঁচ ভাগের একভাগও এগোয়নি কাজ স্ট্রাটেজি ডিপার্টমেন্টে কাজ! আর যতটুকুই করেছে তারা কাজ, করেছে তারা তা যার যার বুজ মতো। ফলে বেশীরভাগই খাপ খাচ্ছে না বাজেট প্লানিংয়ের সাথে। তদপুরি এরই মধ্যে জানি যে এই টিমের মার্কেট রিসার্স ম্যানেজার সৈয়দ রাজভি ও সেলস ফোর্স ইফেক্টিভনেস ম্যানেজার, ইসাম আল খতিব, যতো না তাদের পদের দায়িত্বপালনজনিত কারণে, তার চেয়ে বেশী তাদের কথাবার্তার ভঙ্গীর কারণে, মার্কেটিং ও সেলস টিমের কাছে তুমুলভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। ফলে তারাও আমার মার্কেটিং, আর খলিলের সেলস টিমকে শ্‌ত্রু হিসাবে গ্রাহ্য করে। এরকম একটা অবস্থায়, আমাকেই কি না তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হবে! তবে কপাল ভাল যে এখানে এসে যোগ দেবার পর প্রতিনিয়ত নানানজনের সাথে কথা বলে, নানান প্রশ্ন করে, অফিসের ভেতরে স্ট্রাটেজি ডিপার্টমেন্টের সাথে আমার নিজের মার্কেটিং টিম ও খলিলের সেলস টিমের সাথে এই শ্‌ত্রু শত্রু খেলা বা ব্লেইম গেইমিংটি টের পেয়ে, সে সবের কারণ অনুসন্ধান করে টুকটাক পদক্ষেপও নিয়েছিলাম। তাতে এ দুজনের কাছে আমার কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছিল বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তারপরও, সেদিন প্রথমবারের মতো যখন চারজনকে একাট্টা করে বসে কাজের কথা তুলতেই, তরুণ বাসেম ও তালাত বাদে বাকী দু’জনের মনোভাব, দেহভঙ্গি মিলিয়ে যে এটিচ্যুডের মুখোমুখি হয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল তাতে যে এভাবে এগুলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তখন, স্ট্রাটেজি বদলে বলেছিলাম, ঠিক আছে কাজ থাক, আগে তোমাদের ক্ষোভের কথাই শুনি। এরপর তুমুল ধৈর্যে ঘণ্টা খানেক তাদের যাবতীয় অভিযোগ শুনে অবশেষে বেশ জোরের সাথে বলেছিলামঠিক আছে, মার্কেটিং হেড হিসাবে আমার ডিপার্টমেন্টের ব্যাপারে গুরুতর যে অভিযোগসমূহ আছে, অচিরেই আমি সেগুলোর দফারফা করবো। আর সেলসের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমি নিজে তো খলিলের সাথে কথা বলবোই, যদি প্রয়োজন পরে নেব ফিলেরও সহায়তা। তবে তার আগে, আগামী আড়াই দিনের মধ্যে বাজেটের জন্য তাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে সুসম্পন্ন করতে হবে। এবং করতে হবে সেসব, আমি যেভাবে চাই, সেভাবে। আছি আমি মওজুদ তাদের সাথে! এ শুনে সে মিটিংয়ে বেশ কিছুক্ষণের জন্য নেমে এসেছিল সুনসান নীরবতা। তারপর প্রথমে তালাত ও বাসেম যুগল হ্যাঁ বলতেই, একে একে হ্যাঁ বলেছিল রাজভি ও ইসামও। তারপর কাজ বুঝিয়ে দেবার পর ছিলাম নিজে সর্বক্ষণ হাজির।

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমকালের দর্পণ
পরবর্তী নিবন্ধতোতলামো : এটি বোঝা নয়, বোঝার বিষয়