দেশ হতে দেশান্তরে

ইকামা দেন ক্রিসেন্ট যামু

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

টেকা দেন দুবাই যামু’, ‘টেকা দেন দুবাই যামু’। ঢালিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও নাট্যকার আমজাদ হোসেনের ‘এতদিন কোথায় ছিলেন’ নামের আশির দশকে তুমুল জনপ্রিয় ঈদ নাটকের এই সংলাপটি অনুকরণ করে ঘুরছিল মাথায় আমার গত কয়েক’দিন, ভিসা দেন দুবাই যামু! ভিসা দেন দুবাই যামু! এই বয়ান।

কারণ ঐ যে মানি আমি, বস ইজ অলঅয়েজ রাইট! ফলে যেহেতু বস বলেছেন ভিসা নিয়ে যন্ত্রণা কিম্বা কাজের চাপ যতই থাকুক না কেন, দুবাই মিটিংয়ে আমার উপস্থিতি অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তদুপরি সাথে সাথেই তো বস, আমার সহকর্মী ও এইচ আর হেড গিউসিকে দুবাই মিটিং আমি যাতে অংশ নিতে পারি, সে ব্যাপারে ভিসার দায়িত্বও দিয়ে দিয়েছিলেন। তাতে সেদিন থেকেই গিউসি দুবাইয়ে আমাদের কোম্পানির রিজিওনাল ও কান্ট্রি অফিস দুটোতেই দফায় দফায় যোগাযোগ করে এখনো পর্যন্ত ভিসা নে পেলেও, এটা যে মতেই অসম্ভব কিছু না, সে নিশ্চয়তা পেয়েছে অন্তত কান্ট্রি অফিস থেকে।

এছাড়া আশাব্যাঞ্জক আরেকটি বিষয়টি হলো এই যে, এমনিতেই দুবাই বা আরব আমিরাতের ভিসা কারোই পাসপোর্টে আলাদা করে লাগাতে হয় না। এই ভিসাটি আরব আমিরাতের ৭টি আমিরাতের যে কোন একটির বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা একটি চিঠি। ঐ চিঠিতে যার নামে তা ইস্যু করা হয়েছে তার নাম, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া থাকে ঐরকম চিঠি / ভিসা একজন স্পন্সরের বরাতে পাওয়া যায়, দিতে পারে যা আমাদের কান্ট্রি বা রিজিওনাল অফিস। এছাড়া আরো জানা গেছে, সৌদি ইকামা না থাকায় এমনিতে ঐ রকম চিঠি নিয়ে ঢাকার আরব আমিরাত দূতাবাসে হাজিরা দিয়ে সেটিকে হালাল করে নেবার কিছুটা বাধ্যবাধকতা থাকলেও, ঐটি এক্কেবারে ফরজে আইন নয়। গিউসি দুবাইয়ের আমাদের কান্ট্রি অফিসের এইচ আর হেডের সাথে কথা বলে শুধু ঐ বিষয়টির সমাধান বের করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী গিউসির ভাষ্য, সৌদিতে এমনকি গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই, টাকা ফেললে বা সঠিক কানেকশন থাকলে যে কোন কাজই করা সম্ভব । খুব বেশী জটিল কাজে দুটোই মানে, কড়ি ও কানেকশন উভয়ই লাগে। আমার এ ব্যাপারটি মোটেও জটিল কিছু না।

ইকামাহীন আমি বাংগালের এভাবে দুবাইয়ের ভিসা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে জেনে, সে থেকে সেটিকেই গণ্য করছিলাম বিরাট সুখবর। কারণ এতে পুরো মাসটাই থাকতে পারছি সৌদিতে, তাতে সুবিধা হবে কাজের। এরপর আরো যে কারণে আছি মহানন্দে তা হল, এ নিয়ে ঘাটাঘাটি দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য এসেছে গোচরে। হলো তা এই যে, যে কোন সৌদি ইকামাধারী, বিনা ভিসাতেই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে যেতে পারে। এমনি জোর ঐ সৌদি ওয়ার্ক পারমিট বা ইকামার। যখনই জেনেছিলাম সে তথ্য, তখন থেকেই গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের মতো, মনে মনে ঠিক করে ফেলেছি, ইকামা হাতে এলেই, মাঝে মাঝেই সাপ্তাহিক ছুটির সাথে দু একদিনের ছুটি যোগ করে, যাবো প্রথম জর্ডান। পেট্রাসহ ওখানকার সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক জায়গাগুলো দেখবো। তারপর যাবো একে একে সিরিয়া, ইরাক, মিশর। পারলে প্যালস্টাইনেও। আরে মানব সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল এই গ্রহের যেই উবর্র অর্ধচন্দ্রাকৃতির এলাকায়, ইংরেজিতে যাকে বলে ফার্টাইল ক্রিসেন্ট, সেখানে তো যাওয়া যায় সৌদির মরু পেরিয়ে উত্তরে ও পশ্চিমে গেলেই! আহা ভুলেও কি ভেবেছিলাম কখনো, সুযোগ হবে অধমের সুমেরিয়া, আসিরিয়া, ব্যাবিলনে যাওয়ার? যতোই যন্ত্রণা পেয়ে থাকি না কেন, সৌদিতে আসাতেই তো পেলাম হাতের কাছে মানব সভ্যতার জন্মস্থান বিখ্যাত অর্ধচন্দ্র? তো যেদিন থেকে জেনেছি সৌদি ইকামার জাদুতে এইসব জায়গায় যাওয়া যাবে, হয় ভিসার হাঙ্গামা এড়িয়ে কিম্বা সহজেই ভিসা নিয়ে; সেই থেকে, ভিসা দেন দুবাই যামু বাদ দিয়ে জপছি ক্রমাগত মনে ও মাথায়; ইকামা দেন ক্রিসেন্ট যামু! সে যাক, থাক আপাতত ভবিষ্যতে মনে মনে মনকলা খাওয়ার হিসাব। আসা যাক বর্তমানে। করিৎকর্মা গিউসি আমার আরেকটা আপাত ও সম্ভাব্য জটিল সমস্যার সমাধান দিয়েছে একটু আগে। এ মুহূর্তে বেশ ফুরফুরা মন ও মেজাজ তাই। যদিও আজ সকালের আগে সম্ভাব্য যে খাড়াটি ঝুলছিল সরাসরি ঘাড়ের উপর গত দিন দশ বারো ধরে, যেটির আবার কারণ ছিলাম আমি নিজেই, ঘুনাক্ষরেও জানতাম না তা। যেই না জেনেছি সকালে আজ, তাতেই হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল বিগত দিনগুলোতে কি হতে পারতো, না পারতো, ভেবে। বিষয় হচ্ছে গাড়ী চালাতে জানলেও সৌদিতে আসার আগে কখনও নিয়মিত গাড়ী চালাইনি নিজে। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত নিয়মে এখানে আসার পর, গত মাস দুয়েক হল নিজেই গাড়ী চালিয়ে অফিসে আসা যাওয়া করছিলাম। এছাড়া খুব জোর যাচ্ছিলাম বাসার কাছের গ্রানাডা শপিংমলে। শুরুর দিকে আমেরিকান নিয়ম মেনে ব্রিটিশদের উল্টা কেতায় তৈরি করা গাড়িতে, আমেরিকান নিয়মের রাস্তায় গাড়ী চালাতে বেশ অসুবিধা হলেও, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তা রপ্ত করে ফেলতে পারায় নিজেকে বেশ কাবিল মনে হচ্ছিল। তো সেই কাবিল আমি দিন দশ বারো আগের এক সন্ধ্যায় নিজবাংলোর পার্কিংলটে আনমনে গাড়ী পার্ক করতে গিয়ে, গাড়ীর বা দিকের পেটে লাগিয়েছিলাম এক জোর ঘষা, পার্কিংলটের পিলারের সাথে। যদিও ফুললি লোডেড গাড়ীটি, এব্যাপারে অবশ্যই এলার্ম বাজিয়ে সতর্ক করেছিল, কিন্তু কাবিল আমি তো তাতে কান দেইনি। ফলে ঘটেছিল সেই বিপত্তিটি।

অবশ্য এই বিপত্তিটি যে কেমন জটিল ঝামেলা তৈরি করতে পারে এ নিয়ে মোটেও ধারণা ছিল না অধমের, আজ সকালের আগে। ঐদিন ঐ ঘষাটি লাগবার পর, প্রায় নতুন আকাশী রঙ্গয়ের বিশাল এই সিডানটির পেটের ঐ দাগটি দেখে মনটা খচ করে উঠতেই বরং ভেবেছিলাম, আরে চকচকে রূপালি আধুলির মতো ঐ চাঁদেও তো আছে, কলঙ্ক। অসুবিধা কী! সময় করে একদিন ওয়ার্কশপে পাঠিয়ে ডেন্টিং পেইন্টিং করিয়ে নিলেই তো হল। কিন্তু তারপর অফিসের নিয়ম অনুযায়ী এমতাবস্থায় কী কী করতে হয়, পাঠাতেই বা হয় কোন ওয়ার্কশপে তা আর খোঁজ নেইনি সাথে সাথে। এভাবে দু তিন দিন কেটে যাবার পর ভুলেই গিয়েছিলাম ব্যাপারটা বেমালুম। কিন্তু আজই সকালে আমার টিমের অত্যন্ত স্মার্ট ও চটপটে স্বভাবের তরুণ প্রডাক্ট ম্যানেজার মিশরি আহমেদ নাশাত, যাকে এরই মধ্যে তার স্মার্টনেস, বুদ্ধিমত্তা ও করিৎকর্মা স্বভাবের কারনে বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছি, গ্যারেজে পার্ক গাড়িটির ঐ কলঙ্কটির দিকে আজ সকালে তার চোখ যেতেই, হন্তদন্ত হয়ে রুমে ছুটে এসে বলেছিল– ‘. সেলিম, এঙিডেন্ট করলে কখন? কোথায়? আঘাত লাগেনি তো তোমার কোন? পুলিশকে জানিয়েছ তো?’

না তো এঙিডেন্ট তো করিনি। কেন বলছো ওকথা? “তাহলে তোমার গাড়ির পেটে যে বেশ বড় একটা দাগ দেখলাম। দেবেও গেছে তো জায়গাটা! ওটা কেমনে হল?” এই প্রশ্ন করতেই গোটা বিষয়টি নিজেরও মনে পড়লে, বলেছিলাম তা নাশাতকে। শুনে বলেছিল সে-‘সৌদির, নিয়ম হল, যখনই রাস্তায় কোন গাড়ীর সাথে কোন গাড়ীর টক্কর লাগবে, সাথে সাথেই দুই গাড়ীর চালককেই গাড়ী থামিয়ে পুলিশকে ডেকে আনতে হবে। পুলিশ আসার পর ডাকতে হয় দুই গাড়ীর ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে। ইন্সুরেন্স কোম্পানির লোক এসে গোটা ব্যাপারটি দেখে, রিপোর্ট তৈরি করার পর পুলিশ দুই চালকের অনপাত্তির উপর নির্ভর করে, হয় দুজনকেই ছেড়ে দেয়, নয়তো সম্ভাব্য দায়ী যাকে মনে করে তাকে জরিমানা করে। তবে কোন গাড়ীর ধাক্কায় কেউ যদি মারা যায়, তবে হন্তারক চালককে ধরে, সোজা পাঠিয়ে দেয় জেলে । আরেকটা ব্যাপার হল, দুই গাড়ীর চালকের মধ্যে যদি একজন হয় সৌদি অন্যজন বিদেশী, তবে ধরে নিতে পারো, পুলিশ কিন্তু বিদেশীর ঘাড়েই দোষ চাপাবে। সৌদি পেয়ে যাবে বেকসুর খালাস’। এখানকার ট্রাফিক আইনের এই বিষয়টি প্রথমবারের মতো নাশাতের কাছ থেকে জানতে পেরে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বললাম, আমার ক্ষেত্রে তাহলে করনীয় কী? ঘটনা তো ঘটেছে আমার কমপাউন্ডে আমারই পার্কিং লটে আমারই হাতে। এখানে তো আসামি ফরিয়াদি দুইটাই আমি নিজে।

তা জানি না। আমি জানি যে পুলিশে রিপোর্ট করতেই হয়। না হয় ইন্সুরেন্সও তো দেবে না ক্ষতিপূরণ। এর চেয়ে বড় ঝামেলা কি জানো ডঃ সেলিম? এই ঘটনা যেহেতু পুলিশের রিপোর্ট করে কোন ছাড়পত্র নেয়া হয়নি, এমতাবস্থায় গাড়ী চালানো বা পার্কিং করা অবস্থায় যদি এটি কোন পুলিশের নজরে পড়ে, তবে সে কিন্তু ঝামেলা করতে পারে। কী কী ঝামেলা যে করবে তা জানি না। শুধু জানি এখানকার পুলিশদের আমেরিকান ইউরোপিয়ান বাদে বিদেশীদের ঝামেলায় ফেলার ব্যাপারে জুড়ি নাই।”

নাশাতের এ বয়ানে সত্য সত্যই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম সাত সকালে। কারণ ইমিগ্রেশন পুলিশকে আমার বাংলাদেশী পাসপোর্ট হাতে নিয়ে যে রকম তাচ্ছিল্য করতে দেখেছি, সে কথা মনে পড়তেই বুঝে গেছি যদি পড়তাম এরই মধ্যে রিয়াদ শহরের কোন সড়ক পুলিশের পাল্লায়,তবে কী যে হেনস্থা হতো! এমনকি আমাকে নিয়ে গিয়ে সোজা পুরে দিতে পারতো হাজতেও। কারণ ভাষাগত বিড়ম্বনার কারণে আমার কথা শুনে ঘটনা বোঝার চেয়ে, ওটাইতো সহজ পন্থা। তদুপরি নাই যেহেতু আমার ইকামা, বরং ভিসায় ছাপ মারা আছে ‘নট ফর ওয়ার্ক’, ওটাইতো হাজতে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। সবার উপরে আমাকে ঝামেলায় ফেলার জন্য পুলিশের জন্য আর যা যথেষ্ট তা হলো, এরা তো আমাদের মিসকিন মনে করে। তো মিসকিনের আবার কিসের অধিকার!

ভাবতে ভাবতে সম্ভাব্য আশংকায় হাতপা ঠাণ্ডা হয়ে এলেও প্রাণপণে চেষ্টায় মুখে তার কোন ছায়া পড়তে না দিয়ে বলেছিলাম, আচ্ছা তুমি কি দেখবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় কিভাবে? দরকার হলে এখনি না হয় ফোন করে পুলিশকে ডেকে বলি যে, এই ঘটনা আজই ঘটেছে গ্যারেজে।

না, না তা না। এটা যে পুরানো দাগ, তা তো বোঝাই যায়। তবে চিন্তা করো না ডঃ সেলিম, সমাধান একটা বের করেই ফেলবো। ডঃ রাদির সাথে আলাপ করে দেখি । আমিতো মাত্র দুবছর হলো এসেছি, ডঃ রাদি এখানে আছে গুনে গুনে ১৮ বছর। এখানকার আইনকানুন কানেকশন অনেক ভাল জানা তার।’ এ বলে নাশাত অফিস থেকে চলে যাবার মিনিট দশেকের মধ্যে, মুখে রাজ্যের দুশ্চিন্তা নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকেছিল এরই মধ্যে আমার কাছে তুমুল ফাঁকিবাজ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তোলা আরেক মিশরি প্রডাক্ট ম্যানেজার, হার্ডনাট আহমেদ আফিফি। চোখ মাথায় তুলে বলেছিল

. সেলিম, শুনলাম তুমি এক বিরাট ঝামেলায় পড়েছো? সমস্যা নাই, আমার এক কাজিন আমরা যে ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে গাড়ীর ইন্সুরেন্স করি ওটাতে আছে। ডাকছি তাকে।’ এতে প্রথমেই মনে পড়েছিল ফিল যে বলেছিল, এখানে কোন কথাই থাকে না গোপন, বরং ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত; সেই কথাটি। তা ভাবতে ভাবতে হেসে আফিফিকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেছিলাম; শোন আমার তো অফিসিয়াল নিয়ম পালন করতে হবে। আগে তাই যাই দেখি গিউসির পরামর্শ নেই। কেন না আফিফির উপর আমি মোটেও আস্থা রাখতে পারছিলাম না।

অতঃপর সাথে সাথেই গিউসির রুমে গিয়ে ব্যাপারটি ব্যখ্যা করলে, কোজাক তার মাথার কপালে বেশ কিছু ভাঁজ ফেলে কিছুক্ষণ চুপচাপ ভেবে বলেছিল সে– ‘দাঁড়াও দেখি টয়োটার ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানাজারের সাথে কথা বলি। এই ডিস্ট্রিবিউটর খুব পাওয়ারফুল শেখ। আমরা তাদের বড় কাস্টমার। এছাড়া গাড়ীটি তো এখনো ওয়াররেন্টি পিরিয়ডে আছে। দেখি সে কী বলে?’- এ বলেই মোবাইলে বেশ কিছুক্ষণ ওপাশের কারো সাথে অবোধ্য আরবিতে বাৎচিত করে, হেসে প্রথমেই যা বলছিল একটু আগে তা হল– ‘খালাস!’ তারপর যোগ করেছিল সে ‘কোন চিন্তা নাই! গাড়ীর চাবি দিয়ে রাখো । ডিস্ট্রিবিউটরের লোক এসে নিয়ে যাবে। দু তিন দিনের মধ্যেই সব ঠিকঠাক করে দিয়ে যাবে। তোমার বা আমার আর কিছু করতে হবে না!’ এ শুনে তুমুল হাফ ছেড়ে বাঁচলাম আর কী!

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণসাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগেমস আসক্তি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধসমকালের দর্পণ