দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

রান্নাঘরে মেজবানি রান্না নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত আমার, তুমুল মনোযোগ কেটে গেল এইমাত্র বসার ঘরের দিক থেকে আসা যান্ত্রিক গোঁ গোঁ শব্দে। কিসের শব্দ? ঘরের কোন মেশিন টেশিন, মানে বসার ঘরের বা ডাইনিং স্পেস লাগোয়া এসিটা বিগড়ে গেল নাকি?

প্রথমে এমত একটু ভির্মি খেলেও পড়লো মনে সাথে সাথেই, আরে এ আওয়াজ তো হল, ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের। ঘণ্টাখানেক আগে আমার সাথে দেখা করতে আসা এবং সৌদিতে এসে পরিচিত হওয়া দেশী থার্ড পার্সন মানে তৃতীয় ব্যক্তি আরিফ, বাথরুমের কাজ ও নানান রুমের ঝাড়পোঁছ শেষে, পড়েছে এখন ঘরজুড়ে বিরাজমান কার্পেট নিয়ে, কিছুদিন আগে কেনা আমার ভ্যাকুম ক্লিনারে সজ্জিত হয়ে।

যতোই বাড়ি ভাড়াবিষয়ক আলোচনার সময়, গ্রানাডা এক্সপার্ট কমপাউন্ডের ম্যানেজার বুক ফুলিয়ে বলে থাকুক না কেন যে, দিচ্ছি তোমাকে একটা ফুললি ফারনিশডই না ফুললি লোডেড বাড়িও। কিচ্ছুটিই কিনতে হবে না তোমাকে। শুধু হুট করে এসে চট করে ঢুকে পড়লেই হল, সবই পাবে হাতের কাছেই। কিন্তু বাড়িতে ওঠার দু দিনের মধ্যেই আবিষ্কার করেছিলাম এতো বড় ফ্ল্যাটটির টয়লেটগুলো ও রান্নাঘর বাদে পুরোটাই মোটা কার্পেট মোড়া হলেও, সেই কার্পেট পরিষ্কার করার অনিবার্য যন্ত্র ভ্যাকুয়াম ক্লিনার নাই মজুদ ঘরে!

এমনিতে ফ্ল্যাটে ঢোকার সদর দরজাটি বাদে, সার্বক্ষণিকভাবে এর সকল এয়ারটাইট জাতের জানালাসমূহ বন্ধ থাকার পরও এতে রিয়াদ শহরের বাইরের কোন দূর মরুভূমি থেকে সূক্ষ্মাদিসূক্ষ্ম ধূলিকনা বাতাসে উড়ে এসে, কোন ফাঁক ফোঁকর দিয়ে ঘরেও যে ঢুকে জুড়ে বসতে পারে, তার তো নমুনা প্রায়শঃ পড়েছে চোখে অফিসে। আপাতদৃষ্টিতে রিয়াদের শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মরুর লু হাওয়াকে যতোই ধুলোবালি মুক্ত মনে হউক না কেন, অফিসের ক্লিনার যখনই কাজে ফাঁকি দেয়, তা যে ধরা পড়ে যায় অচিরেই, অফিসের টেবিল চেয়ারের স্থানে স্থানে জমে থাকা মিহি ধুলোর আস্তরের উপস্থিতিতে, তাতেই তো এখানকার বাতাসে ধুলোর উপস্থিতি যে আছে, প্রমাণিত হয় তা হাতে নাতে।

আর এখানে এই ফ্ল্যাটে আবস্থা আমার, বিরানদ্বীপে আটকাপরা একাকী নাবিক আলেকজান্ডার শেলকার্ক মতো, আই এম দ্য মনার্ক অব অল আই সার্ভে, যতোই মনে হউক না কেন, যাতায়াত তো আমার ঐ পাশের মাস্টার বেডরুম, সে রুম লাগোয়া স্নানঘর, বসার ঘরের একটা সোফা, ডাইনিং টেবিলের একটি নির্দিষ্ট চেয়ার এবং এ পাশের রান্না ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ । অন্য দুটো বেডরুম, বাথরুমসমূহ , স্টোর এসবে সেই প্রথম দিন উঠার পর এক চক্করে সবগুলো জরীপ করার পর, ওইসবে তো আর উঁকিও দেইনি। আর সেদিন যদিও ঐ পাশের ত্রয়ী শোবার ঘর ও এ পাশের দশাসই আকারে রান্নাঘরের মাঝখানে বিশাল উপত্যকা হয়ে বুক চিতিয়ে থাকা ড্রয়িং কাম ডাইনিং স্পেসের কার্পেটের উপর দৃশ্যমান কোন ময়লা চোখে না পড়লেও, যেই না আবিষ্কার করেছিলাম, ঘরে কার্পেট পরিষ্কার করার ভ্যাকুম ক্লিনার নাই , তাতেই কেন জানি সারাক্ষণ মনে খচ খচ করছিল এই যে, সারাদিন এই ঘরটিকে মানব চলাচলহীন পেয়ে নিশ্চয় বাতাসে ভেসে আসা সব ধূলিকনারা গ্যাঁট হয়ে বসে গেছে কার্পেটের গভীরে। ফলে তড়িঘড়ি করে সেদিনই কিনে ফেলেছিলাম ভ্যাকুম ক্লিনার। আর কেনার পর, সেটির ম্যানুয়েল পড়ে পড়ে, ঐটির সাথে বেশ ধস্তাধাস্তি করে কার্পেট পরিষ্কার অভিযান চালাতে গিয়ে, ঘরময় বিরাজমান ঠাণ্ডাই যন্ত্রের শীতলতাকে অবলীলায় উপেক্ষা করে ঘেমে নেয়ে উঠায়, সেদিনকার মতো ঐ কাজে ইস্তফা দিয়ে, ভেবেছিলাম প্রথম, “প্র্যাকটিস মেক্স ম্যান পারফেক্ট”। কিছুদিন প্র্যাকটিস করলেই হয়ে যাবে। এই যন্ত্র তো চালাইনি কোনদিন আগে তাই হয়তো একটুতেই ঘেমে নেয়ে উঠেছি।

সাথে এও মনে হচ্ছিল ইস, খুব ভাল হতো যদি কাউকে পাওয়া যেতো যে সপ্তাহে অন্তত একদিন এসে ঘরদোর সব পরিষ্কার করে দিয়ে যাবে। সেসময় প্রথমেই মনে পড়েছিল অফিসের গার্ড হারুন মজুমদারের কথা । কিন্তু সাথে সাথেই সে চিন্তা নাকচ করে দিয়েছিলাম। কারণ ড্রাইভার সাইফ জানিয়েছিল, যেদিন অফিসের স্টোরে থেকে আমার মালপত্র পাঠানো হয়েছিল এই ফ্ল্যাটে, সেদিনই নাকি হারুন ঠিক করেছিল যে, আসবে সে মালপত্রের সাথে, ঘর গোছগাছ করে দেবার জন্য। কিন্তু যখনই শুনেছে সে, যে এই কমপাউন্ডে ঢুকতে হলে তাকে তার ইকামা জমা দিতে হবে সিকিউরিটি পোষ্টে, তাতে দমে গিয়েছিল সে। জানি না এর কারন কী? আর সে কারণ জেনে যেহেতু, না হবে তার কোন লাভ, না আছে তাতে লাভ আমার, লাভালাভের এই দুনিয়ায় তাই মাথা ঘামাইনি আর তা নিয়ে।

তবে এখন থেকে ঘণ্টা দেড়েক আগে আরিফ মিয়া এসে হাজির হবার পর হাতে হাতে সে সমস্যার সমাধা মিলে যেতেই, ফুরফুরে মেজাজে ঐ যে বললাম মেজবানি রান্না, তাতে মনোযোগ দিয়েছিলাম। হ্যাঁ আজ দুপুরের জন্য ঠিক করা মেন্যুতে, অবশ্যই গরুর মাংস ভুনা আছে; তবে সেটা চাঁটগার বিখ্যাত মেজবানি মাংস নয়। ঐ রান্নার কেরামতি তো জানিই না। তারপরও আজকের এই রান্নাভিজানটিকে মেজবানি রান্না বলছি, কারণ অবশেষে জিয়া সপরিবারে আজ দুপুরে আমার এখানে খাওয়া দাওয়া করার দাওয়াত কবুল করেছে। সে আনন্দে রান্নার তোড়জোড় গতরাতে শুরু করলেও মূল রান্নাটা করবো সকালে, সেটাই ভেবে রেখেছিলাম।

তো সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে, ডাইনিং টেবিলে বসে চা খেতে খেতে, বড় সড় এই টেবিলের অব্যবহৃত অংশে, মানে উল্টা দিকটার কাচের উপরে ধুলোর প্রলেপ দেখে ভাবছিলাম, ভাবি মানে জিয়ার স্ত্রীর চোখে ওটা পড়লে, ভাববেন টা কী? নাহ ওরা আসার আগেই আর কিছু না হোক, নানান জায়গায় জমে উঠা দৃশ্যমান ধুলোগুলোর দফা রফা করতেই হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন হাতে যা সময় আছে, তাত রান্নাই বা করবো কখন? আর ধুলবালি বা ঝাড়বো কখন?

কপাল কুঁচকে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে এসব ভাবছিলাম যখন, ঠিক তখনই দরজায় বেল বেজে উঠতেই মনে হয়েছিল, যাহ! যাকে বলে পড়বি পর মালির ঘাড়ে, অবস্থা কী সেটাই হল নাকি? এ ভাবতে ভাবতে গিয়ে দরজা খুলতেই, জিয়াদের বদলে মুখোমুখি হয়েছিলাম আরিফ মিয়ার। কাচুমাচুভাবে সালাম দিয়ে বলেছিল সে : “স্যার আমি আরিফ মিয়া। আপনের সাথে ফোনে কথা কইছিলাম দুই তিনবার এর মধ্যে। আমি এখানকার গার্ডিনার, মাইনে বাগানে কাজ করি। আপনে কইছিলেন ছুটির দিনে আপনারে পাওয়া যাইব তাই, আইজ আইলাম দেখা করতে।”

হ্যাঁ, এখানকার ম্যানেজারের মতে এই কমপাউন্ডের জন্মের পর এই প্রথম এখানে একজন বাংলাদেশীর এখানে স্থান হওয়ার খবরটি কী করে যেন দ্রুতই কানে গিয়েছিল, বিক্রমপুরের তরুণ আরিফে। তাতে এখানে উঠার দু কি তিনদিনের মধ্যেই একসন্ধ্যায় ফোন করেছিল ফ্ল্যাটের ল্যান্ডফোনে। তারপর করেছে ফোন আরো কয়েকবারই। যদিও বুঝতে পারছিলাম না কেন সে করছে ফোন, তারপরও বারবার তার পেয়ে বলেছিলাম, যে কোন ছুটির দিনে এসে যেন সে দেখা করে যায়। দেশী মানুষ যখন, চেনাজানা থাকা ভাল। তারই যেরে এসেছিল আরিফ আজ

তো দরজা খুলে আরিফকে দেখে তার পরিচয় পাওয়ার পর ঘরে ঢুকতে বলতেই , সে তার জুতা খুলতে শুরু করতেই, তা না করার জন্য মানা করলেও শোনেনি সে। এ কি কার্পেট নোংরা না করার মানসে সে করছে, নাকি এখানকার নিয়ম অনুযায়ী বসদের ঘরে বা রুমে জুতা পরে ঢোকা নিষেধ বলেই সে অমন করছিল জানি না।

ঘরে ঢোকার পর, সে নাস্তা করেছে কি না জিজ্ঞেস করেছিলাম? উত্তরে হ্যাঁবোধক জবাব পাওয়ার পর নিজে যেহেতু চা খাচ্ছিলাম, তাই সেও চা খাবে কি না জানতে চাইতেই, তুমুল অস্বস্তিতে না বলে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমার কাছে থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে দরজার কাছেই।

এরপর দুজনেই বলার মতো কোন কথা খুঁজে না পাওয়ার দুজনের মাঝখানে দীর্ঘতর যে নীরবতা স্থান করে নিয়েছিল তা অতিক্রম করে অকস্মাৎ আরিফ মিয়াকে, সপ্তাহে অন্তত একদিন আমার ঘর পরিষ্কার আর গাড়ি ধুয়ে দেবার জন্য কাউকে খুঁজে দিতে বলতেই কাজ হল মন্ত্রের মতো

যাবতীয় জড়তা দ্রুত ঝেড়ে ফেলে গা ঝাড়া দিয়ে বলল আরিফ “ক্যান স্যার, আমি আছি না ? আমিই কইরা দিমু।

এক্কেবারে ঘাড়ের উপর এসে পরা আপাত মুশকিলের এরকম আসান হওয়ায়, নিজে যেমন সেই থেকে নিবিষ্ট মনে রান্না করছিলাম, তেমনি অন্যদিকে মহাউৎসাহে কাজে লেগে যাওয়া আরিফ ঘরের যাবতীয় আসবাবের ঝাড়পোছ শেষ করে এরই মধ্যে যে শুরু করেছে কার্পেটের ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং, ঐ গোঁ গোঁ শব্দ সেটিই জানালো আর কি একটু আগে।

এসময়, ঐ যান্ত্রিক গোঁ গোঁ শব্দের উপর গলা উঁচিয়ে এসময় বসার ঘরের ল্যান্ড ফোনটি আর্তনাদ করে উঠতেই ভাবলাম, কে খুঁজছে এখন আমায়, তাও আবার ল্যান্ডফোনে? ভাবতে ভাবতে দ্রুত গিয়ে ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে ভাঙ্গা খাজুইরা ইংরেজিতে যা শুনলাম, বুঝলাম তাতে সিকিউরিটি পোস্ট থেকে জানাচ্ছে গার্ড, জিয়ারা চলে এসেছে।

ভুনামাংস রান্না করা আমার প্রায় শেষের দিকে, তাই সেটার চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিলাম। আর স্বয়ংক্রিয় রাইস কুকারে বসানো খিচুড়ি নিয়েতো সমস্যা নাই। তারপরও আরিফকে রান্নাঘরের দিকে নজর রাখতে বলে নেমে গেলাম নীচে জিয়াদের রিসিভ করার জন্য।

গেটের একদম কাছেই ফ্লাটের অবস্থান হওয়ায়, নীচে নেমে গাড়ি বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখতে পেলাম জিয়ার গাড়ি । একই সাথে জিয়াও আমাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত এদিকে এসে নিপুণ হাতে আমার গাড়ির পাশের খালি জায়গায় গাড়ী পার্ক করে, হুড়মুড় করে বেরিয়েই বলল : “এখানে ঢোকা তো দেখি বিশাল যন্ত্রণা। তবে সেলিম ভাই চমৎকার একটা জায়গা। ওয়াও! এটা কি আপনের গাড়ি নাকি?”

হ্যাঁ, মানে না। কারণ গাড়িটা অফিসের, তবে বরাদ্দ আমার নামে? চলেন চলেন ঘরে চলেন বলে সিঁড়ির দিকে এগুতেই বউবাচ্চাসমেত পিছু পিছু সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে বললো জিয়া : “রাখেন তো সেলিম ভাই । আপনি হইলেন বড় বস। চিন্তা করেন তো, দেশে তো এই একই কোম্পনির এমডিও এরকমই গাড়ি পায় না। বুঝলেন সৌদির এইটা মজা।’

কিন্তু জিয়া, সৌদির মজা তো পুরা পাইতেছি না। ইকামা তো নাই। আছি তো সিঙ্গেল এন্ট্রি হাজতি ভিসায়। তাও আবার “নট পারমিটেট ফর ওয়ার্ক” ছাপ্পড়মারা ওটা। কোন সময় যে পরি কোন গ্যাঁড়াকলে?

আরে দূর। এখানে এসব কিছুই না। শুরুতে আমি এখানে অডিট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিলেও ভিসা কিন্তু ছিল কারপেন্টারের। তারপর ৬/৭ মাসের মাথায় কোন এজেন্সি, না জানি কারে ধইরা কোম্পানি হাজার কয়েক রিয়াল খরচ কইরা, আমার জন্য প্রফেশনাল ইকামা বাইর করছে। তারপরেই তো আনতে পারছি ফ্যামিলি। সৌদিতে ছোট বড় সব মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির এজেন্সিশিপই হয় আছে রাজ পরিবারের হাতে, নয়তো তাদের সাথে কানেক্টেড বড় কোন শেখের হাতে। এসব কোন ব্যাপারই না তাগো কাছে। আপনেরটাও হইয়া যাইব।”

জিয়ার কথা শুনতে শুনতে এসময় ঘরে ঢুকে সবাই সোফাসিন হতেই, জিজ্ঞেস করলাম ভাবীকে চা বানাবো কি না ?

না ভাই। চা খেয়েই বেরিয়েছি। আমি একটু আপনার বাসাটা ঘুরে দেখতে চাই ভাই?”

অবশ্যই, যান যান ভাবি দেখেন। তারপর গলা উঁচু আরিফকে আপাতত ঘর পরিষ্কারের কাজ বাদ রেখে গাড়ি ধোঁয়ার জন্য বলে, টিভির রিমোটে ব্যস্ত জিয়াকে জিজ্ঞেস করলামআচ্ছা জিয়া যতোটা জানি আপনার পারিবারিক অবস্থা এবং তার সাথে জানি ফিনান্সের একজন তুমুল মেধাবি ছাত্র আপনার আছে সে বিষয়ে ধারালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, তাতে কী এমন দরকার পড়েছিল আপনার এই মরুতে ঐ কারপেন্টার ভিসায় আসার, বলেন তো?

বুঝলেন সেলিম ভাই, ছোটবেলা থেকেই আশা ছিল মনে, যদি কোনদিন সুযোগ পাই তবে ইসলামের জন্মস্থানে কাজ করতে আসবো। তাই আসা, কিন্তু” নাহ , জিয়া উচ্চারিত ঐ কিন্তু থেকেই তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে মনে মনে ভাবলাম প্রথমে, আরে এ তো দেখি আমার আব্বার তরিকার লোক! ফলে আব্বাকেই অনুকরণ উচ্চারণ করলাম মুখে

বাহ ! সোবানাল্লাহ ! আলহামদুলিল্লাহ!

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণসাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্যায় কাজ পরিহারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করাই নামাজের মূল উদ্দেশ্য
পরবর্তী নিবন্ধনারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে