দেশ হতে দেশান্তরে

সংখ্যালঘুত্বের সিনড্রোম

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ইদানীং নিজের মধ্যে থেকে থেকেই যে এক বিশেষ ধরনের অস্বস্তি টের পাচ্ছি, সেটিকে কি সংখ্যালঘুত্বের সিনড্রোম বলবো কি না, বুঝে ওঠতে পারছি না ঠিক। তবে আসছি সে প্রসঙ্গে ক্ষণকালের মধ্যে। আপাতত পেশাগত যে কারণে পাঠিয়েছে কোম্পানি এই অধমকে এই মরুতে, বলি সে বিষয়েই।

ঘটনা হচ্ছে পেশাগত সেই দায়িত্ব পালনার্থে, ব্যবসা প্রশাসনের ভাষায় যাকে বলে আমার গ্লোবাল কোম্পানিটির সৌদি ভার্সনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনার ডকুমেন্টস অর্থাৎ স্ট্রাটেজিক প্লান, বিজনেস প্লান ও নানান প্রসেস ঘাটাঘাটি করার পাশাপাশি এখানকার কাজকর্মের গতি প্রকৃতি দেখে, এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আনতে হবে বেশ কিছু পরিবর্তন। মানে ঐ যে বলে না সংস্কার, করতে হবে তা। সবই যে এখনি করবো বা করতে হবে তাও না। কিন্তু প্রস্তুতি তো নিতে হবে। ব্যাপার হচ্ছে সে প্রস্তুতি নেয়ার কালেই কাকে কাকে যে পাবো পাশে? এ এক বিরাট প্রশ্নবোধক। এ যাবতকালের অভিজ্ঞতা বলছে যে, মানুষ যতোই জানুক না কেন, ‘এই দিন দিন না আরো দিন আছে’, আর সামনের দিনগুলো যে আগের দিনের মতো হবে না, বদলে যাবে অনেক কিছুই, তারপরও কোন কিছুই বদলাতে রাজি নয় তুমুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। ব্যতিক্রম শুধু অতিমাত্রায় সংখ্যালঘিষ্ঠ নেতৃত্বগুনসম্পন্ন মানুষেরা।

আবার ঐ সংখ্যালঘিষ্ঠদের মধ্যেও অতি নগণ্য সংখ্যায় থাকেন দু একজন যাঁরা নতুন কিছু করার তাদের তুমুল আগ্রহপ্রসূত কল্পনাশক্তি ও গভীর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার কারনে যে অন্তর্দৃষ্টির অধিকারী হয়ে থাকেন, তাতে তাঁরা চারপাশে নিয়ত ঘটমান ঘটনা থেকে ইংরেজি তে যাকে বলে, সিমিংলি আন রিলেটেড ডটসের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেন। ফলে বলা চলে তারা তাদের অন্তর্দৃষ্টিতে ভবিষ্যতের ছবি আঁকতে পারেন সহজে । তাই কোন সমাজের বা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎযাত্রা একদম নিশ্চিত না হলেও মোটামুটি নিরুপদ্রব রাখতে কোন কোন পরিবর্তন এখনি করা দরকার বুজতে পেরে, তা নিয়ে কথা বলার সাথে সাথে প্রস্তুতিও নিতে থাকেন, দেখতে পায় না মোটেও যা, চোখ থাকিতেও অন্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠরা। অতএব যেই না ঐ চক্ষুষ্মান পরিবর্তনের কথা বলতে শুরু করেন, মুহূর্তেই হয়ে পড়ে তিনি শুধুই সংখ্যালঘিষ্ঠ নন, এমন কি একাকীও। কিন্তু তাতে তিনি পান না ভয়। হন না পিছ পা। প্রয়োজনে কবিগুরুর কথা মতো ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে’ বলতে বলতে এগিয়ে যান।

কিন্তু এই অধম তো আর ঐরকম কাবিল কেউ নই। নিজে বুঝি কম বলে, দেখি চারপাশ খুঁটিয়ে। আর অযথাই ভাবি সে সব নিয়ে। ফলে নিয়ত নানান প্রশ্ন জাগে মনে। সেইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য চারিদিকে নিরলসভাবে প্রশ্ন ছিটানোর ফলে চোখে পড়ে নানান ফাঁক ফোঁকড়। তদুপরি নিজের বেকুব বাচাল স্বভাবের কারণে যখনই চোখে পড়ে কোন ফাঁক ফোঁকর, বলেও ফেলি তা অকপটে। আবার শুধু বলেই যে ক্ষান্ত থাকি তাও না। পেশাগত জীবনের নানান বাঁকে বাঁকে এরকম উদাহরণ আছে বিস্তর। এই যেমন সেদিন হাশিশ আর সারবিনির ঐ চিঠি বিষয়ক ঘটনা সামনে আসার কারনে এবং তাদের প্রশ্ন করে, কথা বলে, চোখে পড়েছে যা, তা হলো কোম্পানির সেলসের মতো কাস্টমার ফেসিং গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেন, তাদের যে সময়ে কাস্টমার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সে সময় সারবিনিকে প্রথম ধর্না দিতে হয়েছে হাশিশের অফিসে। তারপর যেতে হয়েছে তাকে মহসিনের ওখানে এবং সবশেষে এসেছিল আমার কাছে। অথচ অফিসের ভেতরে এরকম ধর্না দেয়া তো তার কাজ না!

অবশ্য এটাই তো প্রথম না। এখানে আসার পর থেকেই সারক্ষণই যাদের নানান টেবিলে টেবিলে দৌড়ঝাঁপ আর ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি, ভাবভঙ্গিতে তাদের সবাইকে সেলসের লোকই মনে হয়েছে। তার মানে তো হচ্ছে আমাদের দেশে যেমন মার্কেটিং এর কোন একটা পদ নিয়ে অফিসে বসে যেতে পারলেই কেউ, কেউকেটা বনে গিয়ে হয়ে যায় সে বঙ্গের লাট এবং সেই ভাবের চোটে অহেতুক তারা খাটাতে শুরু করে সেলসের লোকজনদের, একই ব্যাপার যে এখানেও মহামারীরূপে বিদ্যমান বুঝতে পেরেছিলাম হাতে হাতে তা হাশিশ সারবিনির ঐ ঘটনায়!

এছাড়া ঘাড়ের উপর দাঁড়িয়ে থেকে ঐরকম ঘাড় ধরে সই করিয়ে নেয়ার ব্যাপারটাও মোটেও পছন্দ হয়নি। অভিজ্ঞতা থেকে জানি সময়ের কাজ সময়ে করার বদলে অবহেলায় তা এক পাশে ফেলে রাখে যারা, তাদেরই মাথার উপর যখন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে, তখন তারা তাদের বসসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঘাড়ে চেপে বসে এক্কেবারে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো। আবার কিছু ধূর্ত প্রকৃতির সহকর্মী, নিজেদের দুর্বলতা, অলসতা, ফাঁকিবাজি গোপন করার জন্যও ইচ্ছে করেই বসদের এরকম অবস্থায় ফেলে। স্বল্পভাষী ও দেহভঙ্গিতে কিছুটা গোঁয়ার স্বভাব ধারণ করা হাশিসকে আমার ধুরন্দর বা ধূর্ত মনে না হলেও তার যে প্লানিং দুর্বলতা ভালই আছে বুজতে পেরেছিলাম সেদিন।

তো সেই থেকে যা মনে হয়েছে, তা হল বসতে হবে আমাদের হেড অব সেলস মোহাম্মেদ খলিলের সাথে। সেলসের লোকজনের অফিসে ঘোরাঘুরি করাটাকে সে কিভাবে দেখে, বুঝতে হবে তা আলোচনা করে। আর ঘণ্টা খানেক পরেই হবে খলিলের সাথে সেই ফর্মাল মিটিং। তাতেই এই মুহূর্তে ঐ যে বলেছি শুরুতে যে সংখ্যালঘিষ্ঠ সিন্ড্রোমের কথা, পাল্লায় পড়েছি সেটির, যেটির অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি।

হবেই বা কিভাবে? জন্মেছি এবং বেড়ে উঠেছি তো পলিমাটির দেশের তুমুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর গর্বিত নাগরিক হিসেবে। হ্যাঁ, পেশাগতভাবে কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে গিয়ে প্রায়শই সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে পড়লেও, সেই চ্যালেঞ্জ তো উৎরে গেছি প্রথমত বিখ্যাত ম্যানেজমেন্ট গুরু পিটার ড্রাকারের ম্যানেজমেন্ট বাই অবজেক্টিভস সূত্রের সাথে লিডিং উইথ পারপাস মিলিয়ে। দ্বিতীয়ত সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছি এই বলে যে, যে পরিবর্তন আনছি তা কীভাবে তাদের নিজেদের পারফরমেন্সকে ভাল করার সাথে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য সহায়ক হবে তা বলে। তৃতীয়ত থেকেছি সবসময় শুধুই পারফরমেন্স বায়াসড। কিন্তু এখানে যে ঐ ফর্মুলা কাজ করবে না, বুঝে গেছি তা।

মানুষ সামাজিক জীব ছোট থেকেই এই কথা অজস্রবার শুনলেও, যতোই দিন গেছে মনে হয়েছে আমার এই যে, অন্য প্রাণী থেকে মানুষের ভিন্নতা তার ঐ সামাজিক হয়ে উঠায় নয় বরং তার আছে প্রোথিত তা তার রাজনৈতিকতায়। নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য মানুষ এই রাজনীতি নিয়ে আসে, যে কোন সংগঠনে, সংস্থায়, গোষ্ঠীতে। আজকালকার তথাকথিত গণতন্ত্রের যুগের মানুষের রাজনৈতিক সেই খেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার কার্ড খেলে তারা অহরহ, প্রতিপক্ষকে সংখ্যালঘিষ্ঠ করে তাকে শুধু হারিয়ে দেবার জন্যই না, এমন কি নিপীড়ন নির্যাতন করার জন্যও। সংখ্যাগরিষ্ঠতার এই খেলায় যে কার্ডগুলো খেলা হয় অহরহ তার মধ্যে গাত্রবর্ণ, ধর্ম, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, জাতীয়তা, অন্যতম। সে মোতাবেক এই সৌদি কর্মস্থলে একমাত্র বাঙালি হিসেবে সংখ্যালঘিষ্ঠ না শুধুই, একদমই একাকী আমি। তদুপরি বাঙালিদের ব্যাপারে সৌদিদের মনোভাব সম্পর্কে আগে যা জানতাম শুনে শুনে, এখানে এসে তো তা প্রত্যক্ষ করছি অহরহই।

এই যেমন দিন দুয়েক আগের সন্ধ্যায় এই অফিসের দ্বিতীয় বাঙ্গালী, সিকিউরিটি গার্ড কুমিল্লার হারুন মজুমদার গাড়ী বারান্দায় আমাকে দেখতে পেয়ে বরাবরের মতো দৌড়ে এসে সালাম দিয়ে টুকটাক কথা বলতে বলতে বলেছিল শেষে

স্যার, আর বইলেন না। অইদিন মেজাজটা আমার এক্কেরে খারাপ হইয়া গেছিল। ইচ্ছা হইছিল ঐ স্টোরে যে দুই সৌদি কাম করে তাগর থোতা ফাটাইয়া দেই।’ কেন? কি করেছে তারা?

আমার সাথে না স্যার। এই বেটারা তো এমনেই কোন কাজই তো করে না। অফিসে আইসা ফাঁকি দিয়া ঘুমাইলেও মিশরি সুপারভাইজার তাগোরে কিছু কয় না। হেরা আপনে ঐ নতুন গাড়ি পাইছেন শুইনা, সাইফরে কয়, ঐ মিসকিনরে এই গাড়ি কেমনে দিল কোম্পানি! আমি তো আরবি বুঝি, শুইন্না মাথায় এক্কেবারে আগুন ধইরা গেছিল। তয় সাইফ তো সুদানের লোক, দিছে ভাল ঠাসানি দুইডারে।”

টুকটাক এরকম কথা মাঝে সাঝেই আসে কানে হারুন মজুমদারের কারণে। তো সৌদি মোহাম্মেদ খলিলের সাথে এই প্রথম ফর্মাল মিটিংয়ে বসার আগে সেই সব নানান কথাই মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল সেই সকাল থেকে, যাতে মনে পড়েছে সেই সংখ্যালঘিষ্ঠ সিন্ড্রোমের কথা, দেখেছি যা নিজ দেশে সনাতনধর্মী, বৌদ্ধ সহ নানান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে। তাতে প্রায়শই মনে হয়েছে আহারে নিজদেশে যাপন করছে তারা অনিশ্চিত অনিরপাদ পরবাসী জীবন।

নাহ, উঠতে হয় এখন। ঘড়ি বলছে এখুনি যাওয়া উচিৎ নিচতলায় খলিলের রুমে। সুইস কোম্পানিতে কাজ করে সময়ানুবর্তীতার যে ব্যাপারটা রপ্ত করেছি এতদিনে, এখানে এসে সেটি খোয়ানো চলবে। যদিও আরো দশ মিনিট পর মিটিং, তারপরও আগেই চলে যাই না কেন।

নীচতলায় নেমে ডানে ঘুরে লম্বা করিডোরে পা দিতেই শেষ মাথার রুমটির দরজা খোলাই দেখতে পেলাম। তার মানে হচ্ছে আজে মজুদ খলিল অফিসেই। এরই মধ্যে বরাবরের মতো নানান ওয়ার্ক স্টেশনে ঘুর ঘুর করতে থাকা, গুলতাপ্পি মারতে থাকা সেলসের নানানজনের মধ্যে কারো কারো সাথে চোখাচোখি হতেই তাদের সালামের জবাব দিতে দিতে খলিলের রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে সালাম দিতেই– ‘ওয়ালাইকুম। ইয়া হাবিবি সেলিম। ওহ, উই হ্যাভ মিটিং, কাম কাম।’ ধবধবে সাদা তোব আর মাথায় কালো আগল দিয়ে বাঁধা লাল সাদা স্কার্ফ মানে পরিপূর্ণ সৌদি জাতীয় পোশাক পরা খলিল তার স্বভাবসুলভ হাস্যোজ্জল ভঙ্গিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে, সামনে বসে থাকা দুই ফিল্ড ম্যানেজারকে আরবিতে কিছু একটা বলতেই তারাও হসিমুখে আমাকে সালাম দিয়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্রেক করতেই বললাম, সরি, আমি তো একটু আগে চলে এসেছি, তোমরা তোমাদের কথা শেষ করে নাও ।

এরই মধ্যে খলিল চেয়ার চেয়ার ছেড়ে উঠে আমার সাথে হাত মেলাতে মেলাতে বলল, “আরে না না তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। তোমার সাথে তো এখন পর্যন্ত কথাই তো হয়নি ঠিক মতো আমার। এখন তুমি এসেছো নেমে আমার এখানে!” বলতে বলতে রুমের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে চেয়ারে ফিরে গিয়ে ড্রয়ার থেকে নিজের সিগারেটের প্যাকেট বের করে সেটিকে এদিকে ঠেলে দিতে দিতে বলল ‘লেটস স্টার্ট উইথ ইট নাও, মিন্ট টি উইল কাম সুন।’

হাসতে হাসতে তার প্যাকেট থেকে সিগারেট নিতে নিতে ধন্যবাদ দিয়ে সেটির মুখাগ্নি করছি যখন প্রথমে জিজ্ঞেস করলো দিন কাল যাচ্ছে জিজ্ঞেস করেই সোজা পয়েন্টে এসে বলল “টেল মি ফ্রেন্ড, হোয়াট ইউ ওয়ান্ট টু ডিসকাস?”

খলিলের সাথে ইতোমধ্যে যে সব টুকটাক কথা হয়েছে, তাতে যেমন মনে করেছিলাম, এ মুহূর্তে ঠিক তেমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে চমৎকৃতই হয়ে বললাম শোন তুমি হলে কম্পানির রেভিনিউ জেনারেটর টিমের গুরু। তোমার কাছে এখানকার সেলস অপারেশন আর কাস্টমারদের ব্যাপারে শিখতে চাই, যাতে আমার টিমকে বলতে পারি তারা যেন সময়মতো সব ধরনের সাপোর্ট দিতে পারে। ‘আরে, আরে বল কী? শোন, সেলসেই তো কাটিয়েছি পেশাগত জীবনের পুরোটা। তাতে তো জানি সেলসের লোকজনদের বরাতে আছে পিছু পিছু ঘোরাঘুরি করাই শুধু। অফিসে তারা ঘোরে মার্কেটিংয়ের পেছনে, বাইরে কাস্টমারের পিছনে। এই প্রথম স্বয়ং একজন মার্কেটিং হেড কিনা আসলো আমার কাছে!’

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষায় অসতর্কতা : বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাব্য দুর্ভাবনা