দেশ হতে দেশান্তরে

মধুচন্দ্রিমা সমাপন

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

বেশ বেলা করেই উঠেছিলাম ঘুম থেকে। বৃহস্পতিবার মানে সৌদি সাপ্তাহিক ছুটির দিনতো, কী দরকার অতো তাড়াহুড়োর? রিয়াদ ম্যারিয়টের সকাল দশটায় নাস্তা বন্ধ হয়ে যাবার হুমকি না থাকলে, ঘুম না হলেও আরও কিছুক্ষণ গড়াগড়ি দিতাম বিছানায়।

গত দেড় সপ্তাহ আগে দ্বিতীয় বারের মতো রিয়াদ আসার পর, আজ হল এই শহরে আমার দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার যাপন। প্রথম বৃহস্পতিবারটিতে বলা চলে সারাদিনই থাকতে হয়েছিল অফিসে, কারণ বাসেল হেডকোয়ার্টারের ডাকা এক হালি টেলিকনফারেন্স ছিল সেদিন। তাতে সময় কেটে গিয়েছিল এই মরুতে সেইদিন বিনা ঝঞ্ঝাটে। অবশ্য যখনই আমার নতুন বস ফিল রাশ শুনেছিল ব্যাপারটা, বলেছিল-‘শোন ঐ ব্যাটাদের মোটেও লাই দেবে না। গ্লোবাল টিম বা রিজিওনাল টিমের যে বা যারা, যতো বড় কর্তাই হোন না কেন, কোনো দেশের সাথে টেলিকনফারেন্স শিডিউল করার আগে তার এবং তাদের জানা উচিৎ ঐ দেশের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি কবে কবে। এরপর যদি আবার এ রকম বৃহস্পতিবারে টেলিকনফারেন্সের প্রস্তাব পাঠায়, পাল্টা প্রস্তাব দেবে তুমি রবিবারে মিটিঙয়ের। বুঝবে তখন ব্যাটারা। আমি তো তাই করি। এট টাইমস ইউ নিড পুশ ব্যাক দিস গাইস হার্ড, সেলিম !’

ফিলের ঐ কথা শুনে সাথে সাথেই মনে হয়েছিল, আসলেই তো এ জীবনে শেখার কোনো শেষ নাই! দুই দশকের আমার চাকরি জীবনে নেহাতই নিজের অভ্যাসের দোষে নানান সময় দেশী বসদের নানান অন্যায্য আবদার পুশ ব্যাক করে, বেয়াড়া গোঁয়ার ইত্যাকার উপাধি অর্জন করলেও, গ্লোবাল অফিসের বসরা তো দিল্লি দূর অস্ত, আরে ঘরের কাছের সিঙ্গাপুরের রিজিওনাল অফিসের সংশ্লিষ্ট বসদের অযৌক্তিক চাপ বা অবিমৃশ্যকারিতার মুখে, পুশ ব্যাক করা তো দূরের কথা, ভুলেও মনে মনে ভাবিনি তা।

করিনি কারণ, বিশেষত বাংলাদেশের দেশের কান্ট্রি হেড এবং আমার কর্মজীবনের সুদীর্ঘ সময়ের বস, নিতান্তই মাটির মানুষ জাতের ভালো মানুষ মনসুর ভাই তো প্রায়শই তার কথায় এবং আকারে ইঙ্গিতে বোঝান, ঐরকম ভুল যেন, ভুলেও না করি! তাঁর কথা, গোঁয়ার্তুমি যা কিছু আছে আমার, তা যেন থাকে দেশেই চাপা। অথচ এখন কী না এই নতুন ব্রিটিশ বস বলছেন আমায়, গ্লোবাল বসদেরও যাতে ছাড় না দেই ! তার মানে তো হচ্ছে, যৌক্তিক পুশব্যাকে কোনই সমস্যা নাই! এ পর্যন্ত ফিলকে যতোটা জেনেছি বুঝেছি, তাতে তো মনে হয় না সে আমাকে বেহুদা ঝামেলায় ফেলার জন্য এ কথা বলেছে। তদুপরি এই সৌদিতে কান্ট্রি হেড হিসেবে আসার আগে ফিল নিজেই তো বহুদিন ছিল গ্লোবাল টিমের বড়কর্তা। অতএব কান্ট্রি অপারেশন থেকে বিশেষত, ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও বড় দেশ থেকে এরকম পুশ ব্যাক পাওয়ার অভিজ্ঞতা অবশ্যই আছে তাঁর।

আচ্ছা, বাঙালি জাতি হাজার হাজার বছর ধরে গোলামি করার কারণেই কি বিদেশীদের যে কোনো আদেশ, আব্দার বিনা বাক্যব্যয়ে শিরোধার্য করার ব্যাপারটা আমাদের হাড়ে মজ্জায় ঢুকে গেছে নাকি? সৌদি আরবের মতো বাংলাদেশেও তো, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। দেশে কতো শুক্রবারেই তো অফিসে গিয়ে রিজিওনাল অফিসের টেলিকনফারেন্সে যোগ দিয়েছি কোনরূপ ওজর আপত্তি ব্যতিরেকে। পুশব্যাক তো দূরের কথা, কখনওতো তাদেরকে অত্যন্ত তমিজের সাথেও, মনে করিয়ে দেই নি যে, দেখো রে ভাই শুক্রবার হল বাংলাদেশে ছুটির দিন। এখানে তো শুনলাম গ্লোবাল বা রিজিওনাল অফিস, সৌদি টিমকে কখনোই শুক্রবারে জ্বালাতন করে না। তবে হ্যাঁ এই আচানক দেশে বৃহস্পতিবারেই যে সাপ্তাহিক ছুটি শুরু হয়, এটা তাদের মনে থাকে না বলে মাঝে মাঝে ঐ ব্যত্যয় ঘটে।

তাছাড়াও ফিলের সাথের বাতচিতে আরো একটা ব্যাপার মনে ঘাই দিয়ে উঠেছিল, তা হলো জাতে ব্রিটিশ হওয়ার কারণেই কী তার ঐ রকম আত্মবিশ্বাস? নাকি যেহেতু সে যেহেতু সৌদির কান্ট্রি হেড, যেটি হল ব্যবসায়ের হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও স্ট্রাটেজিকালি গুরুত্বপূর্ণ, সে কারণেই কি বুকে আছে তার গ্লোবাল বসদের পুশব্যাক করার হিম্মত? নাকি এ হলো ফিলের ক্ষেত্রে ঐ দুইয়েরই সমন্বয়ের ফল। নাই যা বাংলাদেশের মতো ছোট্ট ও ব্যবসায়িকভাবে অগুরুত্বপূর্ণ দেশের কারোই। ব্যবসায়ের দুনিয়ায়, ব্যবসা বড় যার গলা বড় তার; এটাই নিয়ম। এ কারণেই কি একই গ্লোবাল কোম্পানির সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠলেও ছোট দেশের কর্মকর্তারা কথা বলে মিন মিন, আর বুক থাকে তাদের সর্বক্ষণ কৈতরের মতন কম্পমান!

ঘটনা যাই হোক, ঠিক করেছি ফিলের পরামর্শই করবো শিরোধার্য সময় সুযোগ বুঝে। কারণ ঐ যে কথায় আছে না, যদ্দেশে যদাচার কিম্বা হোয়েন ইন রোম, ডু এজ দি রোমান ডু!

এছাড়া গত দেড়সপ্তাহে আরো বুঝে গিয়েছি যে, রোমে গিয়ে রোমান হওয়ার ব্যাপারটা যতোটা না প্রয়োগ করা দরকার গ্লোবাল বা রিজিওনাল অফিসকে হ্যান্ডেল করতে, তার চেয়ে বেশি দরকার বরং আমার এই সৌদি কর্মস্থলেই নানান জনকে সামলানোর জন্য।

এবার আসার পরই বুঝেছি, মাস দুয়েক আগে এসে যে সপ্তাহ তিনেক থেকে গিয়েছিলাম, ঐ সময়টা ছিল যাকে বলে আমার মধুচন্দ্রিমার কাল। এবারে এসেই নানান জনের আচার আচরণে অবিলম্বে বুঝতে পেরেছি হয়েছে আমার মধুচন্দ্রিমার সমাপন। এসেই এমন কিছু দাবী ও আব্দারের মুখোমুখি হয়েছি যে গুলো শুধুই অযৌক্তিকই ছিল না, বরং ছিল না তাতে কমনসেন্সের লেসমাত্র উপস্থিতিও।

এবারে প্রথম দিন অফিসে এসেই খেয়েছিলাম প্রথমেই দুই ধাক্কা, তার প্রথমটি হলো আমি যার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য এসেছি এই রিয়াদে, এসে দেখি সেই মোহাম্মদ মেতওয়াল্লি এরই মধ্যে হয়ে গেছে পগার পাড়। হ্যাঁ, ঐ যে প্রি এসাইনমেন্ট ট্রিপে এসেছিলাম ফেব্রুয়ারিতে তখনই শুনেছিলাম যাবে সে। এটাও জানা কথা যে, সে চলে যাবে বলেই তো আমার আসা। কিন্ত ভেবেছিলাম যাবে সে অন্তত আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে। কিন্তু তার যে এমন তাড়া ছিল তা ভাবিনি ভুলেও। যদিও আমার সেই মধুচন্দ্রিমাকালীন সময়ের নানান সময়েই দেখেছি, যখনই কোনো কিছু জিজ্ঞেস করেছি, সাথে সাথেই সে নানান ফাইলপত্র দলিল দস্তাবেজ বুঝিয়ে দেবার তোড়জোড় করছিল। তাতে ব্যাপারটা কিছুটা আঁচ করলেও ঘটনা যে এমন হবে ভাবিনি তা!

ফলে এবারকার দ্বিতীয় দিন থেকেই আমার টিমের প্রায় সকলেই একদম হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, নানান কিছুর অনুমোদনের জন্য, যার আবার অনেকগুলোই নাকি অতিব জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ! এমতাবস্থায় প্রথমে তাদের ধীরে সুস্থে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম, যে দেখো বেরাদরেরা, তোমাদের বস হিসাবে তোমাদের আনা যাবতীয় কিছু চোখ বুঝে সই করাই শুধু আমার কাজ না। কাজ হল আমার তোমাদের গাইড করা, কোচিং করা, আইডিয়া দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাতে কেউ কেউ ব্যাপারটা পিছু হটলেও, কয়েকজনকে একদম নাছোড় তো নয় বরং গোঁয়ারের মতো মনে হওয়াতে, বলতে বাধ্য হয়েছিলাম এতোই যদি এসব জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, তবে এরকম শেষ মুহূর্তে এসে দৌড়ঝাঁপ করছ কেন? মেতওয়াল্লির কাছ থেকে সেসবের অনুমোদন করে রাখো নি কেন? তুমি কি তাহলে আমাকে প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিচ্ছ যে, তোমার প্লানিং এবং প্রায়োরিটাইজেশন নিয়ে আমাকে কাজ করাই আমার প্রায়োরিটি? হ্যাঁ যদি তাই হয়, আছি আমি অবশ্যই তোমাকে সে ব্যাপারে গাইড করার জন্য।

হ্যাঁ নিজের টিমের নানানজনের সাথে এইসব বয়ান ও টেকনিক কাজ করলেও, সিনিয়র এক ম্যানেজার যে নাকি আমার সহকর্মী সেই ট্রেনিং কাম কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার আহমেদ মেতওয়াল্লি, তাকে তো আর ঐভাবে বলতে পারছিলাম না, অন্যদিকে সেও ছাড়ছিল না তার গোঁ কিছুতেই একদিন। বরং চেপে বসতে চাইছিল ঘাড়ে এক্কেবারে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো।

নামের শেষে মেতোয়াল্লি থাকলেও এবং দুজনেই মিশরি হলেও, মোহাম্মদ ও আহমেদ মেতোয়াল্লি যে সহোদর নয় তা জেনেছিলাম আগেই। তবে এটা বুঝতে পারিনি তখন, একদিকে মোহাম্মদ যেমন চটপটে ও বুদ্ধিমান, অন্যদিকে আহমেদ ঠিক তার উল্টা, যেমন উল্টা তাদের গায়ের রংও ।

তো এই ফর্সা মেতওয়াল্লি সেদিন, মানে গত সপ্তাহের শেষদিন, মানে বুধবারে এসে জানিয়েছিল যে, সেদিন নাকি তাকে আমার ডিপার্টমেন্টের পাঁচটা নাকি ছয়টা এস ও পি মানে স্যান্ডার্ড অপারেটিং পলিসি দেবার কথা!

শুনে যৌক্তিক কারণেই পড়েছিলাম এক্কেবারে আকাশ থেকে! বলেছিলাম, আচ্ছা ভাইজান আপনিই বলেন, এইটা কী জাতের বেসম্ভব কথা? আইলামই মাত্র । এ নিয়ে আপনার সাথে কথা হওয়ার সুযোগই হল কবে আমার?

হাজির জবাব তার, এটা আমার পূর্বতনের কাজ ছিল যেহেতু তাই এটা এখন আমার কাজ। এমনিতেই ডেডলাইন মিস করে তার পারফরমেন্স খারাপ হয়ে যাচ্ছে তারপরও সে না হয় আমাকে আরো একদিন সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে দয়াপরবশ হয়ে, তাতে আমি রাজী কী না?

সে বয়ান শুনে মাথা ঠাণ্ডা করে প্রথমে বললাম তার দয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, যদিও আমি কারোই দয়াপ্রার্থী নই। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে নানান যুক্তি, উদাহরণ দিয়ে তাকে যখন বোঝাতে পারিনি যে ঐ এক দিন বাড়ালেও এ সময়ের মধ্যে ঐ কাজ শুধু আমার বা তার পক্ষেও না, যে কারো পক্ষেই করা অসম্ভব; দিয়েছিলাম চিকিৎসা মোক্ষম। বলেছিলাম যাও, আগে তুমি তোমার কমপ্লায়েন্স সহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের এস ও পি র সাথে মার্কেটিং এর এস ও পি র কী কী কনফ্লিক্ট আছে, বা গ্যাপ আছে এবং সেসব কোন কোন এস ও পি তে আছে, তার বিশদ বিবরণ দাও। তারপর আমি বিবেচনা করবো আদৌ মার্কেটিং থেকে ঐ পাঁচটা এস ও পি বানানোর কে নো দরকার আছে কী না। চমৎকার কাজ হয়েছিল তাতে !

এভাবে সেদিন আহমেদ মেতওয়াল্লিকে সামাল দিতে না দিতেই, এ সপ্তাহের শুরুতেই হাজির হয়েছিল রাইদ সাইদ আরেক আচমকা আব্দার নিয়ে। আমাদের পি আর ম্যানেজার, খাস সৌদি রাইদকে অবশ্য দিতে হয়েছিল উল্টা ডোজ।

সেদিন মানে গত রোববার সকাল ৯ টার দিকে রাইদ আমার টেবিলের সামনের চেয়ারে বসে যথারীতি (আগের বারও দেখেছিলাম তো একই ব্যাপার) তার কব্জিতে বাঁধা রোলেক্স, তোবের কার্টিয়ার কাফলিং, আর পকেটের মঁ ব্লা কলমের দিকে নানান ভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে করতে

. সেলিম, আমাদের কোম্পানি কিন্তু সৌদি সদ্য ফার্মেসি গ্রায়জুয়েটদের নিয়মিত ট্রেনিং করায়। তোমাকে কিন্তু সেখানে ফার্মাসিউটিক্যালস মার্কেটিং এর উপর একটা এক দেড় ঘণ্টার সেশন নিতে হবে ?’

দ্যাটস মাই প্লেজার। অবশ্যই দেবো?

তাহলে চল এখনি’

মানে কী? কোথায় যাবো? এখনি যেতে হবে?

হ্যাঁ সেটাই তো বললাম। ওরা তো সব বসে আছে আমাদের মিটিং রুমে। আজকে তাদের মার্কেটিং ক্লাস আছে দেড় ঘণ্টার।’

ভেবেছিলাম বলি যে, শোন আমাকে কমপক্ষে এক সপ্তাহ না হলেও তিন দিন আগে না জানালে আমি কিন্তু এ ধরনের কোন অনুরোধ রাখি না কারো। সাথে সাথেই মনে হলো, দেখছি যা এর রকমসকম, তাতে আমি যদি তাকে এ কথা বলি এখন, তবে সে ধরে নেবে নির্ঘাত যে, আমি ভয় পেয়েছি! কিন্তু বাঙালি যে ভিতু নয় মোটেও, বুঝিয়ে দিতে হবে একে প্রথম চোটেই। এ ভাবনায়, ঠিক আছে চল যাওয়া যাক বলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেই রাইদ বলে উঠেছিল ‘তা তোমার প্রেজেন্টেশন কই ? ল্যাপটপ নিচ্ছ না যে। নাকি পেন ড্রাইভে করে নিয়েছ প্রেজেন্টেশন তোমার?’

শোন, বললেই তো তুমি এখন। প্রেজেন্টেশন বানানোর সুযোগ দিলে কোথায়? তবে সে কথা থাক, বলছি একটা কথা তোমাকে, শোন মন দিয়া। নোভার্টিসের বিশ বছর চাকরি জীবনের ১৫ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছি মার্কেটিংএ; যার মধ্যে আবার হেড অব মার্কেটিং হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার তাও হলো বছর সাতেক। এমতাবস্থায় তোমার সদ্য ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটদের সামনে, সামান্য দেড় দু ঘণ্টা মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে আমার যদি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন লাগে, তাহলে আর আমাদের হেড কোয়ার্টার থেকে আমাকে এই রিয়াদে পাঠিয়েছে কেন বলো তো?

লেখক: কলামিস্ট, ভ্রমণ সাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদৃষ্টিভঙ্গি যার যার দায়িত্বশীলতা সবার
পরবর্তী নিবন্ধমামা, আমার বাদল মামা