দেশ হতে দেশান্তরে

চামড়া মোটা করার টিপস

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন কাউন্টারের ওপাশের সৌদিটি এদিকে তীব্র শ্লেষের তীর ‘ইউ বাংলা’ ছুঁড়ে দিয়ে, পাসপোর্টে সাঁটানো হাজতি ভিসাটি গভীরভাবে নিরীক্ষণ করে নিতান্তই অনিচ্ছাতেই তাতে সিল মারতে বাধ্য হলো। এতে মনে হলো মেজাজ তার বিগড়ে গেলো আরো, যার নগ্ন প্রকাশ ঘটলো তাচ্ছিল্যের সাথে সেটি আমাক ফিরিয়ে দেয়ায়। তবে যে এ যাত্রায় ইমিগ্রেশন বৈতরণী পার হতে যে সময় লাগলো তাতে অবশেষে মোহাম্মদ আল গিউসির হাইপথিসিসটি সত্য বলেই প্রমাণিত হল।

হ্যাঁ ঐ যে প্রথমবার রিয়াদ এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন লাইনে সারারাত দাঁড়িয়ে থাকার যন্ত্রণা পেয়েছিলাম, সেটির কারণ হিসেবে সে সময় আমার সাউদিয়া ফ্লাইটে ভ্রমণ করাটাকেই হিসেবে নির্ণয় করেছিল, গিউসি। বলেছিল সে সাউদিয়াতে আসাতেই এরা সহজেই বুঝতে পেরেছে কারা এসেছে কোন জায়গা থেকে এবং সে মোতাবেক উপমহাদেশীয়দের আলাদা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য করে দিয়েছিল ইমিগ্রেশনের এক্কেবারে বিশেষ বুস্টার ডোজ। যদিও সাউদিয়ার মাতৃজঠর জেদ্দা এয়ারপোর্ট, সে হিসাবে রিয়াদ হল তার খালা। আর বাংলায় তো কথায় ‘আছে মা’র তন ভালা, মা’র বইন খালা। ফলে রিয়াদে আছে সাউদিয়ার জন্য বরাদ্দ আছে এক্সক্লুসিভ টার্মিনাল।

আর আজ যেহেতু এসেছি এমিরেটসে, এ ফ্লাইটের সকল যাত্রীর উৎপত্তি তো দুবাই, এবং এতে মূলত সৌদি ও জিসিসি দেশসমূহের নাগরিকরা এলেও ছিল, এতে আর বারো জাতের মানুষ। তদপুরি এমিরেটসের জন্য বরাদ্দকৃত টার্মিনালে আরো দু চারটা ভিন্ন এয়ারলাইন্সের যাত্রীরাও নামে। ফলে ইমিগ্রেশন টের পায় নি যে এখানে বারো জাতের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে এক বাঙ্গাল। তাতেই পেলাম রক্ষা এ যাত্রা !

আমি বাঙ্গালকে এখানকার ইমিগ্রেশনের ইঁদুরকলে দীর্ঘ দীর্ঘ সময় আটকে থাকা থেকে নাযাত দেওয়া বিষয়ক গিউসির হাইপোথেসিস সপ্রমাণিত হওয়ায় মনে মনে কিছুটা আশ্বস্ত হলেও, তাচ্ছিল্যের সুইয়ের খোঁচাসমূহ টের পাচ্ছি এখনো। যদিও সে যন্ত্রণা থেকে এই অধমকে রক্ষা করার মানসে সেই আশির দশক থেকে ভদ্রলোকের ইজ্জত বিষয়ে সহপাঠী জামাল ভাতিজার কণ্ঠস্বরও ভেসে এসেছিল এই মরুতে সেই চট্টগ্রাম থেকে, ক্ষতে মলম লাগাবার জন্য, কিন্তু হচ্ছে না তাতেও কাজ। বুঝতে পারছি এই মরুতে টিকে থাকতে হলে, মোটা করতেই হবে চামড়া।

এই চামড়া মোটা করার কথাটি মনে হবার সাথে সাথেই মনে পড়ল আলমগীরকে, কারণ সেই দিয়েছিল এই সবক আমাকে, সপ্তাহ দুয়েক আগে।

গতমাসের মাঝামাঝিতে সৌদি ভিসা নিয়ে ঢাকায় যে দৌড়ঝাঁপ চলছিল আমার, সে সময়ই একদিন হঠাৎ দেখা হয়েছিল আলমগীরের সাথে অনেকদিন পর ঢাকা অফিসের সিঁড়িতে। দেখা হতেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলে উঠেছিল সে

‘কেমন আছেন বস ? শুনলাম সৌদি যাইতেছেন নাকি?’

আরে, এটা কি আপনি? নাকি আপনার ভূত দেখতাছি। তা কই থেইক্কা উদয় হইলেন? ছিলেন কই?এখানে কী ব্যাপার!’

‘জয়েন করতে আইছি বস, আপনাগো ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টে। আইছি ঐ সৌদি থাইক্কাই। ঐখানে বছর আড়াইয়ের মতো থাইক্কা আইছি ফিররা দেশে, কয়দিন আগে। আইয়া শুনি এখানে লোক লাগবো তাই জয়েন কইরা ফালাইলাম। তারপর শুনি কী আপনে যাইতেছেন সৌদি!’

তো যে কোম্পানি ছাইড়া গেছিলেন আবার সেটাতেই ফিইরা আইলেন! বাহ ভালো তো! এবার বলেন সৌদি গেছিলেনই ক্যান আর এতো তাড়াতাড়ি চইলাই বা আইলেন ক্যান?

‘কোম্পানির তো দোষ নাই বস। জানেনই তো এইখানে যেই বসের লগে কাজ করতাম তার অবস্থা। সহ্য হইতেছিল না তার আচার আচরণ। হের লাইজ্ঞা একদিন ধুম কইরা দিসিলাম চাকরি ছাইড়া। তখন আবার সৌদির কোকাকোলার অফারটা পাইছিলাম তো হাতে। ভাবছিলাম টাকা পয়সারও তো দরকার আছে। কিন্তু যেদিন প্রথম রিয়াদে ইমিগ্রেশন ফেস করলাম সেইদিনই সাথে সাথে ঠিক করছিলাম থাকমু না এই দেশে বেশি দিন। টাকা পয়সাই তো জীবনের সব না!’

তা হইছিল কী বলেন তো? নিজের অভিজ্ঞতা চেপে গিয়ে করেছিলাম জিজ্ঞাসা

‘আরে বইলেন না, আমার পাসপোর্ট আর ইকামা হাতে লইয়া হেতে কইছিলো, তুই তো বাংলা! তুই আবার অডিট ম্যানেজারের ইকামা পাইলি কই? কন তো সহ্য হয়নি এই অপমান। ঐটা তো ছিল শুরু, তারপরও চামড়া মোটা কইরা কাটাইতেছিলাম দাঁত মুখ খিচ্চা। তবে শেষে একদিন মক্কায় গিয়া যখন খাইলাম বিষম ধাক্কা, তখন ঠিক করছিলাম আর না ! খোদাহাফেজ বেরাদরনে ইসলাম সৌদি আরাবিয়া।’

ওমরা নাকি হজ্জ করতে গেসিলেন? তা কেনই ধাক্কা খাইলেন পবিত্র মক্কায়?

‘আরে তা না । গেছিলাম তো অফিস থাইক্কা অডিটের কাজে। মক্কার যে ডিলার, সে অনেকদিন ধইরা কোম্পানির পাওনা দেয় না। সেলসের লোকজন নানান কথা বইলা তারপরও তারে সাপ্লাই দেয়। এছাড়া নানান কথাবার্তা শোনা যাইতেছিল ওইখানকার সেলস টিম আর ঐ ডিলার বিষয়ে, সেইজন্য অফিস অডিট করার সিদ্ধান্ত নিছিল। সে মোতাবেক পাঠাইল আমারে। আমার পরিচয় পাইয়াই ঐ শেখ না জানি কী, গেছিল হেতে ক্ষেইপা। কয়, তুই মিসকিন বাংলা, আইছস মক্কা শহরে অডিট করতে! তারপর আরো যা কইছে এমন কী নবিজি (দঃ) এর নাম লইয় , ঐসব শুনলেও ইমান থাকবো না। তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ। লা হাওয়ালাওয়ালা। আপনিতো অবশ্য যাইতেছেন বস, একদম টপ লেবেলে। আপনার হয়তো এইসব সমস্যা হইবো না’।

তখনই মনে পড়েছিল আরে! আমাদের ঢাকার অফিসে বছর দুয়েক আগে যিনি সি এফ ওর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনিও তো সৌদিফেরত। চাকরি করতেন উনিও কোকাকোলাতেই। সময়ের হিসাবে আলমগীর যখন গিয়েছিল সৌদি, তখনতো উনি সেখানেই ছিলেন। এ কারণেই কি আলমগিরের ফের এই কোম্পানিতে আগমন? অবশ্য তা আর আনলাম না মুখে। ঘটনা যাই হোক আলমগীর অবশ্যই চোস্ত কাজের লোক। এরপর যদিও সৌদি বসবাস বিষয়ে আরো বৃত্তান্ত জানার ছিল কাছ থেকে, তাড়া থাকায় সেদিকে কথা আর না বাড়িয়ে, জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা আপনার কোন টিপস আছে কি আমার সৌদি বসবাস নিয়ে?

‘চাইলেও তো কান বন্ধ রাখতে পারবেন না। কোন না কোনভাবে কানে ঢুকবই কথা। চামড়া মোটা করবেন বস! কষ্ট কম পাইবেন তাতে।’

হুম, একটু আগেকার ঘটনায় বুঝতে পারছি, বলেছে আলমগীর সঠিক। চামড়া মোটা করতে পারলে এখনো যে সূচের খোঁচা টের পাচ্ছি তা আর পেতাম না।

এসব ভাবতে ভাবতে ব্যাগ সুটকেস সংগ্রহ করার জন্য এগুচ্ছিলাম যখন কনভেয়র বেল্টের দিকে, পেলাম টের পকেটের ভেতর ফোনের ভাইব্রেশনের। ধরেই নিয়েছিলাম তাতে নিশ্চয়ই করেছে ফোন জিয়া। একটু থেমে পকেট থেকে প্রকম্পিত ফোন বের করতেই দেখি অনুমান অভ্রান্ত। আর ফোন কানে ধরতেই ভেসে এলো জিয়া

‘স্লামালিকুম সেলিম ভাই। ফ্লাইট যে টাইম মতো ল্যান্ড করছে তা জানি। আপনার কি ইমিগ্রেশন শেষ হইছে? লাগেজ নিছেন?’

ওয়ালাইকুম। হইছে শেষ ইমিগ্রেশন, লাগেজ আনতে যাইতেছি।

‘কিছু মনে কইরেন না সেলিম ভাই, লাগেজ নিয়া একটু অপেক্ষা কইরেন টার্মিনালের ভেতরেই। অফিস থেইক্কা বাইর হইতে একটু দেরী হইয়া গেছে। এখন একটু জ্যামেও পড়ছি। এয়ারপোর্টে পৌঁছাইতে দেরী হইব একটু আমার। আইসা ফোন দিলে বাইর হইয়েন। সরি সেলিম ভাই !’

আরে সরি বাদ দেন জিয়া? আপনে কি ড্রাইভ করতে করতে কথা কইতাছেন নাকি? এটা কিন্তু ঠিক না। আসেন আপনে ধীরেসুস্থে, আমার অতো তাড়া নাই। বলেই ফোন কেটে দিলাম।

যে ধরনের ঘটনাকে বাংলায় বলা হয় কাকতালীয়, ঘটেছিল সেরকমই এক্ষেত্রে। নোভারটিস বাংলাদেশ, গ্লোবাল নোভার্টিসের ব্যবসা পরিচালনার যে ভূঅর্থনৈতিক ম্যাপ আছে, তাতে এশিয়া প্যাসিফিক সাব রিজিওনের অংশ। আর সৌদি আরব হল ল্যাভান্ট মধ্যপ্রাচ্যের অংশ। ফলে বাংলাদেশ থেকে অতীতে কালেভদ্রে দু চারজন যারা দেশের বাইরে এসাইনমেন্টে গিয়েছিলেন, গেছেন তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড বা ইন্দনেশিয়ায়। এমনকি গেছেন দু’একজন হেড কোয়ার্টার সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরেও। সে জায়গায় আমিই হলাম প্রথম ব্যক্তি যার কিনা হয়েছে এসাইনম্যান্ট সাব রিজিওনের বাইরে সৌদিতে। ফলে ভেবেছিলাম অফিসে সৌদির অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত কেউ নাই, অথচ অন্য কোম্পানির হয়ে হলেও অভিজ্ঞতা আছে তিনজনের, যার মধ্যে এই জিয়া আছে এখনো রিয়াদে। এদিকে বাঙালির তীব্র বিদেশ প্রীতির কারণেই যে কারোই বাইরে পোস্টিং হলে, অফিসে হয়ে উঠে তা সরগরম আলোচনার বিষয়বস্তু। তো সেই আলোচনার যেরেই, এই জিয়া যে নাকি হুট করে একদিন আলমগীরের মতোই চাকরি ছেড়ে দিয়ে, বছর দেড়েক আগে এসেছিল সৌদিতে অন্য কোন কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে, তাকে আমার সৌদি গমনের খবর জানিয়েছিল, জিয়ারই ডিপার্টমেন্টেরন্টে বয়সে বয়োজ্যেষ্ঠ অথচ মননে চির তরুণ ও তুমুল সহকর্মীবৎসল মণ্ডল! এতে মহা উত্তেজিত জিয়া সাথে সাথেই ফোন করেছিল আমায়, ছিলাম যখন ঢাকায় ভিসা নিয়ে দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত। তারপর থেকে প্রতিদিন না হলেও নিয়মিত ফোন করতো জিয়া। তখনই সে বলেছিল এইবার আমি রিয়াদ এসে পৌঁছুলে, স্বয়ং সে নিজে এসে রিসিভ করবে এয়ারপোর্টে। তার এই ধনুর্ভঙ্গ পণের কারণে, শেষপর্যন্ত হোটেলকে মানা করে দিয়েছিলাম গাড়ি না পাঠাতে। যদিও জানি এখনো আমাকে নিয়ে জিয়ার এই উত্তেজিত আনন্দের কী হেতু?

এরইমধ্যে, ব্যাগ সুটকেস নেয়া হয়ে গেছে। ট্রলি ঠেলে ঠেলে তাই এরাইভাল লাউঞ্জে এসে একটা খালি সিট পেয়ে, বসে তাতে সহি সালামতে আমার পৌঁছানোর কথা লাজুকে মেসেজ করিয়ে জানানোর পর, বস ফিলকে ধন্যবাদ জানালাম আমার জন্য অফিসের ভ্রমণ বিষয়ক নিয়ম পাল্টে এমিরেটস টিকিট পাঠানোর জন্য। পর পর মেসেজ ঐ দুটো পাঠিয়ে যেই না গিউসিকেও মেসেজ লিখতে শুরু করেছি, তখনই ফের ফোনের পর্দায় ভেসে উঠলো জিয়া

‘হ্যাঁ সেলিম ভাই, চলে আসছি। আপনি আসেন বাইরে।’

তুমুল উত্তেজিতে জিয়ার ঐ কণ্ঠস্বরের উত্তেজনা জারিত হল আমারও ভেতর সাথে সাথেই। তড়াক করে উঠে তাই ট্রলি ঠেলে সবচেয়ে কাছের স্বয়ংক্রিয় দরজাটি দিয়ে বাইরের মরুসন্ধ্যার উষ্ণতার মধ্যে এসে দাঁড়াতেই, লবির হাওয়ায় উড়ে বেড়ানো আসসালাম, সালামালাইকুম, আহলান সাহলান, ইয়া হাবিবী ইত্যাকার শব্দ ছাপিয়ে কানে যা এলো তা হলো তুমুল আন্তরিক উষ্ণতায় ভর করে আসা প্রাণ শীতল করা বাংলা

‘সেলিম ভাই, সেলিম ভাই, এই যে, এই যে এখানে আমি !’

তাতে বাঁ দিকে ঘাড় ঘোরাতেই নজরে এলো মিটার বিশেক দূরে গাড়ি পার্ক করে ড্রাইভিং সিট ছেড়ে বাইরে এসে আমার উদ্দেশ্যে মাথার উপর দুইহাতে তুলে তুমুলভাবে হাত নাড়াতে থাকা জিয়াকে।

হাসতে হাসতে দ্রুত ট্রলি ঠেলে জিয়ার হাতের নাগালে পৌঁছুতেই একদম যাকে বলে দম বন্ধ করে ফেলার মতো জড়িয়ে ধরা, তেমন ভাবে ঝাপটে ধরল জিয়া !

‘আমি যে কী খুশি হইছি ভাই, আপনি আসছেন। গত দেড় বছর ধইরা কথা কওয়ার মতো লোক পাই না এখানে। এখন খুব মজা হইব।’

ঠিক আছে ঠিক আছে, হবে আড্ডা জম্পেশ। জিয়ার কথায় দ্রুত সায় দিলেও ভাবছি মনে মনে আচ্ছা, জিয়াকে অল্পবিস্তর চিনতাম যতোটা, তাতে তো আড্ডাবাজ মনে হয়নি তাকে কখনো। মনের সে কথা মনেই চেপে বললাম, আচ্ছা জিয়া এখানে তো বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যাবে না, তাই না? আপনি একটু বনেট খুলেন গাড়ির, আমি ব্যাগ সুটকেসগুলো তুলি, তারপর যেতে যেতে কথা হবে– ‘হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক বলছেন।’ বলেই দ্রুত জিয়া গাড়িতে উঠে বনেট খুলেই গাড়ি থেকে নেমে অনেকটা ছোঁ মেরে আমার কাছ থেকে ট্রলির দখল নিতে নিতে বলল– ‘আপনি বস, বড় ভাইয়ের মতো। কোন কথা না বইলা সোজা গিয়া গাড়িতে বসেন এখন। আমি দেখতেছি সব । জানেন না আপনে, কী যে খুশি লাগতেছে আমার।’ বনেট বোঝাই শেষে দ্রুতই জিয়া ড্রাইভিং সিটে ফিরে গাড়ি স্টার্ট দিতেই আমি ‘হোটেল ম্যারিয়ট রিয়াদ’ উচ্চারণ করতেই এক্সেলেটের চাপ বাড়াতে বাড়াতে বলল জিয়া– ‘হোটেলে যাইবেন পরে। এখন যাইবেন আমার বাসায়। আমার বউ বাচ্চার সাথে পরিচিত হইবে! তারপর রাতের খাওয়াও তো খাইতে হইব তো, কী বলেন?’ এতে কী আর বলি! বললাম তাই, তাইতো, তাইতো, ঠিকই তো!

লেখক: প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীতের আবহে নতুন উদ্যম
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের প্রাচীন চট্টগ্রাম : পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা