দেশ হতে দেশান্তরে

হাজতি ভিসা

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়’জীবনে অসংখ্যবার এ বয়ান আব্বার মুখ থেকে শুনলেও গত দেড় মাসের প্রথম তিরিশ দিনে শুনেছি তা কমপক্ষে একশোবার, মানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিনবারের মত। এই বয়ানের সূত্রপাত হয়েছিল ফের তখন, যখন উনি জানতে পেরেছিলেন যে, অপগণ্ড এই পুত্রটি তাঁহার, প্রায় কুড়ি বছর পূর্বে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হইবার পর এখন পর্যন্তও সে সনদ সংগ্রহ করে নাই!

এমত তথ্য জ্ঞাত হইতেই বেহেস্তি ফল চাখার আনন্দ লইয়া বেশ কসরত করিয়া সৌদি তিন ফল চিবাইতে চিবাইতে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন উনি– “এতো বছরেও তোদের ইউনিভার্সিটির কনভোকেশন হয় নাই না কি যে এখনো সার্টিফিকেট হাতে পাস নাই! এটা কী একটা কথা হইলো?” কনভোকেশন হইছে। আমি যাই নাই।

কেন যাস নাই? এ কেমন খামখেয়ালী !’

যতদূর মনে পড়ছে যখন কনভোকেশন হইছিল, তখন রাজাকার বিশ্বাস ছিল চ্যান্সেলর। তাই ঠিক করেছিলাম আর যাই হোক রাজাকারের হাত থেকে নিব না সার্টিফিকেট। আর তারপর তো ঐটার দরকার পড়ে নাই।

একান্তই নিজস্ব এবং তুমুল আবেগমথিত আমার এই কঠিন যুক্তিটির সাথে আব্বার পরিচয় এই প্রথম নয়, এ নিয়ে তাই আর উচ্চবাচ্য না করে, তিন ফল চিবুতে চিবুতে বলেছিলেন– ‘দেশের লোক যদি ভোট দেয় রাজাকাররে তাতে তোর কী করার আছে? দ্যাখ এখনতো নিজেই পরলি ঝামেলায় সৌদি আরব যাওয়া নিয়া।’

আমার চাকরীর বয়সের সমান সময় ধরে অবসর নেয়া সরকারী চাকুরে আব্বার অবসরকালীন সময় কাটে মূলত নামাজ কালাম পড়ে, আল্লা বিল্লাহ করে ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নেয়াতেই। এসবের ফাঁকে নিয়ম করে উনি সময়ে সময়ে নানান দলিল দস্তাবেজ থেকে শুরু করে, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টিএন্ডটির ইত্যাকার বিল পরিশোধের রশিদসমূহ সঠিক ফাইলে ফাইলবদ্ধ করার সাথে সাথে ওগুলোর ঝাড়পোঁছও করেন। এমতাবস্থায় স্নাতকোত্তর সনদের মতো একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ দলিলের প্রতি অধমের এহেন অবহেলায়, তিনি যে বড়ই বিরক্ত হয়েছিলেন, বুঝতে পারছিলাম পরিষ্কার। তবে ঐ বিরক্তিকে চাপা দিয়ে গোটা সময়টাতে উপচে উঠছিল যা ক্ষণে ক্ষণে তাঁর ভেতর থেকে, তা হল তুমুল উদ্বেগ। মানে সৌদি যাওয়ার পথে এহেন বাঁধা পড়া নিয়ে উদ্বেগ। জানি না, আম্মা বেঁচে থাকলে এ নিয়ে কী করতেন? তবে সেই ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, তাঁদের বিবেচনায় আমার নানান খামখেয়ালী নিয়ে আব্বা কিছুটা বিরক্ত থাকলেও, অধমের প্রতিভার ব্যাপারে উনি ছিলেন অকারণ আশাবাদীই! তার বিপরীতে আম্মা গণ্য করতেন আমায় পুরাই আমড়া কাঠের ঢেঁকিই।

নাহ,থাক সেসব কথা। মূল কথা হচ্ছে, বছর দশেক আগে তাঁর ছোট পুত্রটি উচ্চ শিক্ষার্থে আম্রিকা গিয়ে স্থায়ী হয়ে যাওয়াতে আব্বা বেশ দুঃখ পেয়েছিলেন।ঐ ঘটনার তিন বছরের মাথায় মেজর পদধারী তথাকথিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী তাঁর মেজ পুত্রটিকে যখন আফ্রিকার সিয়েরে লিওনের মাটিতে উনি হারিয়েছিলেন চিরদিনের জন্য, তাতে শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই ধসে গিয়েছিলেন এক্কেবারে! তারপর থেকে এই অধম বড় পুত্রটিকে তিনি অন্ধের যষ্টি গণ্য করে একদম আঁকড়ে ধরেছিলেন। অথচ সেই তিনিই কি না এখন আমার সৌদি গমন নিয়ে এতোটা উৎসাহী!

হ্যাঁ, নিজে উনি নিষ্ঠাবান ধার্মিক হলেও, পুত্রটি যে তাঁর মোটেও ছোয়াব কামায় নাই এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত থাকায় মনে যে দুঃখবোধ আছে তাঁর, তা তো জানিই। সে কারনেই কী, এখন তিনি মনে করছেন যে, সৌদির পবিত্র ভূমিতে বসবাসের কারণেই তাঁর পাপী অধম পুত্রটির অবশেষে হয়েছে সুযোগ দো জাহানের অশেষ নেকি হাসিল করার? মিটবে যাতে পিতা হিসেবে তারও দায় কিছু! ফলে মিলবে আখেরাতে নাজাত! এটাই এখন তাঁর স্থিরবিশ্বাস নাকি?

ছোটবেলা থেকেই তো শুনে আসছি যতোই হউক না কেন, কোনজন সততা ও ভাল মানুষীর তুমুল পরাকাষ্ঠাই, তারপরও কপালে তার বেহেস্ত জুটবে না, যদি হয় সেজন কাফের। আবার শুধু নামে ও বিশ্বাসে মুসলমান হলেও কেউ বেহেস্ত পাবে না, যদি না সে ঠিকমতো পালন করে ইসলামের যাবতীয় ইবাদত। এসব নিয়ে কোন যুক্তিতর্ক করা দূরে থাক, কোন কথা বলাই প্রবল বিপজ্জনক এখন, অতএব যাচ্ছি না ঐদিকে। শুধু বলছি যা, তা হল আমার জানা দেখা মতে তুমুল সততা ও প্রগাঢ় ধর্ম পালনের নিষ্ঠতার কারণে পরকালে তো সহজেই উৎরে যাওয়ার কথা আব্বার। তারপরও তিনি নিজেই কি নিজের ব্যাপারে নিশ্চিত নন? না হয় তিনি কেন তাঁর অধম পুত্রের সৌদি বসবাসের উসিলায় বাড়তি নেকি কামাই করার এই ঘোরে আছেন, তা তো বুঝে আসছে না! নাহ থাক, অতো বোঝাবুঝিতে কাজ নাই। মানব জীবনের সব কিছু কি আমরা বুঝি সবসময়ই?

এমত ভাবনায় তাকে কিন্তু বলি নাই যে, এরই মধ্যে সৌদি অফিসের মানবসম্পদ বিষয়ক প্রধান গিউসি, কী ঝামেলায় পড়েছে এই বাঙ্গালের ওয়ার্ক পারমিটের কাজ করাতে গিয়ে। কারণ চাইনি আমি সৌদিরা আমাদের যে আসলে কী মনে করে, এ ব্যাপারে তাকে সত্যের মুখোমুখি করে তাঁর ঘোর ভেঙে দিতে। কী দরকার সৎ থাকার কঠিন মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে আজীবন যিনি কঠোর সংগ্রাম করেছেন তাঁর ঘোর ভাঙার? নানান ঘোরেই তো কাটে নানান মানুষের এক একটি জীবন। সে যাক, এক যাত্রায় দুই ফল বলে একটা বাগধারা বা প্রবাদ আ’মরি বাংলা ভাষায় থাকলেও, আমার এই ভিসা বিষয়ক জটিলতায় ঘরে ফলেছে দেখছি তিন নাকি চার ফল। তার একটির তো দিলাম বিশদ বয়ান উপরে। অন্যটি হলো ভিসা পাওয়ার এই দীর্ঘসূত্রিতার ফলাফল হিসেবে আমার ঢাকা বাস দীর্ঘায়িত হওয়ায় স্ত্রী কিছুমাত্র খুশি হয়েছে কী না তা বুঝতে না পারলেও, শিশু পুত্রদ্বয় যে আছে তুমুল আনন্দে, অতিব দৃশ্যমান তা যেমন, তেমনি অনুভবযোগ্যও। অথচ একই ঘটনায় হয়েছি নিজে অজানা আশংকায় আশংকিত ও আতঙ্কিত যুগপৎ!

যেহেতু এই এসাইনমেন্টের শুরুতেই স্ত্রীকে তো বলেছিলাম, যাবো এইবার সবাইকে নিয়েই প্রবাসে। এখন নিজের ভিসা পেতেই যেরকম দুর্যোগের ঘনঘটার আভাস পেয়েছি এরইমধ্যে, তাতে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছি সে কথার আমার হয়েছে গুড়েবালি অবস্থা। বড় বাঁচা বেঁচে গেছি, সবাই মিলে মরুতে গিয়ে তাবু গাড়ার প্রস্তাবে মোটেও রাজি যে হয়নি লাজু। তারপরও করেছে ভর মাথায় নতুন দুশ্চিন্তা। তা হল, গতবছরই আমার সিঙ্গাপুর বাসকালে পুত্রদের স্কুলের ছুটিতে লাজু যেমন ওদেরকে নিয়ে দু দুবার এক মাস করে থেকে আসতে পেরেছিল সেইদেশে, তা তো এবার হবে না সম্ভব মনে হচ্ছে। আর এ কথা যদি এখনি জানে লাজু, তবেই তো হলো! সৌদির ভিসার এমন জটিলতায় প্রথমে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হলেও, সাথে সাথেই সান্তনা দিয়েছি নিজেকে এই বলে যে, সৌদিরা না হয় বিশ্বখ্যাত একটি বৈশ্বিক কোম্পানিতে আমার ২০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতাকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না, শুধুমাত্র বাংলাদেশী হওয়ার কারনে, কিন্তু তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আগে তো দাঁড় করাতে হয় আমারই দেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ঐ কনিষ্ঠ আমলাটিকে। কি চক্করেই না ফেলেছিল সে, আরবিতে অনূদিত আমার সনদ সমূহকে সত্যায়িত করা নিয়ে! কপাল ভাল যে, তুমুল বর্ণবাদী ঘৃণা প্রসূত টালবাহানার সৌদি দীর্ঘসূত্রিতার কারণে গিউসি টের পায়নি কী ঝামেলা গেছে আমার উপর দিয়ে সনদ বিষয়ে। বেঁচেছে তাতে যেমন নিজের ইজ্জত, তেমনি পেয়েছে রক্ষা দেশের মান! সে যাক, মসাধিককাল দৌড়ঝাঁপ করে গিউসি আমার ইকামার কাজে ব্যর্থ হলেও অবশেষে বের করতে পেরেছিল ফের সেই বিজনেস ভিসিট ভিসাই! তো তার পাঠানো সেই কাগজপত্র নিয়ে ঢাকার গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের সৌদি দূতাবাসের সামনে একদিন সাতসকালে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে, ভিসা আবেদনের জন্য পাসপোর্ট জমা দেওয়ার সাথে, হাতে করে নিয়ে গিয়েছিলাম সেই আমাদের চার চারটি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করা সনদসমূহের আরবি অনুবাদের কপিগুলো। উদ্দেশ্য এম্বেসি কর্তৃক সেগুলোকে প্রয়োজনীয় সত্যায়িত করা। কিন্তু ওসব হাতে পেতেই নিজেদের জন্যই তারা সেসব রেখে দিয়ে বলেছিল, বিজনেস ভিজিট ভিসার আবেদনর সাথে ওসবও জমা দিতে হবে। এতে রিয়াদে পৌছুবার পর আমার ইকামার কাজ করা হবে বলে গিউসি যে আশ্বাস দিয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছুটা আশাবাদী হলেও, অবাকও হয়েছিলাম। কারণ আগেরবার যখন গিয়েছিলাম একই রকম ভিসায়, তখনতো এসব চায় নি এম্বেসি! এবার তাহলে কি ঐ সনদগুলো তাদেরকে দিয়ে সত্যায়িত করাতে গিয়ে হুদাই পাগলকে সাঁকো নাড়ানোর কথাই মনে করিয়ে দিলাম না কি? এখন তো আবারো পড়তে হবে সনদসমূহের আরবি অনুবাদ ও সত্যায়িতের ঝামেলায়! শুধু আশার কথা, চিনি এখন এই মুশকিলের আসান আকবর খাঁকে, যিনি সনদ প্রতি দুইহাজার টাকার বিনিময়ে তিন দিনে ঐসব ‘ফরেন সার্ভিস’ করিয়ে এনে দেবেন বলে গ্যারান্টি দিয়েছিলে। সে ভরসায় বিনা বাক্যব্যয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম সনদগুলো ভিসা আবেদনের সাথে।

তারপরও,‘আমি যাই বঙ্গে আমার কপাল যায় সঙ্গে’এ কথা মেনে নির্দিষ্ট দিনে অবশেষে পেলাম যখন হাতে ভিসা লাগানো পাসপোর্ট, দেখি পেয়েছি এক্কেবারে নব্বই দিন মানে তিন মাসের হাজতি ভিসা এক! ঐ ভিসার মেয়াদ তিন মাস হলেও, সেটি হচ্ছে সিঙ্গেল এন্ট্রির, মানে এ হচ্ছে ৯০ দিনের এক ওয়ান ওয়ে টিকিট। একবার ঢুকিলে এবার মরুতে থাকিতে হইবে সেইখানে ঝাড়া ৯০ দিন। এতে মনে কিছুটা ধাক্কা খেলেও, আশংকিত বা আতঙ্কিত হইনি। কিন্তু হতে হলো তাও, দেখলাম যখন ভিসার নীচের দিকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে পরিষ্কার ইংরেজিতে বোল্ড করে লেখা“নট পারমিটেড টু ওয়ার্ক” বাক্যটি!

নাহ , তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। কারণ কাজ তো করি বিশ্বখ্যাত কোম্পানি নোভার্টিসে যেটিকে আইন কানুন নীতি মানার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর বলেই জানি । সে কারণেই তো কোম্পানি নিয়ে এক ধরনের প্রশান্তি বলি, আত্মতৃপ্তি বলি ছিল ও আছে তা এখনো। এখন এই হাজতি ভিসার কারণে পড়লাম এ কোন ফ্যাসাদে তবে ! তাই কালবিলম্ব না করে জানিয়েছিলাম ব্যাপারটা গিউসিকে। আমার বয়ান শুনে, গিউসি দ্রুত আশ্বস্ত করে বলেছিল যে, আমি রিয়াদ পৌঁছুবার পর দ্রুততম সময়ে, সাথে করে নিয়ে যাওয়া সত্যায়িত সার্টিফিকেটগুলো জমা দিয়ে নিয়ে নেবে সে প্রয়োজনীয় ইকামা!

এর দুই দিনের মধ্যেই রিয়াদ যাওয়ার টিকিট, হাতে আসতেই মনটা ভাল হয়ে গিয়েছিল কিছু। কারণ ঢাকা টু রিয়াদ সাউদিয়ার সরাসরি ফ্লাইট থাকার পর, এবং আমাদের ভ্রমণ বিষয়ক নীতিমালা অনুযায়ী সেই ফ্লাইটেই আমার যাওয়াটা বাধ্যতামূলক হওয়া সত্ত্বেও, কান্ট্রি হেডের বিশেষ ক্ষমতা বলে, বস ফিল রাশ সে নিয়ম বদলে দিয়ে বরাদ্দ করেছেন এমিরেটসের টিকিটই, যাতে সাউদিয়ায় গিয়ে যেন আর নাকাল না হই ইমিগ্রেশনে, হয়েছিলাম যেমন প্রথমবার। সে মোতাবেক ক্ষণকাল পূর্বে, মানে এখানকার সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এমিরেটসে এসে রিয়াদ এয়ারপোর্টে নেমে দাঁড়িয়েছিলাম নির্ধারিত টার্মিনালের ইমিগ্রেশনের চলমান দুটো লাইনের একটিতে। বেশ দ্রুত না হলেও মোটামুটি গতিতে এগুচ্ছে সারা পৃথিবীর বারো জাতের জন্য নির্ধারিত এই লাইনটি, যেটিতে হয়েছি আমি হংস মাঝে বক ! কারণ বাকীরা সব সাদা চামড়ার আমেরিকান বা ইউরোপিয়ান। সৌদি ও জিসিসিভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত পাশের লাইনটির তুলনায় আমার লাইনে যাত্রীর সংখ্যায় ঢের কমফলে আগেকার অভিজ্ঞতার তুলনায় অতি দ্রুত এই মুহূর্তে আমার পালা আসতেই যেই না গিয়ে দাঁড়ালাম কাউন্টারে, ওপাশে বসে থাকা লোকটি কিছুটা ভির্মি খেয়ে গিয়ে চোখে চোখ রেখে বাড়িয়ে দেয়া পাসপোর্টটি হাতে নিয়ে সেটির দিকে নজর দিয়েই আবারো সেই পরিচিত তাচ্ছিল্যের স্বরে ও সুরে বলে উঠলো

ইউ বাংলা!’

সারাগায়ে তাতে ফের লক্ষ সূচের খোঁচা শুরু হতে না হতেই, আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ঠতম সহপাঠীদের একজন যার সাথে পাতিয়েছিলাম চাচা ভাতিজার সম্পর্ক সেই জামাল ভাতিজা কানে কানে বলে উঠলো– “দুই চাইর লাতিয়ে ভদ্রলোকের ইজ্জত নো যায়, বুইজ্জো না ছাছা। তো টাণ্ডা রাইক্কো মাতা !”

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকনকনে শীতে ভাসমান মানুষের আর্তনাদ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম সিটি মেয়র সমীপে