দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলাইমান | রবিবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

রিয়াল তো নয়, আকাশের চাঁদ

আগে গেলে বাঘে খায় পিছে গেলে সোনা পায়’, ছোটবেলায় বহুল শোনা এবং বলা এই কথাটি মনে পড়ল এখন ব্যাগেজ সংগ্রহের সেকশন দাঁড়িয়ে। এখানকার ৭/৮ টা কনভেয়র বেল্টের সবগুলিই এ মুহূর্তে অচল। এগুলোর মধ্যে তিনটার উপর যতো না আছে নানান আকার আকৃতি ও রঙের ব্যাগ ব্যাগেজ তারচে ঢের বেশি আছে এলোমেলোভাবে আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মেঝেতে পড়ে। ঢাকা লাইনের একদম শেষের দিকের যাত্রী হিসেবে ইমিগ্রেশন বৈতরণী পার হওয়ার এই সুবিধাটা টের পেলাম এখন। মানে হচ্ছে অল্প কিছু ব্যাগে ব্যাগেজর দঙ্গল থেকেই খুঁজতে হবে নিজেরটা।

সমস্যা হচ্ছে মরুর লু হাওয়ায় উড়ে বেড়ানো পেট্রোডলার সহজে পকেটে পোরার আকাশ কুসুম কল্পনায় উপমহাদেশের ঢাকা, মুম্বাই, করাচী এই তিন শহর থেকে গতরাতে পর পর উড়ে আসা ফ্লাইটত্রয়ীর কোন ফ্লাইটের লাগেজ খালাস হয়েছিল যে কোন বেল্টে? আছি তা নিয়ে ধন্দে। গতরাতের দুর্ভোগময় ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়ানোর আগে বা পরে, মনেই ছিল না ব্যাগ নেয়ার জন্য কোন বেল্টে যেতে হবে, তা দেখে রাখার কথা। তদুপরি এখন কনভেয়র বেল্টগুলোর উপর ঝুলতে থাকা টিভি পর্দাগুলোও দেখছি আছে সব ঘুমিয়ে। ফলে এমুহূর্তে গোটা বিশ পঁচিশজন বিভ্রান্ত যাত্রিকে দেখছি, চি বৌ খেলার মতো দৌড়াদৌড়ি করছেন তিন বেল্টের মধ্যে।

কাহা, কাহা এই যে পাইছি আমারটা! এইহানে, এইহানে আইয়েন কাহা। এইহানে খুঁজেন আপনের টা’

ডানদিক থেকে ভেসে এসে এই কথাগুলো এসময় কানে ঢুকতেই, মিটার বিশেক দূরের কনভেয়র বেল্টের পাশের মেঝে থেকে একটা ব্যাগ নিজের পিঠে তুলে নিতে দেখলাম বালক চেহারা তরুণটিকে। ইতিমধ্যে চাচাজানও দেখছি বাঁ দিকের আরেকটা কনভেয়র বেল্টে ছেড়ে দিয়েছেন সাড়া ভাতিজার ডাকে।

এই চাচা ভাতিজা ইমিগ্রেশন লাইনে আমার পেছনে যে ছিলেন না, তা নিশ্চিত। আমার ঠিক কতো আগে যে তারা ঐ দুর্গম বৈতরণী পার হতে পেরেছিলেন তা জানি না। তবে বেশ আগেই যে এসেছেন দুজনে এখানে, তা নিশ্চিত। সেই থেকে এতোক্ষণ বেল্টে বেল্টে দৌড়ে ব্যাগ খুঁজতে খুঁজতে এইমাত্র ভাতিজা পেয়েছে নিজেরটা। তাহলে ওটাই হবে ঢাকার বেল্ট। মনে মনে দুজনকেই ধন্যবাদ দিয়ে দ্রুত চাচার পিছু পিছু এসে এদিকটায় দাঁড়াতেই, বেল্টের ঐ মাথার প্রায় শেষ দিকের মেঝেতে চিৎ হয়ে পড়ে থাকা নিজের সুটকেস নজরে আসতেই মনে মনে আওড়ালাম। কী ব্যাপার এরকম চিতপটাং হয়ে শুয়ে থাকার কী কারণ? খাড়াইয়া থাকলে তো দূর থেইক্কাও দেখতে পাইতাম। ভাগ্যিস এই ভাতিজা তার চাচাকে ডাকছিল, নইলে কেমন বুজতাম শুইয়া আছো তুমি এইখানে?

তা ছিলেন কই আপনে সারারাত? এইটা একটা কথা হইল? এইভাবে কেউ উধাও হইয়া যায়! বেশ অনেকবারই তো পাক খাইছি ঐ বেল্টের উপর খাড়াইয়া থাইক্কা, গত রাইতে। তারপর না একজন ধাক্কা দিয়া ফালাইয়া দিছে বেল্ট থাইক্কা নিচে। আমি তো নিজে নিজে খাড়াইতে বা শুইতে পারি না।’

আমিই বা কী ক্রুম? রাতভর মানে সেই রাত এগারটা থাইক্কা শুরু কইরা এই কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় পিঠে ব্যাগ নিয়ে একবার ডান পা, আরেকবার বা পায়ের উপর ভর কইরা খাড়াইয়া আছিলাম দাঁড়িয়েছিলাম তো ইমিগ্রেশন লাইনে। এরকম লম্বা ইমিগ্রেশন ঝঞ্ঝাটে তো কোথাও পড়ি নাই আর। এই ব্যাপারে তো এক্কেবারে বিশ্বরেকর্ডই করে ফেললাম এইবার ! ‘এই দিন দিন না, আরো দিন আছে। এই তো সবে শুরু। থাকবেন তো মনে হয় তিন বছর এইখানে। টের পাইবেন আইছেন অবশেষে কোন দেশে।’

আরে! মাথাটা একদম আউলাইয়া গেল নাকি? রাতভর ঘুমহীন চোখে দাঁড়িয়ে থাকার ক্লান্তির বোঝার উপর শাকের উপর আঁটি হয়ে, একে একে ক্ষুধা, তৃষ্ণা আর প্রাকৃতিক চাপ মাথার উপর নাজিল হওয়াতেই ওটা বিগড়ে গেল নাকি ? না হয় নিতান্তই জড়বস্তু ঐ লাল কচ্ছপ খোলের সুটকেসটির সাথে কথোপকথন হলো কীভাবে? হোক না সে যতোই আমার নিয়মিত ভ্রমণসঙ্গী?

একথা অন্যে টের পেলে সাথে সাথেই সে অবশ্যই পাগলা গারদ খুঁজবে আমার জন্য, এবং সেজন্যতো তাকে দোষ দেয়া যাবে না! নিজের কাছেই তো মনে হচ্ছে, এ হল বদ্ধ উন্মাদীয় ব্যাপার। নাহ কাল্পনিক হলেও এ বিভ্রমকে পাত্তা দেয়া যাবে না মোটেও, ভাবতে ভাবতে এরই মধ্যে যোগাড় করা ট্রলিটি ঠেলে এগুতে লাগলাম সুটকেস উদ্ধারে।

অতঃপর সুটকেসের সাথে পিঠের ব্যাগও ট্রলিতে চাপানো হতেই তা ঠেলে ঠেলে রিয়াদ বিমানবন্দরের সবুজপথের মুখে এসে দাঁড়িয়ে চকিতেই দেখে নিলাম ওখানকার কাস্টমস কর্তাদের, করে থাকি যা যে কোন বিমানবন্দরে। নানান বিমানবন্দরের সবুজ চ্যানেলে এ পর্যন্ত যা অভিজ্ঞতা, তাতে জানি কাস্টমস কর্তাদের কারো দিকে চোখাচোখি না করে, আনমনে মোটামুটি গতিতে হেঁটে গেলে পার হয়ে যাওয়া যায় এলাকাটা নির্ঝঞ্ঝাটে। যদি হয় চোখাচোখি ভুলেও কারো সাথে, তবেই দেখেছি ব্যাগ সুটকেস সব উঠিয়ে দিতে হয় স্ক্যানিং মেশিনে।

এ ব্যাপারে একদম ভিন্ন ঘটনা ঘটে আমারই নিজ দেশে। এ পর্যন্ত যতবারই ঢাকা এয়ারপোর্টের সবুজ চ্যানেল দিয়ে ব্যাগ সুটকেসের ট্রলি নিয়ে আনমনে হেঁটে যেতে চেষ্টা করেছি, লাভ হয়নি কোনই। প্রতিবারই কোনো না কোনো কোণা থেকে, কাস্টমসের কোনো না কোনো সাইজের হর্তাকর্তা বিধাতা, তুমুল সন্দেহে ট্রলিস্থ ব্যাগ সুটকেস জরীপ করতে করতে অহেতুক প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘কোন দেশ থেকে আসলেন?’

অহেতুক প্রশ্ন ওটা, কারণ উত্তর আমার যেই দেশই হোক না কেন, প্রতিবারই জনাবদের অলঙ্ঘনীয় আদেশ ছিল ‘ব্যাগ সুটকেসগুলো সব স্ক্যনিংএ দেন তো।’ ভাবটা এমন যে, উনি নিশ্চিত ব্যাগে করে আমি মাদক, সোনাদানা বা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঢুকছি দেশে! এতে প্রতিবারই তুমুল বিরক্ত হলেও, তুমুল ধৈর্যে তাদেরকে দোষারোপ না করার জন্য ভেবেছি, দোষতো আসলে এই আমি নন্দঘোষের ভূতো চেহারা আর পোশাক আশাকের। ফলে বেশিরভাগ সময়েই তথাস্তু বলে সেই আদেশ শিরোধার্য করলেও, ভুল করে যে দুয়েকবার কথা বাড়িয়েছিলাম তাতে বেড়েছিল ঝামেলা নিজেরই। ওই ক’বার স্ক্যানিংমেশিন পুলসিরাত পার হবার পরও ব্যাগ সুটকেস খুলে দিতে হয়েছিল। চেহারায় নিতান্তই গোবেচারা ভাব ধরে ভেতরে সবকিছু ওলট পালট করতে করতে জনাবেরা বলেন, স্ক্যানিংমেশিন নাকি বিশেষ কোন সিগন্যাল দিয়েছে ! সে সিগন্যাল তো উপেক্ষা করা যায় না, তাই নিশ্চিত হবার জন্যই ব্যাগ সুটকেস এভাবে ঘুটতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই।

কথা হচ্ছে এইখানে ইমিগ্রেশন পার হতে গিয়ে যে দুর্ভোগের পুলসিরাত পার হতে হয়েছে গোটা রাত জেগে, নিজের এই ধ্বস্ত বিধ্বস্ত অবস্থায় এখন যদি পড়তে হয় ফের কাস্টমসের পাল্লায়, তবে আরো যে কতো সাপের পাঁচ পা দেখতে হয় তা কে জানে? নাহ, ভাগ্যদেবী দেখছি তাকিয়েছেন অবশেষে অধমের দিকে, মুখ তুলে। কিম্বা হতে পারে আগাম সাবধানতা হিসেবে দূর থেকে আগেই যেহেতু দেখে রেখেছিলাম, এখানকার কাস্টমসের দুজনের একজন চেয়ার বসে ঝিমুচ্ছেন ও অন্যজন স্ক্যানিংমেশিনের পাশে মোবাইলে তুমুল মগ্ন, সেজন্য বিশেষ সাবধানতা হিসেবে ট্রলির শব্দ বাদে, বাড়তি কোনো শব্দ না করে সবুজ চ্যানেল পার হয়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছে বেঁচে গেলাম।

এ নিশ্চিত ছিলাম যে, অবশ্যই গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হোটেলের ড্রাইভার অপেক্ষায় নেই, তারপরও বৃথা আশায়, দুই নম্বর টার্মিনালের এই আগমনী লাউঞ্জের সম্ভাব্য যে জায়গায় নানানজনকে পিক আপ করার জন্য আসা লোকজন, বোর্ডে বা কাগজে নাম লিখে দাঁড়িয়ে থাকে তাকালাম সেদিকে। খাঁ খাঁ শুন্যতা ওখানে। আসলে গোটা টার্মিনালটাতেই দেখছি আমার মতো দুয়েকজন আগুন্তক ছাড়া কোথাও আর কেউ নেই। বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার এ সময়টায়, এই টার্মিনালে সাউদিয়ার কোনো ফ্লাইট কোথাও থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে না! এই যখন অবস্থা, এখন কি তাহলে কোনো মানি চেঞ্জার খোলা পাওয়া যাবে? ট্যাঙি ভাড়া দেবার জন্য হলেও চাই কিছু রিয়াল আমার। সামনে এগুতে এগুতে গভীর মনোযোগে খুঁজছি তাই মানিচেঞ্জার। নাহ কোনো মানিচেঞ্জার নেই ! তার বদলে রিয়াদ ব্যাংক লেখা একটা বুথ দেখতে পেয়ে দ্রুত এগিয়ে গেলাম সেদিকে।

গ্রাহকের সাথে লেনদেন করার বুথটির কাচের জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই, ভেতরে সৌদি জাতীয় পোশাক পরা গাট্টাগোট্টা একজন কে দেখতে পেয়ে কিছুটা জোরেই বললাম

আস সালামুয়ালাইকুম’

ওয়ালাইকুম’

গমেগমে গলায় উত্তর দিলেও, তাকিয়ে আছেন উনি একমনে টেবিলের বাঁ পাশে থাকা তার কম্পিউটারের পর্দায়।

কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে সসভ্রমে গলা খাকারি দিয়ে সরি বলার সাথে বললাম ইংরেজিতে, ডলার বদলে কিছু রিয়াল দেবেন কি জনাব দয়া করে ?

চোখ তুলে তাকালেন উনি এবার। সাথে সাথেই মুখভঙ্গিতে তার স্পষ্ট হল যে, এ আদমকে তার পছন্দ হয়নি। গম্ভীরভাবে বললেন ‘হ্যাভ একাউন্ট?’

আরে কী বলেন মিয়াভাই? আইলামই তো এইমাত্র। ব্যাংক একাউন্ট খোলার আর সময় পাইলাম কই? মনে মনে এসব আওড়ালেও মুখে বললাম, না নাই একাউন্ট এই ব্যাংকে।

নো’ বলার সাথে তাচ্ছিল্যের সাথে মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে হাত নাড়িয়ে আমাকে বিদায় হতে বললেন এবার রাজরাজড়া আর শেখদের দেশ সৌদির, এই মহাশেখ !

কী আর করা! বোঝা যাচ্ছে ট্যাক্সি ধরে হোটেলে গিয়ে, হয় ওখানে ডলার ভাঙিয়ে শোধ করতে হবে ভাড়া; কিম্বা হোটেলকে বলতে হবে তাদের ক্যাশ থেকে ভাড়া শোধ করে যেন ওটা আমার রুমের ভাড়ার সাথে যোগ করে দেয়।

এই ভাবনায় ব্যাংকের ঐ বুথের সামনে থেকে সরে আসতে আসতে চারদিকে তাকিয়ে ট্যাঙি সাইন খুঁজে ট্যাক্সির স্ট্যান্ড কোনদিকে তা বোঝার জন্য এগুচ্ছি যখন, তখনই গেল নজর স্যুটটাই পরা গট গট করে বুথটির দিকে এগুতে থাকা হ্যাংলা পাতলা ঢ্যাঙ্গা লোকটির দিকে। গায়ের রং, চেহারা মিলিয়ে বুঝতে পারছি না ইনি আফ্রিকান নাকি মধ্যপ্রাচ্যেরই কোনো দেশের। অবশ্য তার দেশ ও জাতীয়তা জেনে কী লাভ? এ মুহূর্তে দরকার আমার হয় ডলার ভাঙানো, নয়তো কোনো একটা ট্যাক্সি ধরা। তবে এই লোকটিকে সেই ব্যাংকবুথটির দিকে এগুতে দেখে ষষ্ঠইন্দ্রিয় মারফত কেন জানি পেলাম দেখা কিঞ্চিৎ আলো, আশার। অতএব দাঁড়িয়ে পড়ে তার দিকে চোখ রাখতেই দেখি, ঐ বুথটির বা দিকের দেয়াল; মানে আগমনী লাউঞ্জের ভেতরের দিকের দেয়ালের সাথে মিশে থাকা দরজায় কাছে গিয়ে কিছু একটা করছেন উনি। অচিরেই তাতে দরজাটি খুলে যেতেই হাওয়া হয়ে গেলেন উনি দরজার ওপাশে।

এরপর মিনিট দুই কি তিন বাদে, একই দরজা খুলে হেলে দুলে বেরিয়ে এলেন সেই সৌদি মহাশেখ। নিশ্চয় ডিউটির অদল বদল হল এখন। রাত জেগে ডিউটি করার কারনে হয়তো মহাশেখ সাহেবের মেজাজ ঠিক ছিল না। দেখা যাক এই ভোরে ফুরফুরে মেজাজে আসা এই নতুন লোকটির কাছ থেকে ভাঙানো যায় কি না ডলার? তবে শেখের শেখ এই মহাশেখ বিদায় না হওয়া পর্যন্ত যাওয়া যাবে না ঐদিকে।

যদিও ছুটি পাওয়ার আনন্দে বাগ বাগ মহাশেখ সাহবের অবশ্য এই আদমের দিকে নজর দেবার কোনো ফুরসৎ নেই। বুথ থেকে বেরিয়ে তিনি উল্টা দিকে ঘুরে কিছুদূর এগিয়ে আগমনী লাউঞ্জের বোধ করি পার্কিং লটে যাবার জন্য একটা লিফটে ঢুকে যেতেই, এগুলাম বুথের দিকে।

গুড মর্নিং বলবো? নাকি সালাম দিবো? এ নিয়ে মনে দোলাচাল থাকলেও শেষ পর্যন্ত, আসালামুয়ালাইকুম বলেই কাচের ওপাশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই– ‘ওয়ালাইকুম’ বলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে উনি এদিকে তাকাতেই বললাম, জনাব আপনি কি আমাকে কিছু ডলার বদলে রিয়াল দিয়ে উপকার করবেন যাতে হোটেলে যাবার ট্যাক্সি ভাড়া দিতে পারি?

উত্তরে, একনজরে আপাদমস্তক জরীপ করলেন এ আদমকে। তারপর বললেন, ওকে, বাট নট মোর দেন হান্দ্রেদ দলার !

তার এ কথায় মহাআনন্দিত আমি রিয়াল হাতে পাওয়ার আগেই, পেয়ে গেলাম কী না হাতে, আকাশের গোটা চাঁদ। লেখক : ভ্রমণসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমকালের দর্পণ
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি-দ্রুত লাগাম টানা দরকার