দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ৫ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

পুত্রের আব্দার নিয়ে দেখছি মাতা তার হয়ে আছেন স্পিকটি নট। স্বামী হিসাবে স্ত্রীর কোন সময়ের কোন ধরনের কোন মৌনতা কিসের লক্ষন; আত্মরক্ষার খাতিরেই তা জানা অত্যন্ত জরুরী । কিন্তু হায়! সেই গূঢ়বিদ্যা তো এখনো আয়ত্তে আনতে পারিনি। যার কারণে আছি সব সময়েই তুমুল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।

 

 

কিন্তু এ মুহূর্তে আছি যেহেতু প্রাচীনচীনের রক্ষাকবচ মহাপ্রাচিরের উপরে, তারই বদৌলতে মনে বেঁচে গেলাম এবার। চকিতেই বুঝে গেলাম ঐ মৌনতা হল মৌনং সম্মতি লক্ষনংই। ফলে নিজে যে হয়ে গেলাম এক ও অদ্বিতীয় সংখ্যালঘিষ্ঠ, তাও বুঝলাম। আজকের দুনিয়ায় যখন সংখ্যাগরিষ্ঠের ধুন্দুমার জয়জয়াকার

অবস্থা এবং যখন তথাকথিত গণতান্ত্রিকযুগে সংখ্যালঘিষ্ঠদের যাপন করতে হয়ে সংখ্যালঘু জীবন সেরকম পরিস্থিতিতে মনে মনে সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম, না না বলা উচিৎ কুর্নিশ করে, দ্রুত তথাস্তু বলে কার্নিশ উপরে লাফিয়ে উঠে, মহাপ্রাচীরের সেই নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে দিলাম রক্তেকেনা বর্ণমালার

গোটা গোটা অক্ষরে সকলের নাম! ভাবলাম যতদিনই হোক থাকুক না লেখা এখানে যে, একদা সপরিবারে এসেছিলাম এই মহাপ্রাচিরে।

লেখা শেষ করে কার্নিশ থেকে লাফিয়ে নামতে নামতে স্ত্রীকে দীপ্রর ক্ষুধার খবর জানাতেই, দু পুত্র তড়িঘড়ি করে তারস্বরে জানালো, এখানে এখন তারা কিছুই খাবে না। নীচে নেমে ঐ বার্গার কিং এ গিয়ে তারা খাবে!

এরকম অবস্থায় সাধারণত খাওয়া নিয়ে বিশেষত দীপ্রর সাথে তৈরি হয় মাতাপুত্রের দ্বৈরথ, যাতে প্রায়শই শাখের করাতের নীচে পড়ে যাই আমি নিজেই। অতএব পুত্রদের এরকম তুমুল প্রতিবাদে মনে মনে প্রমাদ গুনতে গুনতে যখন ভাবছিলাম কি দরকার ছিল? এখন এ কথাটা বলার! একেই তো বলে আমাদের কুমিল্লার ভাষায় নিজে নিজে নিজের জন্য শনি ডেকে আনা, আমি তো এখন তাই করলাম!

কিন্তু নাহ, ঐ মহাপ্রাচিরের রক্ষাকবচ মনে হল দ্বিতীয়বার রক্ষা করলো। পুত্রদের প্রতিবাদের মুখে, মাতা তাদের এককথায় রাজি হয়ে বলল,

ঠিক আছে চল তাহলে রওয়ানা করি তাড়াতাড়ি।”

মায়ের কাছ থেকে এরকম অভাবিত আস্কারা পেয়ে, পুত্রদ্বয় হৈ চৈ করে ঐ ঘুমটি ঘর থেকে বেরিয়ে পাহাড়ের নীচে যাবার জন্য সিঁড়ির দিকে এগুতেই, হেলেন তাদের পিছু নিতেই, পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে লাজু জানাল যে ব্যাগে তার পানির বোতল ছাড়া আর কিছুই নাই এখন আর। ব্যাগের মধ্যে খাবার যা ঢুকিয়েছিল, গাড়ী থেকে নামার সময় ওজন কমানোর জন্য ঐ প্যাকেটেটি অধিকাংশ আপতকালিন খাবারসহ গাড়িতেই রেখে এসেছিল।

ঠিক আছে অসুবিধা নাই, বলে ওকে আশ্বস্ত করতেই উত্তর এলো : “না না ঠিক থাকবে কেন? বাচ্চা দুটো আমার না খেয়ে আছে! দোষ তো তোমার। আমি কি জানতাম নাকি এতোক্ষণ লাগবে এই গ্রেটওয়াল দেখতে? এতো উপরে উঠতে হবে সেটাই কি জানতাম নাকি! তুমি বলো নাই কেন?”

হায়রে হায়, কবিগুরুর মতো আমি তো আর জমিদার না, তাই আমার কোন কেষ্টা নাই বা ছিল না সে কোনকালেই। ফলে আমি নিজেই তো ঘরে হয়ে আছি কেষ্টা সেই কবে থেকে! ঐ যে যেদিন সর্বসমক্ষে কলেমা পড়ে কবুল বলেছিলাম সেদিনই যে নিজের কেষ্টা অবস্থা কবুল করেছিলাম তা তো সেদিন টের পাই

নাই। এদিকে কেষ্টাদের তো কোন বাকস্বাধীনতা থাকার নিয়ম নাই। অতএব চুপচাপ কেষ্টাভঙ্গিতে মাথা নিচু করে তুমুল এ অপরাধ নিজ মস্তকে ধারণ করে অনুগমন করতে করতে ভাবলাম,এখন যদি ভুলক্রমেও সত্য স্বীকার করে বলি যে আমিই কি জানতাম নাকি যে এতোটা উঠতে হবে উপরে বা সময় পেরিয়ে

 

যাবে দুপুর গড়িয়ে? তাহলে যে জাতের বোমাবর্ষিত হতে শুরু করবে তা ধারণ করার ক্ষমতা এই মহাপ্রাচিরের না থাকলেও স্বামীপ্রবরদের থাকতে হয়। আর তাতেই টিকে আমাদের সমাজ সংসার। কপাল ভাল সে কথা উচ্চারণ করিনি ভুলেও। ফলে বিরাট এক ফাঁড়াই কেটে গেল ফের। এ কি তবে মহাপ্রাচিরের

অলৌকিক কেরামতি নাকি? এক্কেবারে তিন তিনবার বাঁচিয়ে দিল। নাহ আর নেয়া যাবে না ঝুঁকি। দানে দানে তিন দান বেঁচে গেলেও, চার দানে হতে পারে এক্কেবারে জান কোরবান।

এদিকে সিঁড়ির গোড়ায় এসে দেখি আগেভাগেই এদিকে ওরা দৌড়ে চলে আসলেও, পুত্রদ্বয়সহ হেলেন এতক্ষণ অপেক্ষা করছিল আমাদের আসার। কিন্তু তিনজনের এই দলে আছে একটা গুমোটভাব। ঘাড় গোঁজ করে দাঁড়িয়ে আছে বিশেষত দীপ্র ! দ্রুত গোটা পরিস্থিতি দেখে ভাবছি যখন ঘটনা কি? তখনি মুখ খুললো হেলেন

দেখ, দাদা , ওরা কম্পিটিশন করে দৌড়ে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে চাচ্ছিল। এই দীপ্রটাই তাল দিয়েছে অভ্রকে। এভাবে নামতে গিয়ে পড়ে গেলে কি যে হবে! তাই ওদের ওটা করতে দেইনি বলে, দীপ্র রেগে গিয়ে আমার সাথে খুব বাজে ব্যবহার করেছে !”

কি ব্যাপার দীপ্র, এটা কেমন কথা? খুবই খারাপ কথা! তুমি জানো না কোন ধরনের বেয়দবি আমি সহ্য করি না? সরি বলো ফুপ্পিকে এক্ষুনি।

না, মানে আমরা তো …”

না না কোন কথা নয় দীপ্র, সরি বলো আগে। ফুপ্পি তো তোমরা যাতে ব্যাথা না পাও সেজন্য ওরকম করতে দেয়নি। আর এটা তো কোন ফ্লাটের বা দালানের সিঁড়ি না, পাহাড়ি পথের সিঁড়ি। মুখের কথা পুরো শেষ হবার আগেই

সস সরি’ বলেই দীপ্র দ্রুত দৌড়ে মায়ের হাতের নাগালের বাইরে এসে আমার ডানে দাঁড়ালো জ্যাকেট খামচে।

থাক, থাক এখন আর এ নিয়ে মারামারি বা কথা বাড়ানোর দরকার নাই। দীপ্র ভুল বুঝতে পেরেছে, সরি বলেছে। এ নিয়ে ফের কথা হবে রাতে হোটেলে ফিরে। কাউকেই উদ্দেশ্য না করে ব্যাকরণে যাকে বলে তৃতীয় পুরুষকে কথা বলা, সেরকমভাবে বলতে বলতে সিঁড়ি ধরে নিম্নগমন শুরু করতেই , অভ্রও দ্রুত নামতে শুরু করলো আমারই বা পাশ ঘেঁষে।

মাধ্যাকর্ষণ জনিত ত্বরণের টানে নাকি বিশেষত পুত্রদের পেটের ক্ষিধের টানে জানি না সঠিক, বেশ দ্রুতই নেমে গেলাম বাপবেটা তিনজন নিঃশব্দে প্রথম ধাপের সিঁড়িগুলো। নেমে ঘাড় ঘোরাতেই দেখতে পেলাম হেলেনের বাকি আছে মাত্র তিনটে সিঁড়ি, আর লাজুও ও আছে তারই পেছনে গোটা তিনেক সিঁড়ির উপরে। দলপতি হিসাবে বেশ স্বস্তি পেলাম ব্যাপারটায় এই ভেবে যে, নাহ উপরে উঠতে যতোটা সময় আর ধকল গেছে, নিম্নগমনে তেমন কিছু আর হবে না। লাজুর আহত পাও মনে হচ্ছে তেমন যন্ত্রনা দিচ্ছে না।

পেছন থেকে ওরা দু’জন এসে আমাদের সাথে যোগ দিতেই ডানে মোড় নিয়ে হাঁটা ধরলাম নিম্নগমনের দ্বিতীয় ধাপের সিরিগুলোর দিকে । বিশ্রাম যদি নিতেই হয় তবে নেব ঐ ধাপ পেরিয়েই।

জানো অভ্র, আমি আর বাবা খুব সুন্দর একটা পাখি দেখেছি? কি পাখি জানি না। বাবাও চিনতে পারেনি , আমিই কিন্তু আগে দেখেছিলাম। ছবি তুলতে গেছি যখন তখন ওটা উড়ে গেল, না হয় তোমাকে দেখাতে পারতাম । তুমি কি দেখেছো ওরকম কিছু ?”

আমার সাথে পা মিলিয়ে সিঁড়ি ভেঙে নামতে নামতে ডান পাশ থেকে করা দীপ্রর এই প্রশ্নে, অভ্র নিজেদের মধ্যে সতত বিরাজমান দ্বৈরথের ভাবটির টের পেয়ে, সে কথার কোন উত্তর না দিয়ে আমাকেই জিজ্ঞেস করলো

বাবা, এখানে কি পাণ্ডা আছে?” বলেই চারিদিকের গাছপালা আর ঝোপঝাড়ের দিকে নজর বোলাতে লাগলো।

আরে এটা তো মনেই ছিল না! জায়েন্ট পাণ্ডা তো চায়নার জাতীয় পশু। শুধু জাতীয় পশুই না ওটা চায়নার এক্কেবারে ডিপ্লোম্যাটিক পশু। চিকন বুদ্ধির চায়নিজরা তাদের এনডেমিক মানে এক্কেবারে স্থানীয় পশু এই পাণ্ডাকে আমেরিকার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় হিসাবে পুরোদস্তুর কূটনৈতিক মর্যাদায় উন্নীত করেছিল সেই চল্লিশের দশকের শুরুতে। ব্যাপার হচ্ছে তিরিশের দেশকের শেষ দিকে চীনের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের অনেকটাই দখল করে নিয়েছিল জাপান। ঐ সময়ে সমর শক্তিতে পরম পরাক্রমশালী আর হিংস্রতার জন্য বিখ্যাত জাপানের সাথে চায়না মোটেই পেরে উঠছিল না।

বলো না বাবা এখানে কি পাণ্ডা দেখতে পাবো?” একটু আগে করা একই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে, আমার হাত ঝাঁকিয়ে অভ্র ব্যাপারটার গুরুত্ব বোঝাতেই, চারদিকে ফের একবার ভাল করে নজর দিয়ে বললাম না মনে হয়। এরই মধ্যে তিনজন পেরিয়ে গিয়েছি দ্বিতীয় ধাপের সিঁড়িগুলোও। আবারো ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম যে খুব একটা পিছনে নেই হেলেন আর লাজু। যার মানে হচ্ছে আমাদের বাপবেটা তিনজন যে গতিতে নামছি , তা খুব দ্রুত কিছু নয়। তাল মেলাতে পারছে ওরা।

অচিরেই ওরা এসে পৌঁছুতেই জিজ্ঞেস করলাম বিশ্রাম নেবার দরকার আছে কি না? সমস্বরে দলের দুই ক্ষমতাধর জানালো, তার কোনই দরকার নাই। এগুনো যাক। দরকার হলে নাকি ওরাই বলবে। অতএব সামনের দিকে মানে নিম্নগমনের জন্য পরবর্তী সিঁড়িগুলোর দিকে এগুতেই, এবার দীপ্র জিজ্ঞেস করলো “এখানে পাণ্ডা নেই কেন বলছো? কিভাবে তুমি শিউর হলে ?”

নিম্নাবতরন অব্যাহত রেখে দুজনের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম, আচ্ছা তোমরা জানো কি, পাণ্ডা কি খায়?

বাঁশ” ও “ব্যাম্বু” প্রায়ই একই সাথে দ্বিভাষিক জবাব এলো দীপ্র ও অভ্রর কাছ থেকে যথাক্রমে এখানে আশেপাশে কোন বাঁশঝাড় মানে বাঁশের গাছের ঝোপ দেখছি না তো। পাণ্ডা কিন্তু সারাক্ষণই খায়। আর খায় ঐ বাঁশই। তা যেহেতু নাই সেজন্যই বললাম নাই এখানে পাণ্ডা মনে হয়। আচ্ছা তোমরা কি বাঁশ গাছ চেন?

হ্যাঁ চিনি তো। দেখেছি না চাঁদপুরে সাপদির বাড়িতে। “দীপ্র ঝটপট উত্তর দিলেও অভ্রর নিরবতায় ফের ওকে নির্দিষ্ট করে জিজ্ঞেস করতেই সেও জানালো সে ভালই চেনে বাঁশগাছ, তবে ওর চেনার উৎস হলো ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক আর ডিসকভারি চ্যানেল। তাতে ফের মনে পড়লো, আরে তাইতো খুব ছোটবেলা থেকেই তো কার্টুন ফিল্মের চ্যানেলের পাশাপাশি এই চ্যানেলগুলোও দেখতো গভীর মনোযোগে।

বাবা, ছেড়ে দাও। দৌড়ে নামবো না আমরা’ এসময় দীপ্রর এ আবেদনে দুজনকেই মুক্ত করে দিতেই, বালসুলভ চপলতায় গতি কিছুটা বাড়িয়ে দুই সিঁড়ি এগিয়ে নেমে দুই ভাই নিজেদের মধ্যে আলাপ শুরু করতেই সেই যে চীনের পাণ্ডা ডিপ্লোমেসির কথা ভাবছিলাম ফিরে এলো তা। আচ্ছা ইংরেজি এই শব্দদ্বয়ের বাংলা, পান্ডা নীতি হলেও তো হয়। কারণ বাংলায় ব্যবহৃত পাণ্ডা শব্দে তো কূট ব্যাপারটা এমনিতেই গ্রথিত প্রোথিত আছে। সেক্ষেত্রে পাণ্ডা ডিপ্লোম্যাসির বাংলা পাণ্ডা কূটনীতি না বলে পান্ডানীতি বললেও হয়। এ ভেবেই নিজে নিজে মনে হল না হয় পাণ্ডানীতি বললে সেটির ইংরেজি করলে তো তা হয়ে যাবে পাণ্ডা পলিসি, মানে পাণ্ডা বিষয়ক নীতি। তাহলে কথাটা পাণ্ডা কূটনীতিই থাকা ভাল।

বেশ আগে পড়েছিলাম কোথায় যেন এ ব্যাপারটি। এ মুহূর্তে মনে করার চেষ্টা করছি সেই যে চল্লিশের দশকে আমেরিকার সাথে যে চায়নিজনেত্রী এই পাণ্ডা কূটনীতির সূচনা করেছিলেন, তার নাম। কিন্তু নাহ কিছুতেই মনে আসছে না, চুং চাং ফিং ফাং না কি যেন নামটি ছিল। নাম মনে না আসলেও এটুকু মনে আসছে যে উনি ছিলেন চিয়াং কাইশেকের স্ত্রী। সে হিসাবে তাঁকে মিসেস চিয়াং বলাই যেতে পারে। তবে মানবসমাজে গভিরভাবে প্রোথিত লিঙ্গ বৈষম্যের কথা মনে করে, কোন মহিলাকে তার স্বামীর নামের আগে মিসেস লাগিয়ে ডাকাটা সচেতনভাবেই বিরত থাকার চেষ্টা করছি তো বেশ কিছুকাল, তাই তা করা থেকে এখনো বিরত থেকে নামটি মনে করতে চেষ্টা করতে করতেই মনে হল যে, আসলে চায়নিজ ভাষায় নারী বা পুরুষের নাম যে কোনটা তা তো আমি আলাদাই করতে পারি না। সেক্ষেত্রে কারো নাম মনে রাখা তো আরো জটিল হয়ে গেল! একথা মনে পড়তেই নামটা মনে করতে পাড়ার যতোটুকু ক্ষীণ আশা ছিল, তাও গেল উবে, এখানকার হিমবাতাসে।

লেখক : প্রাবন্ধিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালোবাসি ভাষাকে
পরবর্তী নিবন্ধঅর্থনীতি হোক নিরাপদ এবং টেকসই