দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদ স্মরণে আইআইইউসির অনুষ্ঠান

| রবিবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের চেয়ারম্যান ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের দেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। কিন্তু সংস্কার ছাড়া নতুন যাত্রা সম্ভব নয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এ দেশের মুক্তিপ্রিয় যেসব ছাত্রজনতা জীবনদান করেছেন তারা হচ্ছেন এই যুদ্ধের মহানায়ক। এই যুদ্ধে লড়াই করে মহান আল্লাহর কৃপায় যারা বিজয়ীর বেশে বেঁচে আছেন তারা আজকের যুগের গাজী সালাহউদ্দিন। জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস লিখতে হলে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর নাম আলাদা অধ্যায় হিসাবে লিখতে হবে। কারণ আইআইইউসির আগে রাজপথ, রেলপথ কেউ অবরুদ্ধ করতে পারেনি। এই ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ ইতিহাস মানুষ বারবার ভুলে যায়।

গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদআহতদের স্মরণ আলোচনা, দোয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) . আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসির ভারপ্রাপ্ত ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। বক্তব্য রাখেন, আইআইইউসির রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাশেম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ শামসুল আলম, প্রক্টর মোস্তফা মনির চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক, আইআইইউসির ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত আইআইইউসির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মিহা, আবদুল্লাহ আল শাহেদ, মোস্তাকিম, তাওহীদ, নুরুল্লাহ, আবিদ, শাহেদ ও মাহমুদুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) সদস্য ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, চারিদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের ভেতর বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ছাত্রজনতা সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভারপ্রাপ্ত ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী মহাগ্রন্থ আল কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তার নির্ধারিত সময়ে পাকড়াও করার ঘোষণা দিয়েছেন। জুলুমনির্যাতনের শেষ আছে। আল্লাহ কাউকে চিরস্থায়ী লিজ দেন না। সুতরাং স্বাধীনতার সুরক্ষার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দিল্লী বরাবরই আমাদের দাসত্ব ও শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিল। বিপদে যারা এগিয়ে আসে তারাই প্রকৃত বন্ধু। ভারত কী আমাদের প্রকৃত বন্ধু? এই প্রশ্নের উত্তর এরই মধ্যে সবাই পেয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে ইকোনমিঙ এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নির্দেশনা ও তাইয়্যেবা তাসনিম মিহার গ্রন্থনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। আলোচনা পর্বের পর ছিল জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করে রাশেদ মুহাম্মদ, মুবিন তুষার ও মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষায় সকল শিশুর সম সুযোগ ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে জয় পেল আবাহনী