লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশ ঠিক রাখতে হলে ভালো মানুষ গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে মানুষের মনুষ্যত্ব, নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদের সঠিকভাবে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে এবং রাজনীতিতে আসতে হবে। তিনি বলেন, দেশে স্কুল কলেজ হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না। শিক্ষকদের রাজনীতির সাথে জড়িত না হয়ে শিক্ষার্থীদের মানুষ গড়ার কাজে সময় দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে দেশকে সংস্কার করতে হবে। অতীতে তিনি চন্দনাইশকে ফুলের মতো সাজিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামীতে তিনি আর নির্বাচন করবেন না জানিয়ে তার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন। পড়ালেখার কোনো বয়স নেই উল্লেখ করে আরো বলেন, ৬৩ বছর বয়সে তিনি লন্ডনে পিএইচডি করেছেন।
তিনি গত শনিবার চন্দনাইশের ঐতিহ্যবাহী বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মো. আবদুল আলীম। স্মৃতিচারণ ও আলোচনায় অংশ নেন বরমা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবদুল গফুর খান, অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, ডা. মঈনুদ্দিন চৌধুরী, আবদুল আহাদ, প্রধান শিক্ষক এএইচএম ছৈয়দ হোসেন, শিক্ষক স্বপ্না ভট্টাচার্য্য, জাহানারা বেগম, রেহেনা আকতার কাজেমী, মহিউদ্দীন ওসমান গণি, কামরুন নাহার, বলরাম চক্রবর্ত্তী, ছৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. জোবায়ের, কাজী মো. দেলোয়ার হোসেন, জোবাইর ছৈয়দ, মো. আমির হোসেন, এড. অঞ্জন বিশ্বাস, এড. রণি কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বরমার কৃতী সন্তান যাত্রা মোহন সেন গুপ্ত, প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, শহীদ আবদুস ছবুর খাঁনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক, শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী, দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র সভাপতি এয়াকুব আলী, উপজেলা এলডিপি’র সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশা, এলডিপি নেতা আইনুল কবির প্রমুখ।