করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যারা টিকা নিয়েছেন বা নেবেন, সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে তাদেরকেও মাস্ক পরা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা এবং একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ বিষয়ে কথা বলেন সরকারপ্রধান।
মহামারী মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন, তাদেরকেও কিন্তু মাস্ক পরে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। এটা নিজের জন্য বা অন্যের জন্য এটা দরকার, সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা সারা বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সকলকেই নিরাপদ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারীর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সংসদ টেলিভিশন এবং অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত থাকে। আল্লাহর রহমতে করোনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আরেকটু নিয়ন্ত্রণে আসলেই আমরা স্কুল কলেজ সব খুলে দেব। দেশের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, যে যাই বলুক। সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ‘নানাভাবে নানা অপপ্রচার’ চালানোর চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, সততা নিয়ে কাজ করলে পরে আর সেই কাজের সুফলটা যখন জনগণ পায়, সেখানেই হচ্ছে তৃপ্তি, যে না, জনগণের জন্য কিছু করতে পারলাম। আর কেউ যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে, অবশ্যই একটা দেশকে উন্নত করা যায়।
শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, সেটার প্রশংসা তো দিতেই পারল না, উল্টো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে, কেউ উঠবেন না। তাহলে নদীটা পার হবে কিসে মাননীয় স্পিকার? যদি নৌপথে যেতে হয়, তাহলে নৌকা বা…নৌকায়ই যেতে হবে বা…উপায় তো নাই। হ্যাঁ…নৌকায়ই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়, কোনো অসুবিধা নাই।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপিরও তো আজকে সেই দশা। তাদের নেতৃত্বের অভাব। তারা এখানে যতই বক্তৃতা দিক আর যতই কথা বলুক। এই ধরনের সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, তাদের উপর মানুষের আস্থা থাকে না, বিশ্বাস থাকে না।
১৯৯১ সালে বিএনপি শাসনামলে যারা ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়ে কঙবাজারে পড়েছিলেন, তাদেরও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ফ্ল্যাটবাড়ি করে দেওয়ার কথা সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
অবস্থা বুঝে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান : বাংলানিউজ জানায়, করোনার কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা অবস্থা বুঝে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।












