‘থ্যালাসেমিয়া’ একটি রক্তস্বল্পতাজনিত বংশগত রোগ। বাবা ও মা উভয়ই এই রোগের বাহক হলে অর্থাৎ এই রোগের ক্রটিযুক্ত জীবন বহন করলে সন্তানের এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণের আশঙ্কা থাকে। দেশে প্রতি বছর ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। রোগের বাহক হলে সামাজিকভাগে হীনম্মন্যতায় ভোগার কারণ নেই। বরং সচেতন থাকায় মূল প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
গতকাল চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সেমিনার ও বিনামূল্যে বাহক নির্ণয় কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন। ইয়ুথ ক্লাব অফ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ডিভিশনের সহায়তায় বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হেমাটোকেয়ার কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে প্রায় ৩শর অধিক শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বাহক নির্ণয়ের পরীক্ষা করা হয়। পরে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. এ কে এম একরামুল হোসেন স্বপন। চেয়ারপার্সন ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিএমটি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ড. প্রফেসর এম এ খান। প্রধান আলোচক ছিলেন বিএমটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাফরুহা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপা দত্ত।
উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ ক্লাব অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আরেফিন রহমান হিমেল, সহসভাপতি শাহাজালাল সম্রাট, মেন্টর নিপা দাশ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।