দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে দেশে ফেরার প্রস্তুতিতে এক দিনেই লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে ট্রাভেল পাস পেয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার রাতে বলেন, “উনি কাল আবেদন করেছিলেন। আমার জানা মতে হয়ে গেছে।” আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেকের। তাকে স্বাগত জানাতে বড় আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। যুক্তরাজ্য বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা গতকাল বলেন, “সব পরিকল্পনা মতই এগোচ্ছে। উনি ট্রাভেল পাসও পেয়ে গেছেন।” ২০০৭–০৮ সালের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার মত তার বড় ছেলে তারেক রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যান, দেশে আর ফেরেননি। খবর বিডিনিউজের।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে যেদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হল, সেদিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারেককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত সাত বছর ধরে লন্ডন থেকে ভিডিও কলেই তিনি দল চালাচ্ছেন। আর দেশে ঝড়–ঝাপটা সামলে বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০২০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয়। কিন্তু দুই শর্তের কারণে তিনি কার্যত বন্দি ছিলেন বাসা আর হাসপাতালের জীবনে। রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে তাকে আর দেখা যায়নি। ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি সাজা মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেন। পরে উচ্চ আদালতও তাকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। আওয়ামী লীগের আমলে দেওয়া বিভিন্ন রায়ে তারেকেরও সাজা হয়েছিল। সেসব মামলায় তারেকও খালাস পান। তাতে তার দেশে ফেরার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।












