‘ভালো দৃষ্টি ভালো জীবনের জন্য অপরিহার্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব অপটোমেট্রি দিবস উদযাপন করেছে ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অফথালমোলোজি (আইসিও) চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ক্যাম্পাস। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্বে অপটোমেট্রি বহুল প্রচলিত নাম হলেও আমাদের দেশে এটি একেবারে নতুন। সারা দেশে চক্ষু সেবার পরিধি বাড়াতে দক্ষ অপটোমেট্রিস্ট ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। একজন চিকিৎসকের সাথে চারজন অপটোমেট্রি থাকার কথা থাকলেও দেশে তার সংখ্যা একেবারে সীমিত।
ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন আরো বলেন, এদেশে যে পরিমাণ চক্ষু চিকিৎসক রয়েছে সেই তুলনায় অপটোমেট্রি নেই বললেই চলে।
আইসিওর পরিচালক প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম বলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের প্রচেষ্টায় হাসপাতালে ১২ বছর আগ থেকে অপটোমেট্রি গ্রেজুয়েশন ও পিএইচডি কোর্স চালু হয়েছে। এখান থেকে উন্নত শিক্ষার মাধ্যমে অপটোমেট্রিরা সারা দেশে, এমনকি বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ওসমানী বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে চক্ষু চিকিৎসা সেবায় অপটোমেট্রিস্টদের ভূমিকা তুলে ধরেন। একই সাথে শিক্ষার্থীদের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম অন্ধত্ব নিবারণে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডা. জেসমিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে নিজেকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ অপটোমেট্রিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন আইসিওর পরিচালক প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ওসমানী, এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজীব হোসেন, আইসিওর প্রভাষক জুয়েল দাশ গুপ্ত, সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।