তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা দেশে ঘৃণিত, বর্জিত, ধিকৃত তারা দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের ভিত্তি তৃণমূল পর্যায়ে, সুতরাং কাতুকুতু দিয়ে কোনো লাভ হবে না। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন সবাই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিদেশে সবাই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, যখন পাকিস্তানকে আমরা পেছনে ফেলেছি, তখন একটি চক্র দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেই চক্রের নেতৃত্বে অনেকেই রয়েছেন, যাদের মধ্যে দেশের একজন স্বনামধন্য আইনজীবীর ইহুদি মেয়ে জামাইও রয়েছেন। যারা দেশে ঘৃণিত, বর্জিত, ধিক্কৃত তারা এখন নিজেদের অর্থ দিয়ে মানুষ ভাড়া করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যোগাযোগ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। সামপ্রতিক কিছু রিপোর্ট এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা তারই প্রমাণ। তিনি বলেন, কপি পেস্ট রিপোর্ট করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের জনগণকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা অনেকের পছন্দ নয়। যারা সহযোগিতা করছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, এই খেলা খেলে লাভ নেই। একটি শক্তিশালী দেশের শক্তিশালী নেতৃত্ব, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গিয়েছিল। এ ষড়যন্ত্রও ভেস্তে যাবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ছিল। জিন্নাহ যখন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু তার প্রতিবাদ করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষার দাবিতে প্রথম সভার সভাপতিত্ব করেন তিনি। একুশে ফেব্রুয়ারিতে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কারাগারে অনশন করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সময়েও বিদেশে নানা অপপ্রচার করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি রচনা করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা জাকির আহমদ।