দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দুজনের মধ্যে একজন ঢাকা বিভাগের, আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা; দুজনই নারী। এ নিয়ে চলতি বছর কোভিডে তিনজনের মৃত্যু হল। এর আগে ৫ জুন একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন বলা হয়, এদিন সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ বছর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৫ জনে, যাদের ৯৭ জনই চলতি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
বুলেটিনে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ১০২টির মধ্যে ৯টি, চট্টগ্রাম জেলায় ৪৬টির মধ্যে ২টি, কঙবাজারে ১৮টির মধ্যে ১টি, কুমিল্লায় ৫টির মধ্যে ২টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনাভাইরাস পাওয়া যায় ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০টি নমুনায়। মৃত্যু হয় ২৯ হাজার ৫০২ জনের। মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কাড়ে করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয় ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন, ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জনের মৃত্যু হয়।
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব–ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে সেখানে।