অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তারা একেবারে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। যদি বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন কোনো রোগীকে বিদেশে পাঠাতে হবে, তাহলে আমরা তাতেও সম্মত আছি। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে তিন–চারজন আইসিইউতে আছেন। সবার চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশেও পাঠানো হবে। আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আহতদের নগদ সহায়তা দিচ্ছে। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তারা ইতিমধ্যে দিয়েছে। এখানে আজকেও (গতকাল) যে ৩০ জনের মত আছে, আমরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা করব। ১৫–২০ লাখ টাকা দেব। সরকারের পক্ষ থেকে আহত–নিহতের সংখ্যা নথিভুক্ত করতে একটি ফাউন্ডেশন করা হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো প্রয়াসকে সুযোগ দেওয়া হবে না। যারা উপাসনালয়ে হামলা করে, আমরা তাদের ক্রিমিনাল মনে করি। এসব ক্রিমিনালদের দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির আওতায় আনা হবে। একটি বিশেষ মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এই ইস্যুটাতে চাঙা করছে। এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেতন। বাংলাদেশে হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ও মুসলমানরা একই আইনের অধীন পরিচালিত হয়। আমার যেমন অধিকার আছে, একজন হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ ভাইয়েরও একই অধিকার আছে। আমরা এই অধিকারের চর্চা করতে চাই। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। আমরা এটিকে চালিয়ে নিতে চাই। আমি হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বসেছি।
তিনি আরো বলেন, এ দেশে কোনো ধরনের বৈষম্য হবে না। এদেশের নাগরিক অধিকার প্রত্যেকে সমানে ভোগ করবেন। তিলকে তাল করে আমাদের দেশে গুজব সৃষ্টির একটি পাঁয়তারা চলছে। সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ভাইদের সঙ্গে আছি এবং থাকবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমদ উল্লাহ।