দেশে করোনার ‘নতুন ধরন’

উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই : বিসিএসআইআর

| শুক্রবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের ‘নতুন ধরন পাওয়া গেছে’ বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলেছে, দেশে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইন বা ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেছেন, তাদের অসমাপ্ত কাজের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে ‘আতঙ্ক সৃষ্টি করা’ সমীচীন হবে না।। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের একটি গবেষণা চলছে, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনও আসেনি।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, বিসিএসআইআর -এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান তাদের বলেন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন স্ট্রেইনে যে বৈশিষ্ট্য আছে, তার সাথে বাংলাদেশে পাওয়া ভাইরাসের পুরোপুরি মিল না থাকলেও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। তবে এ নিয়ে তাদের আরও পরীক্ষা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মিউটেশনটা নতুন ধরনের মিউটেশন। এটা আমাদের আগে মাত্র দুইটা দেশে- পেরু এবং রাশিয়াতে ঘটেছে। রাশিয়ায় একটা নমুনায় এবং পেরুতে একটা নমুনায় তারা এই মিউটেশন পেয়েছে। আর আমরা পেয়েছি পাঁচটি নমুনায়। আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম অক্টোবরে। আর শনাক্ত করতে পেরেছি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।’ করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন নিয়ে দেশে গবেষণা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে ড. সেলিম খান বার্তা সংস্থা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশে নতুন এ স্ট্রেইনের কোনো বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়নি। তাদের দেশে (ব্রিটেন) দ্রুত সংক্রমণ বাড়ার ফলে, তারা এটা নিয়ে গবেষণা করেছে। আমাদের দেশে যেহেতু এই স্ট্রেইন সংক্রমণ বাড়ায়নি, তাই আমরা এটা নিয়ে গবেষণা করিনি। প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, তবে সব মিউটেশনেতো আর সিরিয়াস কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তিনি বলেন, নতুন এই মিউটেশন তেমন কোনো ক্ষতি করেনি, আশা করছি তেমন কোনো ক্ষতি ভবিষ্যতেও ঘটাবেও না। যেহেতু ২ থেকে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে, তাই ক্ষতির আশঙ্কা কম।
বিসিএসআইআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর হোসেন বলেছেন, দেশে নতুন স্ট্রেইন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে তারা মনে করেন। তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বেই কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রোটিনে নানা রকম মিউটেশন হচ্ছে। বাংলাদেশেও পরিবর্তন হচ্ছে। বলা হচ্ছে পরিবর্তনটির সাথে যুক্তরাজ্যের পরিবর্তনের সাদৃশ্য আছে। তার মানে হলো যুক্তরাজ্যের মতো হুবহু একইরকম নয়। কিন্তু আমরা গত এক মাসে এরকম কোন লক্ষণ দেখিনি যে এখানে ভাইরাসের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এগুলো সবই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সারাবিশ্বের পরিবর্তন যেমন পর্যবেক্ষণ করছি, তেমনি বাংলাদেশে ভাইরাসের পরিবর্তনও আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তেমন উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোন কিছু এখনও ঘটে নাই।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধচেক চুরির মামলায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধদেশ ও মানুষকে ভালোবেসে কর্তব্য পালন করতে হবে