দেশে এখন বিনিয়োগের সার্কাস দেখছি

চট্টগ্রামে সেমিনারে আমীর খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ মে, ২০২৫ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে নির্বাচিত স্থিতিশীল সরকার থাকতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা তো দেশে এখন বিনিয়োগের সার্কাস দেখছি। যারা বিনিয়োগ বুঝে, তারা জানে এই সার্কসের মাধ্যমে বিনিয়োগ হবে না। বিনিয়োগ হতে হলে বাংলাদেশে নির্বাচিত স্থিতিশীল সরকার হতে হবে। তখনি বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হবে এবং সেই সরকারের পলিসি দেখে, সেই সরকারের অ্যাটিচিউড দেখে, মনোভাব দেখে বিনিয়োগ করেন। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজিত ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছি। কিন্তু এখনো দেশে নির্বাচিত সরকার হয়নি। দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার হয়নি। যতক্ষণ সেটা না হবে, ততক্ষণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না, আর ততক্ষণ বিনিয়োগ হবে না। দেশের মধ্যে হবে না, দেশের বাইরেও হবে না।

খসরু বলে, এখানে যে বিনিয়োগ সম্মেলন হয়েছে, আমরা ওদের (বিনিয়োগকারীরা) সাথে কথা বলেছি। সব কথার শেষ কথা ওরা কী জিজ্ঞেস করে জানেন? তোমাদের নির্বাচন কবে? এটা হল শেষ কথা। অর্থাৎ এক কথায় বুঝায় দিচ্ছে, ভাই নির্বাচন না হলে এখানে কোনো ইন্টেরিম কিংবা ‘ফ্লুইড সিচুয়েশন’, এই সিচুয়েশনে তো কেউ কমিটমেন্ট করবে না। সুতরাং এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ সকলের। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, যারা পালিয়ে গেছে তাদের ছিল, এখন আছে কীনা জানি না, এবং বাংলাদেশের মানুষের। আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ চাই। এজন্য আমরা অংশগ্রহণ করে বলেছি, যে তোমাদের চিন্তার কোনো কারণ নাই। আগামী দিনে যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারে আসে, এইটা হচ্ছে আমাদের বিনিয়োগের নীতিমালা।

তিনি বলেন, অনেকগুলো প্রমিসের মধ্যে আমরা একটা প্রমিস করেছি, ১৮ মাসে এক কোটি চাকরির ব্যবস্থা আমরা করব। এটা পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট না। আমরা সব হিসাব করে বলেছি। আমরা যে প্রোগ্রাম নিয়েছি তরুণসহ সকলকে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারব। এজন্য একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

খসরু বলেন, নতুন বন্দোবস্তের কথা শুনি সবসময়। নতুন বন্দোবস্তের জন্যই তো ৩১ দফা ও ভিশন টোয়েন্টি থার্টি দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি কারও মাথায় না ঢুকে, কেউ যদি ঢুকাতে না চায়, কেউ যদি জেগে ঘুমাতে চায়, তাহলে তো কিছু করার নাই। আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে নতুন বন্দোবস্ত বাংলাদেশে করব।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যসেবা ডোর টু ডোর পৌঁছাতে পারবে কি? সেমিনারে অংশগ্রহণকারী একজনের এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সকলের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ফ্রি থাকবে। এরপর ক্রিটিক্যাল যে হেলথ কেয়ার আছে সেগুলো দারিদ্র সীমার নিচে যারা থাকবে তাদের জন্য একটা প্রভিশন আমরা রাখতে চাচ্ছি।

আমীর খসরু বলেন, আজকের এ সেমিনারে এসে আপনারা কি শিখলেন? এখান থেকে কি শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন? আজকের এই সেমিনার থেকে আপনারা তিনটি শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন। আর এ তিনটি শিক্ষা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অনেক বড় পরিবর্তনের প্রমাণ করেছে। তিনটি শিক্ষার মধ্যে প্রথমটা হচ্ছে, সম্বোধনের পালা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখানে কেউ সম্বোধন করে নাই। সম্বোধন করার দিন শেষ হয়ে গেছে এখন। হাতে এখন সম্বোধন করার সময় নেই।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় শিক্ষা হচ্ছে, দেশের একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে এখানে যারা বসে আছেন, তাদের উপস্থিতি সাধারণত থাকে না। কিন্তু বিএনপি একটা নজির স্থাপন করেছে। যারা বিএনপি করে না কিন্তু বিএনপির ফোরামে এসে তারা তাদের কথাগুলো বলতে পারে। এটা অনেক বড় পরিবর্তন পলিটিক্যাল কালচার হিসেবে। মানে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অনেক বড় পরিবর্তন।

তিনি বলেন, তৃতীয় শিক্ষাটি হলো সামনে নেতারা বসে আছেন। কিন্তু কেউ বক্তৃতা দেননি। এটা বিএনপির রাজনীতিতে, বিএনপির সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে পরিবর্তন এসেছে, এটা আজকের এ অনুষ্ঠান প্রমাণ করেছে।

আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে দেশের জনগণের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন যেটা এসেছে, সেটা যারা অনুধাবন করতে পারবে না, ধারণ করতে পারবে না তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। সে দলেরও নেই, রাজনীতিবিদেরও নেই। আমি মনে করি, সেটা আমরা (বিএনপি) ধারণ করতে পেরেছি।

খসরু বলেন, আজকের সেমিনারের বিষয়ে দুটি কথা বলবো। চাকরি পেতে হলে, প্রথমত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হচ্ছে বিনিয়োগ। আমাকে যদি কেউ বলে এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য, অর্থনীতিরাজনীতি সবকিছু মিলিয়ে এক নম্বর কি? আমি বলব বিনিয়োগ। দুই এবং তিন নম্বরেও বলব বিনিয়োগ। বিনিয়োগ না হলে, সেটা আত্মকর্মসংস্থান হোক সেটা চাকরির জন্য হোক, কোনো দিনও সফল হতে পারবো না।

তিনি বলেন, এ জন্য বিএনপির রাজনীতি কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেখান থেকে শুরু করেছিলেন সকলের জন্য মুক্ত বাজার অর্থনীতি, গণতান্ত্রয়ণ। কারণ এসব না হলে বিনিয়োগ আসবে না। আর দেশের এবং দেশের বাইরে বিনিয়োগ আনতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কখন হয়? আমাদের সংবিধান যেটা বলে, জনগণের সরাসরি ভোটে একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে। যেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি, দায়বদ্ধ থাকে। জনগণের কাছে বারবার যেতে হয় নির্বাচিত হওয়ার জন্য। তখনই স্থিতিশীলতা থাকে। আজকে বাংলাদেশের সে অবস্থা আছে?

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনের উপস্থাপনায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, বিএনপি’র ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্টেট ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আকতার হোসেন খান, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ইউনিভার্সিটি অব ডালাস টেঙাসের শিক্ষক শাফকাত রাব্বি, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির ফাউন্ডার সাঈদ আল নোমান, কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাইয়েদ আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউছুপ, যুক্তরাষ্ট্রের ওরাকলের সি. ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার মুনতাসীর মুনির, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাহরিন আই খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ, যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, পাঠাও এর সিইও ফাহিম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাহরিন খান বলেন, আমরা সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, যে দেশে নারী এবং শিশু অধিদপ্তর আলাদা হয়ে যাবে। কারণ নারী এবং শিশু এক নয়। নারী শিশুর মত অবলা নয়।

তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই। কারণ গত ১৫ বছর আমরা উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা কী পেয়েছি, কয়েকটি বড় বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার, অন্তঃসার শূন্য উন্নয়ন। স্বপ্ন আসলে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সেটা জাতির পিতার এবং এরওর স্বপ্ন হয়ে গিয়েছিল, আসলে সেখানে আমার স্বপ্ন ছিল না।

নাহরিন খান বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ শুনলেও বুক ধড়পড় করে। হ্যাঁ, ডিজিটাল বাংলাদেশ এটি সময়ের প্রয়োজন, এটা আসবে। কিন্তু তার সাথে সাথে মানবিকতা, ভালোবাসা এবং আপনার ডেডিকেশন গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, জিয়া পরিবারের তিনটি প্রজন্ম থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে দেশপ্রেম, বেগম খালেদা জিয়া থেকে আপোষহীনতা এবং তারেক রহমানের কাছ থেকে স্বজন হারানোর বেদনাকে ক্যাপিটালাইজড না করে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।

অধ্যাপক আকতার হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশে যা কিছুই ঘটেছে তরুণদের মাধ্যমে ঘটেছে। প্রথম স্বাধীনতা বলি বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা, সবকিছু তরুণরাই সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মেধাবী তরুণদের হিজবুল বাহারে, সমুদ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই তরুণদের ৯০ ভাগই এখন বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত। জিয়াউর রহমানের সেই সফরে তরুণদের নৌবাহিনীর একটি মহড়া দেখানো হয়। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের সামরিক শক্তির জ্ঞান দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে জানতে পারলাম, সেই মহড়া এমন এক সীমানায় হয়েছে, যে সীমানা ভারত তাদের দাবি করছিল। এটি ছিল দক্ষিণ তালপট্টিতে। জিয়াউর রহমান সেই মহড়া দেখিয়ে তিনি প্রমাণ করেন এটি বাংলাদেশের জায়গা।

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, আমরা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করেছি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সরকার গঠনের সম্ভাবনা বিএনপির। এই দলের নেতা তারেক রহমানের ভিশন আমরা দেখেছি। সামপ্রতিক সময়ে তার বক্তব্যও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা আশা করি, সামনের দিনে একটি ভালো পরিবেশ তৈরি হবে এবং দক্ষ তরুণ সমাজ গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের উপর চাপ বজায় রাখতে হবে, এটা খুব জরুরি। ক্ষমতা খুব ভয়ংকর জায়গা। বিএনপি ওই জায়গা গিয়ে শেখ হাসিনার টেন পার্সেন্টও যেন না হয়ে উঠে সেই চাপ তৈরি করতে হবে, এই কাজ করতে হবে তরুণদের।

জামাল উদ্দিন বলেন, ভয়কে জয় করার সাহসিকতা থাকতে হবে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ তরুণ। আমাদের বেকার যুবসমাজের সঠিক ডেটা থাকা প্রয়োজন। ডেটা থাকলে প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে এবং কোন এলাকায় কত বেকার রয়েছে তা বোঝা যাবে। তখন নীতিনির্ধারকদের জন্য উপযুক্ত নীতি তৈরি করা সহজ হবে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ বলেন, তারুণ্য চায় কর্মসংস্থান, তারুণ্য বেকার থাকতে চায় না। ২০১১ সাল থেকে আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করি। তখন নানা চাপ ছিল, বাকস্বাধীনতা ছিল না। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেই কাজ করতে হয়েছে। আমরা আর সেই অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। এখন খুব সহজেই একজন মানুষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে পারেন। এটি বেকারত্ব দূর করার একটি সহজ উপায়। কেউ মূল পেশার পাশাপাশি সহযোগী পেশা হিসেবে কনটেন্ট নির্মাণ বেছে নিতে পারেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, নেটফ্লিঙ, টিকটকের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস বাংলাদেশে নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের অফিস বাংলাদেশে থাকলে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য কাজ করা অনেক সহজ হতো। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এইসব প্রতিষ্ঠানের অফিস বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ঘটার অনেকগুলো কারণ ছিল, যার মধ্যে প্রধান ছিল বেকারত্ব। তরুণদের এই বেকারত্বই ছিল মূল চালিকা শক্তি। শেখ হাসিনা ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী রূপ নেন। কিন্তু তরুণরা কেন অনেক বছর পর এসে সেটা উপলব্ধি করল? কারণ দেশের চাকরির বাজার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে, কাজের সুযোগ কমছে। তার ওপর আবার সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা নতুন করে চালু করা হচ্ছে। এতে তরুণরা বুঝেছে আর শেখ হাসিনাকে মেনে নেওয়া যায় না। এখন নানা সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সবচেয়ে বড় সংস্কার প্রয়োজন অর্থনীতিতে, যাতে তরুণরা আর বেকার না থাকে।

নগরীর কাজীর দেউড়ির একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সারাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

আজকের অনুষ্ঠান :

আজ বিকেল ৩টায় নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হবে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক সেমিনারে তারুণ্যের মেলা
পরবর্তী নিবন্ধতিন গন্তব্যে ফ্লাইটের সময় এগিয়ে আনল বিমান