বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, দেশের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামে নীতি আদর্শহীন, অনৈতিক ও মেধাহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, প্রশ্ন ফাঁস ও পরীক্ষায় নকলের সুযোগ করে দিয়েছে। একটি দেশের শিক্ষাক্রম অনুকরণ করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। গোটা জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে সরকার। এই কারিকুলাম একমুখী শিক্ষা হওয়ার ফলে বহুমুখী শিক্ষা হারিয়ে যাচ্ছে। যে সরকারের আমলে খাতায় না লিখেও পাস করিয়ে দেয়া হয়, সেই সরকারের নীতিতে শিক্ষার গুণগত মান কখনোই উন্নত হবে না। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রশ্ন ফাঁস ও নকল বন্ধ করে শিক্ষা ব্যবস্থায় দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছিলেন।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিএনপির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, মশিউর রহমান বিপ্লব।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান ভোটার বিহীন সরকারের ঘোষিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মাত্র ১১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ শহীদ জিয়া শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সফর করতেন। তিনি বিএনপির ঘোষণা পত্রের ২১ নম্বর ধারায় গণমুখী ও জীবন নির্ভর শিক্ষা কর্যক্রম সংযুক্ত করেছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি দেশে গণশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। শিক্ষাবঞ্চিত বয়স্ক বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়াই ছিল তার মূল লক্ষ্য। পরবর্তীকালে দেশবাসী এই গণশিক্ষার সুফল পায় এবং এখনো পাচ্ছে। শহীদ জিয়াউর রহমানই মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করেছিলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, এনামুল হক এনাম, এম এ হালিম, আলাল উদ্দিন আলাল, এড. আবদুর রহমান, এড. মামুনুর রশীদ মামুন, জাবেদ রেজা, মোশারফ হোসেন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, সালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, নিজাম উদ্দীন ভূঁইয়া, মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।