দেশের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে থাকতে ভালোবাসে, এটা ভাঙবে না : হাইকোর্ট

| শুক্রবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সকল ধর্মের মানুষ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে থাকতে ভালোবাসে। এটা কখনোই ভাঙবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনাটি রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে বলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চকে গতকাল জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।

আইনজীবী হত্যার ঘটনার সরকারের পদক্ষেপের অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন আদালতকে বলেন, এই ঘটনাটিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে ৩টি মামলা হয়েছে। একটিতে ১৩ জন, একটিতে ১৪ জন ও অপর একটিতে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৬ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।

এসময় হাইকোর্ট বলেন, রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এটা শুনে আমরা আশ্বস্ত হলাম। এটাই ওনাদের দায়িত্ব। আশা রাখি সবাই এটা শুনে আশ্বস্ত হবেন। দেশের জানমালের কোনো ক্ষতি না হোক আমরা সেটাই চাই। যেহেতু সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলা হলো তাই এই মুহূর্তে আদালত আর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন দেখছে না। আমরা মনে করি আমাদের দেশের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে থাকতে ভালোবাসে। সে ভালোবাসা কখনোই ভাঙবে না। আর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। খবর বাসসের।

গত বুধবার হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থিত হয়ে ইসকন নিষিদ্ধ চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনির উদ্দিন। সেই সাথে এই আইনজীবী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আবেদন করেন এবং অন্তত দুই সপ্তাহ জরুরি অবস্থা জারির আবেদন জানান। এক পর্যায়ে আদালত এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্য শুনেন। এটর্নি জেনারেল হাইকোর্টকে বলেন, ইসকনের ইস্যুটি দুর্ভাগ্যজনক। এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ফৌজদারি অপরাধ। সরকার গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি দেখছে এবং যথাযথ আইনী পদক্ষেপ সরকার নেবে। তবে এই সংগঠন রেজিস্ট্রার্ড কি না? এই সংগঠন নিষিদ্ধ হবে কি না? এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এই সংগঠনের অস্তিত্ব কি? এর সবকিছু সরকারের পলিসি ডিসিশানের বিষয়। সরকার এটার খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনিভাবে বিষয়টি দেখবে। এই পর্যায়ে কোনো রুল ও নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সবকিছু পর্যালোচনা করে তার পর যদি মনে হয় তখন দেখা যেতে পারে। হাইকোর্ট বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাতে সেদিন নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টকে আইনজীবী হত্যার ঘটনাটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার বিষয়টি অবগত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহজ নিবন্ধনের সময় বেড়েছে
পরবর্তী নিবন্ধআইনজীবী সাইফুলের পরিবারকে কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা