দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে না পারায় হতাশ নারী ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক  | শুক্রবার , ২৩ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নারী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে সেটি এখন সরে গেছে আরব আমিরাতে। অথচ দেশের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন ক্রিকেটাররা। কত জনের মনে ছিল কত স্বপ্নের আঁকিবুঁকি। এখন সব শেষ। বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এতে খুবই হতাশ। ভাঙা মন নিয়েই তারা এখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছেন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার শুরু হতে যাচ্ছে নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগ। এমনিতে ঘরোয়া এই আয়োজন নিয়মিতই হওয়ার কথা। কিন্তু গত বছর এই আসর হয়নি। এবার বিশ্বকাপের আগে টিটোয়েন্টি সংস্করণে টুর্নামেন্টটি আয়োজনে মরিয়া ছিলেন হাবিবুল ও সংশ্লিষ্টরা। দেশের সামপ্রতিক অবস্থায় কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম ও বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমি মাঠে হবে খেলা। আটটি বিভাগীয় দল পরস্পরের মুখোমুখি হবে একবার করে। চারটি করে ম্যাচ হবে প্রতিদিনই।

বিসিবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাবিবুল জানান, মূলত বিশ্বকাপে চোখ রেখেই এবারের জাতীয় লিগ রাজশাহীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজশাহীতে দেওয়ার কারণ, আমরা চাইছি টুমন্টটি যেন ভালো উইকেটে হয়। রাজশাহী, সিলেট, এসব জায়গায় সাধারণত ভালো উইকেট থাকে। স্পোর্টিং উইকেট থাকে। আমরা চাচ্ছি মেয়েরা যেন এরকম উইকেটে খেলতে পারে। রাজশাহী স্টেডিয়াম ও বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে খেলা হবে। উইকেটও আমরা সেভাবেই তৈরি করতে বলেছি। আরেকটা ব্যাপার হলো, এখন যেহেতু বৃষ্টির সময়, রাজশাহীতে একটু কম বৃষ্টি হয়। এই টুর্নামেন্ট আমাদের সময়মতো শেষ করতে হবে। যেহেতু এটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতিরও একটা অংশ। সব মিলিয়ে রাজশাহীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রসঙ্গে এসে যায় ভেন্যু বদলে যাওয়ার ব্যাপারটিও। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের আয়োজক স্বত্ব এখনও বাংলাদেশের। তবে টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে দুবাইয়ে।

ভেন্যু বদল হওয়ায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি তেমন কোনো বাধাগ্রস্থ হয়নি বলেই দাবি হাবিবুলের। তবে ক্রিকেটারদের হৃদয়ে লেগেছে বড় আঘাত। বিশ্বকাপে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। দলীয় অনুশীলন না থাকলেও আমাদের মেয়েরা ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছিল। স্থানীয় যে কোচরা ছিলেন, তাদেরকে কাজে লাগানো হচ্ছিল। বিশ্বকাপের আগে আমাদের একটি সফরও নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের ‘এ’ দল যাবে শ্রীলঙ্কায়। এটিও বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ। বিশ্বকাপ এখানে না হওয়ায় যেটা হলো যে, সবারই তো একটা ইচ্ছা থাকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে। আমাদের মেয়েদের অনেকেরই স্বপ্ন ছিল দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার। ওদের তাই একটু মন খারাপ। হতাশ ওরা। দেশের কন্ডিশনও অবশ্যই মিস করব আমরা। বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরে গেলেও টুর্নামেন্ট ঘিরে লক্ষ্য আগের মতোই আছে বলে জানালেন নারী বিভাগের প্রধান। ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় আমাদের প্রত্যাশা ও পরিকল্পনায় কোনো বদল হয়নি। যেটা হলো তা হচ্ছে ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। বাকি সব আগের মতোই আছে। আগের পরিকলপনা যেমন ছিল, তেমনই আছে। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা। আমরা বলব না যে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই বা রানার্স আপ হতে চাই। আমরা ভালো কিছু করতে চাই। আগামী ৩ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্কটল্যান্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেপালের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্স আপ বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধবোলিং ব্যর্থতার দিনে ব্যাটিংয়ে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশের