দেশের ব্যবসায়ীরা মুনাফা শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে

বন্দর থানা বিএনপির ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে শাহাদাত

| রবিবার , ১৭ মার্চ, ২০২৪ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ীরা রোজাদারদের সম্মানে রোজা সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে পণ্যের দাম কমানো তো দূরের কথা, উল্টো দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর চরম নির্লিপ্ততার সুযোগে তারা মুনাফা শিকারে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রোজার বাজার বেশি বেসামাল। গত বছরের রোজার আগের বাজারে যে পণ্যমূল্য ছিল, এবার তার দ্বিগুণের বেশি। এবারের রোজায় সাধারণ মানুষকে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে। কম পণ্য কিনে অল্প খেয়ে রোজা রাখছে মানুষ। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না বলেই এই অবস্থা চলতে পারছে। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।

তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা পাইল হাউজে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বন্দর থানা বিএনপির সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। বন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. হাররুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, ইস্রাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, মহানগর বিএনপি নেতা মো. সেলিম, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, মো. নাছির উদ্দীন, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, খুরশিদ আলম, আসলাম মিয়া, মো. জাহেদ, দিলদার হোসেন আরজু, নূর জাফর নাঈম রাহুল, শফিউল আজম, মো. ইয়াসিন, ইলিয়াছ খান, মো. ফোরকান, আরমান শুভ, মো. আল জাবের, দেলোয়ার হোসেন অভি, দেলোয়ার হোসেন পারভেজ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী নীলোৎপল সাধ্যের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পরবর্তী নিবন্ধ১০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার বাবা-মেয়ে