দেশের প্রথম লিনিয়ার এক্সিলারেটর রেডিওথেরাপি মেশিন এলো মা ও শিশু হাসপাতালে

ক্যান্সার ইনস্টিটিউট

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক লিনিয়ার এক্সিলারেটর রেডিওথেরাপি মেশিন। ক্যান্সার চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ এই মেশিন দেশের আর কোথাও নেই। মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারে স্থাপিত মেশিনটির সফটওয়্যার ভার্সন ১৮, যা রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টতা ও কার্যকারিতায় অনন্য। এছাড়া, ডি সিটি সিমুলেটরের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়া হচ্ছে, যা নিশ্চিত করে রোগ নির্ণয়ের সঠিকতা ও চিকিৎসার কার্যকারিতা। একই সাথে এ ইনস্টিটিউটের দেশের প্রথম অনকোক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের আইসিইউ সেবাও চালু করা হয়েছে। এটি ক্যান্সার রোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

জনগণের টাকায় জনগণের হাসপাতাল স্লোগানে গড়ে ওঠা মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর চালু করা হয়। ক্যান্সার চিকিৎসার একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে ইতোমধ্যে এই সেন্টার মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। সর্বাধুনিক মেশিন স্থাপন এবং নতুন সেবা চালুর মাধ্যমে এটি চট্টগ্রামেই বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. শেফাতুজ্জাহান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ক্যান্সার রোগীদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা প্রদান করা। ইতোমধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি রোগী আমাদের ইনস্টিটিউট থেকে রেডিওথেরাপি গ্রহণ করেছেন, এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’

তিনি বলেন, এ ইনস্টিটিউটে রয়েছে বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রেডিয়েশন অনকোলজি, মেডিকেল অনকোলজি, সার্জিক্যাল অনকোলজি, গাইনি অনকোলজি, অনকো ক্রিটিক্যাল কেয়ার, পেলিয়েটিভ কেয়ার, হেমাটোলজি কেয়ার, শিশু অনকোলজি ও হেমাটোলজি।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘আমরা এখানে যে আন্তর্জাতিকমানের সেবা প্রদান করছি, তা চট্টগ্রামের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তিতে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য আমাদের যাকাত ফান্ড ও দরিদ্র কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, যেন কোনো রোগী অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন।’

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট শুধু চিকিৎসা নয়, বরং মানবিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সেবা যেন রোগীদের জন্য নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি, যা সবার জন্য হাতের নাগালে আনার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা