দেশের প্রথম পরিবেশবান্ধব মাল্টিমডাল গ্রীন কন্টেনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

সাইফ পাওয়ার গ্রুপ

| মঙ্গলবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের স্টেডিয়ামের সম্মুখে কার অকশন শেডের পিছনে হালিশহরস্থ বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব পরিত্যক্ত জায়গায় মাল্টিমডাল কন্টেইনার টার্মিনালের কাজের পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমপি।
গত শনিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব), চট্টগ্রাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কন্টেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল হোসেন, সাইফ পাওয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল সাইফ এবং সাইফ পাওয়ার গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মাল্টিমডাল কন্টেইনার টার্মিনালের প্রস্তাবিত জায়গা দেখেন এবং মাটি কেটে কাজের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে সাইফ পাওয়ার গ্রুপের পক্ষ হতে সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স লিমিটেডের কনসালটেন্ট ইঞ্জিঃ রফিকুল ইসলাম মাল্টিমডাল কন্টেইনার টার্মিনালের স্থাপনার ব্যাপারে মন্ত্রী ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন।
তরফদার রুহুল সাইফ বলেন, এই টার্মিনাল হবে দেশের একমাত্র প্রথম পরিবেশবান্ধব মাল্টিমডাল গ্রীন কন্টেইনার টার্মিনাল। এই টার্মিনালের সাথে সড়কপথ, রেলপথ এবং সমূদ্রপথের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এই মাল্টিমডাল টার্মিনাল হবে সম্পূর্ণ গ্রীন টার্মিনাল। আধুনিক যন্ত্রপাতি, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি স্ক্যানার এবং আইএসপিএস এর সকল নিয়মকানুন মেনে এই টার্মিনাল পরিচালিত হবে। যা দেশের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া এই পরিবেশবান্ধব মাল্টিমডাল গ্রীন কন্টেইনার টার্মিনালে বছরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হবে এবং ১লক্ষ ২৫ হাজার টিইইউএস কনসুলেশান সেন্টার হবে। যা দেশের আমদানি রপ্তানি খাতে খরচ কমবে। তাছাড়া, দেশের রপ্তানি খাতে এই টার্মিনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ প্রদান করেন। তারই আঙ্গিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয়ের উৎস বাড়ানোর প্রয়াসে রেলওয়ের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান কন্টেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) গঠন করেন। সেই প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গা সমূহে আয়ের উৎস বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই আদলে এই পরিত্যক্ত জায়গায় পাবলিক পার্টনারশীপ হিসেবে সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স লিমিটেডের সাথে একটি মাল্টিমডাল কন্টেইনার টার্মিনাল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এখন বছরে ৩২ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে। আর সেই ৩২ লাখ টিইইউএস এর মাত্র ৫শতাংশ কন্টেইনার বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যেমে ব্যবহার হয়। এই ৫শতাংশ হতে ১০-১৫ শতাংশ কন্টেইনার বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যেমে ব্যবহার বাড়াতে হবে। এতে যেমন সড়কপথের উপর চাপ কমবে, তেমনি বাংলাদেশে রেলওয়ের অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হবে। এর জন্য মন্ত্রী সকল সংস্থা ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্থনৈতিক জোনের সাথে কানেকটিভিটি হবে
পরবর্তী নিবন্ধমেহজাবীনের অভিনয়ের এক যুগ পূর্তি