অবশেষে সন্দ্বীপকে উপকূলীয় নদীবন্দর ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে দেশে নদীবন্দরের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪টিতে। গতকাল বুধবার (১২ ডিসেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব ছন্দা পাল পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সন্দ্বীপকে নদীবন্দর এবং বিআইডব্লিউটিএকে সংরক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। এর আগে সন্দ্বীপকে উপকূলীয় বন্দর ঘোষণার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানসহ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা কয়েক দফা কুমিরা ও সন্দ্বীপ উপকূল পরিদর্শন করেন। সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে নদীবন্দরের চারদিকের সীমানার অক্ষাংশ–দ্রাঘিমাংশ উল্লেখ করা হয়। ভূ–ভাগের সীমানার বর্ণনা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সন্দ্বীপ দ্বীপের চারপাশের তীরের সাধারণ ভরাকটালের সময় সর্বোচ্চ পানি সমতল থেকে ভূ–ভাগের দিকে ৫০ মিটার পর্যন্ত এর সীমানা বিস্তৃত। সন্দ্বীপ উপকূলীয় এলাকার ওই সীমানার মধ্যে খালগুলো নদীবন্দরের সীমানার আওতাভুক্ত হবে।
অন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সন্দ্বীপ উপকূলীয় নদীবন্দরের সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপকে একটি নৌবন্দর ঘোষণার জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে তাদের সেই দাবি পূরণ হলো। নদী বন্দর ঘোষণার ফলে সন্দ্বীপের যোগাযোগ, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের মোট ৫৪টি নদীবন্দরের মধ্যে ৪টি বড় নদীবন্দর হচ্ছে ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশাল। এছাড়া দেশের কন্টেনার টার্মিনাল নদীবন্দর হচ্ছে ঢাকার পানগাঁও। তবে দেশের প্রথম উপকূলীয় নদী বন্দর হল সন্দ্বীপ।