দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে ডায়াবেটিস বাড়ে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

| শুক্রবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে ডায়াবেটিস বাড়ে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। চিকিৎসা সেবা ভালো না হলে হাসপাতালে এত রোগী আসতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল ২০১৩ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এর আগে এ বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনা করেন। খবর বাংলানিউজের।

স্বাস্থ্যন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে অ্যাক্রেডিটেশনটা লাগবে, শিক্ষার মান, প্রতিষ্ঠানের মান বৃদ্ধি করতে হবে। যারা চিকিৎসা দেবে তাদের মানও ভালো হতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আ্যাক্রেডিটেশন হলে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার মান ভালো হবে। এই অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়টি অনেক দেশই করে ফেলেছে। আইনটি এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আইনটি না থাকলে আমাদের দেশের ডাক্তাররা বিদেশে শিক্ষা নিতে পারবে না। যদি প্রশিক্ষণ নিতে চায়, তাও করতে পারবে না এবং বিদেশে যদি চাকরি করতে চায়, যে প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছে, সেই প্রতিষ্ঠান যদি অ্যাক্রেডিটেড না হয় তাহলে চাকরি পাবে না। আমাদের দেশে যে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেগুলো যদি অ্যাক্রেডিটেড না হয় তাহলে আমাদের দেশে যে বিদেশি ছাত্ররা আসে, তারাও আসবে না। এখানে প্রায় ১৬ হাজার ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে আসে, যার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা পাচ্ছি। অ্যাক্রেডিটে না হলে এরা আর বাংলাদেশে পড়তে আসবে না। কাজেই বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই মুহূর্তে।

জাহিদ মালেক বলেন, এখানে বলা হয়েছে, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়নি, এটা ঠিক নয়। ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে তিন হাজার টেশনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। আরও নিয়োগ হবে ৯ হাজার, তার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা মনে করি, সেটাও অল্প দিনে আমরা করতে পারব। ডায়াবেটিস, হ্যাঁ এই রোগ বাড়ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা দেশে ভালো হলে ডায়াবেটিস বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী দেশে অর্থনীতি বৃদ্ধি করেছেন, গড় আয় এখন ২৮শ ডলার। মানুষের আছু বেড়েছে ৭৩ বছর, কাজেই ডায়াবেটিস তো কিছু হবেই। এই ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করছি। সচেতনতামূলক প্রচারপ্রচারণাও করা হচ্ছে। কমিউিনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা ডায়াবেটিস চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা বলেছেন যে, বেসিক সাবজেক্টের ডাক্তার কম আছে, হ্যাঁ কম আছে। আমরা তারও ব্যবস্থা করছি। বেসিক সাবজেক্টের চার ধরনের ডাক্তার আছে; তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিষয়ের সীমার বাইরে তাদের চাকরির ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। আমাদের দেশে চিকিৎসা ভালো হয় না, একথা বলা হয়েছে। করোনায় আমরা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম। আমরা ভ্যাকসিনে এশিয়ার মধ্যে প্রথম হলাম। করোনার সময় দুই বছর বন্ধ ছিল, সব চিকিৎসা এখানে হয়েছে। ৭৮ ভাগ গড় আয়ু হয়েছে, ৯৮ ভাগ ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয়। ৭০ হাজার বেড হয়েছে এখন, তার পরেও আমরা জায়গা দিতে পারছি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধব্যবসায়ী আবুল হাছান হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন