করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী দেশ থেকে প্রযুক্তি এনে বাংলাদেশে তৈরি করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। গতকাল শুক্রবার ঝিনাইদহে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্বের যেসমস্ত দেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তাদের কাছ থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফার করে বাংলাদেশে এনে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। এই বিষয়ে ওইসব দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা চলছে বলেও জানান মাহবুবুর রহমান। দুপুরে এই জেলায় ‘এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’ কারখানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা আছে। টেকনোলজি ট্রান্সফার করা হলেই দেশে উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। সরকারিভাবে আমদানি করা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ঔষধ প্রশাসন মহাপরিচালক আরও বলেন, দেশের ওষুধের গুণগত মান ধরে রাখতে হবে। এজন্য ওষুধ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। সাবস্ট্যান্ডার্ড ওষুধ যেন কেউ উৎপাদন করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। আমাদের দেশে তৈরি ওষুধ বিশ্বের ৯৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই সময় তার সঙ্গে ওষুধ প্রশাসনের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ড. গিয়াস উদ্দিন, উপ-সচিব সারোয়ার হোসেন, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মকলেছুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।