অবশেষে হার মানতে হলো। দরদী কন্ঠের দরদ মাখা দাওয়াত উপেক্ষা করা গেল না। দু’দিন আগে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিল মেজবান আয়োজনের শুভ দিনক্ষণ। যতই অসুস্থতার অজুহাত দেখাই কোন কথাই শুনতে নারাজ। আসতেই হবে। অগত্যা, ৫ মার্চ বাদে জুমা শহর থেকে ছুটে গেলাম রাউজানের খলিলাবাদ গ্রামে। পারিবারিক মেজবানে দাওয়াতদাতা জাকের হোসেন চৌধুরী একজন সাবেক সফল ব্যাংকার। পাক আমলে ছাত্রলীগের ডাক সাইটে নেতা ছিলেন তিনি। ছিলেন রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। ৬৯’ এর অসহযোগ, ‘৭০ এর নির্বাচন ও ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাকের ভাই আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কেন জানিনা, সেই ছোটকাল থেকেই তাঁর স্নেহ ও ভালবাসায় সিক্ত হচ্ছি। এতো বছর পরেও তা’ বিন্দু মাত্র কমেনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অনেক নেতাই ভোল পাল্টিয়েছে। নীতি ও আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। রাজনীতিতে ‘সুবিধাবাদ’কে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। জাকের ভাইও ইচ্ছে করলে অন্যান্যদের মত নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সুবিধাবাদী রাজনীতিকে পুঁজি করে বিত্ত বৈভবের মালিক হতে পারতেন। কিন্তু, তিনি আজ বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে এসেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে এক চুলও নড়েননি। স্বৈরাচারী আইয়ুব শাহীর বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপানো এক সময়ের লড়াকু ছাত্রনেতা, বঙ্গবন্ধুর স্নেহাশীর্বাদ ধন্য জাকের হোসেন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। দেশ আমাকে কি দিল সেটা বড় কথা নয়, আমি দেশকে কি দিলাম সেটাই বড় কথা।