একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গতকাল সোমবার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে… রাজেউন)। কাশিমপুর কারাগারে থাকা সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার তাকে গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
পরে রাতে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান। তিনি বলেন, উনি হার্টের পেশেন্ট ছিলেন, সাথে ডায়াবেটিস ছিল। আমাদের এখানে রাত সাড়ে ৮টা–৯টার দিকে এসেছিলেন হার্ট অ্যাটাক নিয়ে। আজকে (গতকাল) আবার আরেকটি অ্যাটাক হয়। আমাদের টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আমরা রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে ডেড ডিক্লেয়ার করেছি। খবর বিডিনিউজের।
সাঈদীর মৃত্যুর পর বিএসএমএমইউ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী। জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল।