দেখা হতেই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোলাকুলি

পটিয়ায় ভোটের মাঠ

পটিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৭ মে, ২০২৪ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন ২৯ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ (আনারস) ও দিদারুল আলম দিদার (দোয়াতকলম) প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পটিয়ায় ভোটের মাঠে এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কর্মীসমর্থকদের মধ্যে সাপেনৈউলে অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় গত বুধবার বিকেলে উপজেলার শোভনদন্ডী এলাকায় একটি জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী। একজনের সাথে অপরজনের দেখা হতে দুইজনই হাসিমুখে কোলাকুলিতে মিলিত হন। বিষয়টি উপস্থিত সবার নজরে আসে। অনেকে তাৎক্ষণিক এ হাসিমাখা ছবিটি মুঠোফোনে ধারণ করে নেন। পরে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে মানুষের বেশ প্রশংসা কুড়ান এ দুইজন প্রার্থী।

আহমদ উল্লাহ নামের একজন এ ছবিটি নিজের ফেসবুক পেইজে আপলোড দিয়ে লিখেন ‘প্রার্থীদের বিনয়, জড়িয়ে ধরা, আবার ভোটারদের মুচকি হাসি। ভোটের পরেও যেন এমন থাকে।’ এ পোস্টে জিতু তৌহিদ নামের এক ব্যক্তি কমেন্টে লেখেন ‘এটাই রাজনৈতিক শিষ্টাচারিতা, তবে অতি উৎসাহী শিষ্যরা তা যদি রক্ষা করতে পারে আর কি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চাচা খালেক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার বলেন, হারুন সাহেব আমার এলাকার হিলচিয়ায় একটি জানাযার নামাজে এসেছেন। যেহেতু আমার এলাকায় এসেছেন তিনি আমার মেহমান। নির্বাচন এক জিনিস শিষ্টাচার আরেক জিনিস। এটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। তাই ওনাকে বুকে টেনে নিলাম।

এ বিষয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী, পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, ভোটের মাঠে আমরা দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, রাজনীতিতে সুসম্পর্ক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকা ভালো। আমি ওনার এলাকায় একটি জানাজার নামাজে গিয়েছিলাম। ওনাকে দেখেই আমি প্রথমে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরলাম। আমাদের দুইজনের যোগ্যতা দেখে ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে ভোট দেবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির তিন নেতা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় চলছে বোরো ধান কাটা