দেখভালকারী যখন হাতির দাঁতের অবৈধ ব্যবসায়ী

১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ আটক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ মে, ২০২৩ at ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে বন্যহাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ মো. আব্দুল মালেক (৬৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব। গত শুক্রবার রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার দীতেশ্বর এলাকার মৃত হাজী আব্দুল আলীর ছেলে। র‌্যাব৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, আটক ব্যক্তি পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চামড়া, হাতির দাঁত সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করে আসছিলেন। আমরা তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর থেকে চারটি হাতির দাঁত, ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের ২০টি বন্যহাতির দাঁতের খণ্ডাংশ (১৪ কেজি) এবং একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করি। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, আব্দুল মালেক ১৯৭৬ সালে তার বাবার সাথে হাতি দেখভাল করার জন্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি এলাকায় আসেন। ১৯৯৮ সালে তার বাবা মারা গেলে হাতির ব্যবসা দেখাশোনা শুরু করেন তিনি। মালেক একজন লাইসেন্সধারী হাতির পালক। ২০১০ সালের পরে লাইসেন্স প্রভিশন হলে তিনি পুনরায় লাইসেন্স করেন। তার কাছে বৈধভাবে ছোটবড় মিলিয়ে ১২টি হাতি আছে। তবে স্থানীয়রা জানান, তার কাছে আরো ২৪২৫টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন হাতি আছে। এসব হাতি তিনি বিয়েবাড়িতে ভাড়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানার কাজে ব্যবহার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমেজ সংকট কাটিয়েছে মন্ত্রণালয়, ভূমি সেবা এখন হাতের মুঠোয়
পরবর্তী নিবন্ধমাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমাতে গর্ভাবস্থায় সেবাও জরুরি