দৃষ্টি তাদের ঢাকার দিকে

টেকনাফে ৫ ইউনিয়নে ভোট ১১ এপ্রিল তৎপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা

টেকনাফ প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ মার্চ, ২০২১ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তাদের দৃষ্টি ঢাকার দিকে। ঢাকায় নাম যাচ্ছে কিনা বা গেলে মনোনয়ন পাচ্ছেন পাবেন কিনা তা নিয়ে চলছে তদবির।
টেকনাফের ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে ভোট হবে আগামী ১১ এপ্রিল। বাহারছড়া ইউনিয়নের তফসিল এখনো করা হয়নি। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বৈঠক ডেকেছে। দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে কেন্দ্রীয় নিদের্শনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। ৪ মার্চ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা মাস্টার জাহেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেন্টমার্টিন, সাবরাং, টেকনাফ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়েন তিন ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের বায়োডাটা জমা দেন। সভায় প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে তিনজনের প্যানেল তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এদিকে সর্বশেষ তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভা গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা শীঘ্রই কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কঙবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃত্ব রয়েছেন, যারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
জানা যায়, গেল ইউপি নির্বাচনে হ্নীলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এইচ কে আনোয়ার ছাড়া সেন্টমার্টিনে বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি নুর আহমদ, সাবরাং ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন. টেকনাফ ইউনিয়নে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাজাহান মিয়া ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে জামায়াত ইসলামীর কঙবাজার জেলা আমির নুর আহমদ আনোয়ারী নির্বাচিত হন। উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ২ টিতে আওয়ামী লীগ, ১টি জামায়াত ও ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচ কে আনোয়ারের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বর্তমানে আওয়ামী লীগ মনোনীত রাশেদ আহমুদ আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ৫ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমার কাজ শুরু করেছে।
বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছে। গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিদের এবার মনোনয়ন না দিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব কারণে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশীদের দোড়ঝাঁপ বেড়ে গেছে।
সেন্টমার্টিনে গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবরাং ইউনিয়নে গতবারের নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সোনা আলী, জেলা যুবলীগ নেতা আবুল কালাম, মো. ইসমাইল সিআইপি, বর্তমান চেয়ারম্যান নূর হোসেন, টেকনাফ ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেন মেম্বার, সাবেক আহ্বায়ক হাম জালাল মেম্বার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গুরা মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি আবু ছৈয়দ মেম্বার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সরওয়ার আলম ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিয়া, হ্নীলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন সম্‌্রাট, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দীন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নে গতবারের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মইনুল হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন আর রশীদ সিকদার ও সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরী বর্তমানে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে টিকা নিলেন সোয়া তিন লাখ মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন দাবি