দৃষ্টি চট্টগ্রামের কিশোর সংলাপ, ‘আমাদের দেশ, আমার ভাবনা’

| মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর নতুন উদ্যেমে চলছে দেশে সংস্কার ও বিনির্মাণের কাজ। আর এই নতুন দেশ গড়তে আমাদের স্কুলকলেজের কিশোরকিশোরীদের প্রত্যাশার কথা শুনতে দৃষ্টি চট্টগ্রাম আয়োজন করেছে কিশোর সংলাপ-‘আমাদের দেশ আমার ভাবনা’।

গত ৩১ আগস্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়নে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে প্যানেল আলোচক ছিলেন কবি ও প্রাবন্ধিক আলম খোরশেদ, চবি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এস এম নসরুল কাদির, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মো. মিনহাজ হোসাইন। দৃষ্টির সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল। বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সহসভাপতি সাবের শাহ, যুগ্ম সমপাদক প্রকৌশলী রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক সমপাদক অধ্যাপকমুন্না মজুমদার। সঞ্চালক ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সমপাদক সাইফুদ্দিন মুন্না। প্যানেল আলোচক আলম খোরশেদ বলেন, আজকের কিশোরেরা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে ভাবনাগুলো বলল সেগুলো শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত। তারা আসলে দেশকে নিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে অনেক বেশি ভাবে এবং অনেক বেশি চিন্তা করে বলে আমি মনে করি। তা না হলে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এত বেশি সমালোচনা শিক্ষার্থী, অভিভাবক কিংবা শিক্ষকদের কাছ থেকে আসতো না। বাংলাদেশে আবার শিক্ষা কমিশন গঠন করা উচিত। এই শিক্ষা কমিশন সময় নিয়ে কোন শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন, নতুন শিক্ষার্থীদের ভালো মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন সেটি তারা ঠিক করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের মেগা প্রজেক্ট ও চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে বাংলাদেশে যে মেগা প্রজেক্ট গুলো হয় সেগুলোর চাইতে বর্তমানে একটি মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করা সবচেয়ে বেশি দরকার সেটি হচ্ছে ‘শিক্ষায় মেগা প্রজেক্ট’ যেটি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে কি ধরনের শিক্ষা কাকে দেওয়া যাবে সেটি তারা ঠিক করবে এবং এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার মান বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমতুল্য হবে বলে মনে করি।

প্যানেল আলোচক অধ্যাপক এস এম নসরুল কাদির বলেন, বর্তমান যেভাবে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবী নিয়োগ করা হয় সেই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা উচিৎ। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা দিবে অর্থাৎ বিসিএস এ যে সেক্টরে যাবে তার মূল্যায়ন বা যাচাই সেভাবে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, তরুণরা চাকরির পিছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাব দিহিতা নিশ্চিত করার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেন। প্যানেল আলোচক মিনহাজ হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা এককেন্দ্রিক। ফলে রাষ্ট্রকে প্রদেশে বিভক্ত করে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরিতে মনোযোগ দেয়া যেতে পারে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা অর্জনে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি ও রাউজানে দুই অজগর উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধঅপর্ণাচরণ স্কুলে ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ শীর্ষক সেমিনার