অনেকদিন যাবত ভাবছি– একটা বিষয় নিয়ে লিখব কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে লিখা হয়ে উঠছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই আমার মত এই সমস্যায় প্রতিনিয়তই জর্জরিত হচ্ছেন। কেউ বলে ফেলছেন, আবার কেউ দ্বিধান্বিত হয়ে ভাবছেন বিষয়টা কীভাবে তুলে ধরা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে এখনো কিছু মানুষ নামের প্রাণী আছে যাদের মানসিকতার কোনও পরিবর্তন বা উন্নতি নেই। তাদের সবসময় যেকোনও ধরনের বিষয়কে মন্দ চোখে দেখার মানসিকতা। যাদের সমস্যা থাকে মনে আর মননে, তারা ভালো মন্দ যা কিছুই দেখুক আর শুনুক না কেন, সবটাতেই তারা মাথা না ঘামিয়ে পারবেই না। তাও আবার বিপরীত মানসিকতাটা মানুষকে দেখিয়েই ছাড়বে। ধরুন কেউ একটা ছবি দিল, তখন সে ওই ছবির খুঁত খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে আর উচিত অনুচিত ভাবতে শুরু করে দিবে। আরে বাবা আমার ছবি আমি দিয়েছি, তাতে আপনাদের এত সমস্যা কেন। ভালো বলতে বা প্রশংসা করতে যদি এতই অসুবিধে হয় তাহলে জাস্ট এড়িয়ে যান। কিন্তু মন্দটা বলার জন্য উঠে পড়ে লাগতে হবে কেন? একটা পোস্ট শেয়ার করলাম তাতে মিলাতে শুরু করে দিলেন শেয়ার দাতার জীবনের সাথে। আর সবটাতেই টেনে আনছেন তার বয়স। কিন্তু বয়সের জন্য নিজেরা কি কোনও কিছুতে থেমে আছেন? তাহলে অন্যের বেলায় এত উপদেশ কেন? আরে বাবা, বয়স হলে কি মানুষ ভালোমন্দ ভাবতে পারবে না। বরং যারা যৌবন কাল অতিবাহিত করছেন, তাদের চেয়ে যাঁরা একটু বয়:প্রাপ্ত তাদের দেখার অভিজ্ঞতা বেশি তাই তারা ভালো বুঝে আর জানে। শুনুন আপনাদেরকেই বলছি, কাউকে কিছু বলার আগে বা কোনও বিষয় নিয়ে শিক্ষা দেয়ার আগে অন্তত একবার হলেও ভাবুন, এভাবে বলার অধিকার আপনার আছে কি না? কারণ আপনার সীমাবদ্ধতা আপনাকেই নির্ণয় করতে হবে। অন্যে সেটা কখনো ঠিক করে দিতে পারবে না। যেখানে আপনার মানসিকতা আর দৃষ্টিই যে ভালো না। তাহলে আপনাকে কেউ কীভাবে শিখাতে পারবে? ভাববেন না মেয়েদের যাই বলবেন, তাই তারা সবসময় মুখ বুঝে সহ্য করে নিবে বা মেনে নিবে। মনে রাখুন বন্ধুত্ব মানে সীমা লঙ্ঘন করা নয়? বন্ধুত্ব মানে বন্ধুর প্রতিটি কাজ সুন্দর ও ভালো মানসিকতায় দেখা, পজিটিভ মানসিকতায় ভালো চোখে তার দিকে তাকানো। একটা কথা নিশ্চয় জানেন, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। মানসিকতা মন্দ হলে সে আবার বন্ধু হয় কীভাবে? তেমন বন্ধু না থাকাই ভালো। মানসিকতা পরিবর্তন করুন আপনার আশপাশটা অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে আপনার চোখে।