রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ও লিচুবাগানের কয়েক টন বর্জ্য প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর মিশন ঘাট এলাকায়। এতে বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এর কাছেই রয়েছে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিায়ান হাসপাতাল। দুর্গন্ধের কারণে হাসপাতালের রোগীরাও রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এসব বর্জ্য পড়ছে নদীতে। এতে দূষণের কবলে পড়েছে কর্ণফুলী নদী।
সরেজমিন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ও লিচুবাগানের কমপক্ষে দুই হাজার দোকানের নানা বর্জ্য সুইপাররা রাতে ও দিনে যানবাহন যোগে খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে মিশন ঘাটে ফেলছে। নিয়মিত বর্জ্য ফেলার কারণে বড় ধরনের ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে মিশন ঘাট এলাকা। বর্জ্যের দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মিশন ঘাটে অবাধে বাজারের বর্জ্য ফেলা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধা দিচ্ছে না। এতে দিন দিন বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ছে। হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে মিশন ঘাটে বর্জ্য ফেলার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে রোগীদের। এছাড়া মিশন ঘাট দিয়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে রাইখালী পারাপার করেন প্রতিদিন শত শত মানুষ। বর্জ্যের দুর্গন্ধের কবলে রয়েছে তারাও।
পথচারী মাইচিং মার্মা জানান, এসব বর্জ্য কর্ণফুলীতে পড়ে নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। দুর্গন্ধে এ পথ দিয়ে চলাচল করতে পারি না।
এ বিষয়ে দোভাষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার জানান, বাজারের বর্জ্য মিশন ঘাটে যাতে আর ফেলা না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসপাতালের প্রধান পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং জানান, হাসপাতালের প্রধান গেটে এভাবে বর্জ্য ফেলা ঠিক হচ্ছে না। বর্জ্য থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধে নানা রোগ সৃষ্টি হবে। এসব বর্জ্যে শুধু হাসপাতাল নয়, পথচারীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি দূষণ হচ্ছে কর্ণফুলী নদী। তাই এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাজারে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার।
এবিষয়ে চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিছ আজগর জানান, কোনভাবেই এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলতে দেয়া হবে না। কর্ণফুলীকে দূষণের কবল থেকে রক্ষায়,পথচারী ও হাসপাতালের কথা বিবেচনা করে বাজার কমিটিকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। পরিষদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।