দূর হয়ে যাক ক্রান্তিকাল

| রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। আর শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের ঝুলিতে অনেক টাকা না থাকলে ও থাকে সম্মান আর ভালোবাসা। এটাই তাঁদের একমাত্র কাম্য। কিন্তু স্তম্ভিত হই, যখন এমন মহান পেশায় নিয়োজিত শিক্ষকদের অপমানিত, লাঞ্ছিত হতে হয়, তাঁদেরই হাতে গড়া সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের হাতে। ব্যক্তি হিসেবে একজন মানুষ ভুল, ত্রুটির উর্ধ্বে নয়, তাঁর দোষ থাকতে পারে, কিন্তু সেটা দেখার ও বিচারের জন্য তাঁর ঊর্র্ধ্বতন রয়েছেন। তাই বলে এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষকের এমন শারীরিক, মানসিক নির্যাতন শুধু বিবেকবর্জিত নয়, চরম ঘৃণ্য কাজ ও দেখতে হচ্ছে, এরই নাম কি স্বাধীনতা? যেসব শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষকদের জন্য লাঠি উঠে, সে লাঠির আঘাত কি ঘরে ফিরে তাদের বাবা মায়ের গায়ে তুলতে তাঁদের হাত কাঁপবে? আর কতদিন দেখতে হবে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের উপর এমন অত্যাচার, ব্যভিচার! প্রকৃতি আর কত সহ্য করবে অত্যাচারিত সমাজের নীরব কান্না? বিবেকবোধ, মানবতা, আর মনুষ্যত্বের আলোয় ঘুচে যাক অন্ধকার, বিশ্ববিবেক জাগ্রত হোক। সেরে উঠুক ক্রান্তিকাল।

সুইটি চৌধুরী পূর্বা

চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের স্বার্থের জন্য দৈনিক আজাদী আপসহীন
পরবর্তী নিবন্ধআজাদী ছিল, আজাদী আছে, আজাদী বেঁচে থাকবে হাজার বছর