দু বিভাগেই মাঝখানে ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গেছে

আফতাব আহমেদের কলাম

| বৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে স্বাভাবিক ভাবেই যেকোন দল চাপে থাকে। কিন্তু গতকাল বাংলাদেশ দল মোটেও চাপে ছিল না। বিশেষ করে বোলিং এবং ব্যাটিং দু বিভাগেই বাংলাদেশ শুরুটা করেছে দুর্দান্ত। কিন্তু মাঝখানে এসে হাতছাড়া হয়ে গেছে। বোলিংয়ে তাসকিন দারুন শুরু করার পর মাঝখানে শরীফুল আর হাসান মাহমুদ রান দিয়ে ফেলেছেন একটু বেশি। কিন্তু আবার শেষ দিকে এসে সেটা পুষিয়েও দিয়েছে। কিন্তু মাঝখানের সুযোগটাকে ভারত খুব ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছে। একই ভাবে ব্যাটিংয়েও এত সুন্দর শুরু বাংলাদেশ খুব কমই করতে পেরেছে। যেটা শান্ত এবং লিটন করে দিয়েছে। বিশেষ করে লিটন। চারদিক থেকে সবাই বলাবলি করছিল লিটনকে দিয়ে যেন ইনিংস ওপেন করানো হয়। কারণ সেটা তার জায়গা। সুযোগ পেয়ে লিটন সেটা দেখিয়ে দিল। কিন্তু এখানে মাঝখানে ব্যর্থ হলাম আমরা। বিশেষ করে সাকিব, আফিফ, রাব্বি, মোসাদ্দেক পারেনি তাদের দায়িত্বটা পালন করতে। এই জায়গা তাদের কেউ একজন একটু বড় ইনিংস খেলতে পারলে জয়টা আমরা পেতে পারতাম। যদিও শুরুর দিকে শান্তর আরেকটু পজেটিভ থাকা উচিত ছিল। যেহেতু লিটন খুব মারছে তখন একেবারেই দর্শক হয়ে না থেকে আরেকটু পজেটিভ ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল শান্তর। যেহেতু আগের ম্যাচে রান পেয়েছে তার আত্মবিশ্বাস ছিল। তার ২৫ বলে ২১ রানের ইনিংসটা হওয়া উচিত ছিল ২৫ বলে ৩০ কিংবা ৩৫ এ রকম।
বোলিংয়ে হয়তো আমরা মনে করতে পারি শরীফুলকে করানো ভুল ছিল কিনা? সেটা মোটেও ভুল ছিল না। যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনাকে পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলতেই হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো শরীফুল মার খেয়েছে বলে আমরা বলছি। পাঁচজন বোলার না থাকলে অধিনায়কের পক্ষে কাজ করাটা কঠিন হয়ে যায়। তবে একটা জায়গায় একটা পরিবর্তন আনা যেতো। সেটা হচ্ছে ইয়াসির আলি রাব্বির জায়গায় সৌম্যকে খেলানো যেতো। যেহেতু টুর্নামেন্টে একেবারেই খারাপ করেনি সৌম্য। বোলিংয়ে হাসান মাহমুদ দুটি উইকেট পেলেও রান একটু বেশি হয়ে গেছে। তবে সেটা আর একটু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ম্যাচটা অন্য রকম হতো। তবে ছোট খাটো কিছু ভুলের কথা বাদ দিলে ওভার অল ম্যাচটা ভালই খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটা ক্যাচ পড়েছে। যদিও সেগুলো বেশ কঠিন ছিল। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরকম সুযোগ গুলোকেও কাজে লাগাতে হবে। না হয় শেষে সেগুলো ভোগাবে। যেমনটি গতকাল আমরা ভুগেছি। ভারতের মত দলকে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৭ রানে বাধতে পারাটা বেশ কঠিন একটি কাজ। সেটা বাংলাদেশের বোলাররা করতে পেরেছে। অভিজ্ঞতাটা কি জিনিস সেটাও অবশ্য বিরাট কোহলি বুঝিয়ে দিয়েছে। যদিও বিরাটের মত ব্যাটসম্যান থাকা সত্বেও শেষ দুই ওভারে বেশ ভালই নিয়ন্ত্রণ করেছে বোলাররা। তবে ম্যাচে সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ে। সেখানে কেউ যদি একজন একটু দায়িত্ব নিতে পারতো তাহলে হয়তো ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম। তাই বলা যায় ব্যাটিং এবং বোলিং দু বিভাগেই মাঝখানের কয় ওভারে আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিকাত খুনের তিন কারণ
পরবর্তী নিবন্ধভূমি অধিগ্রহণের অতিরিক্ত মঞ্জুরির টাকা প্রদানের মেয়াদ একমাস বাড়ল