দুশ্চিন্তা নয়

সৈয়দা ফয়েজুন্নেছা ইফা | মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডিপ্রেশন শাব্দিক কারুকার্যটা এমনভাবে আমাদের মনে গেঁথে আছে, দেখলেই কেমন একটা মন খারাপের প্রবণতা আসে।

ডিপ্রেশন এর মারাত্মক রূপ বা এই বিষয়টি তখনই ভয়ংকর লাগে, যখনই খুব কাছের মানুষকে কিংবা নিজে এই ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে দেখি। আসলে ডিপ্রেশন টা কী?

সোজা সাপ্টা এক্কেবারে সাধারণ একজন কে বোঝানোর ভাষায় বলতে গেলে, বলতে হয়ডিপ্রেশন হলো হতাশা, নিয়মিত মন খারাপ হওয়া, ভালো না লাগা, ‘আমার কিচ্ছু ভাল লাগছে না’এর তাত্ত্বিক রূপ। আসলে আমরা অন্যদের কাছ থেকে কী চাই? একটু ভরসা দেয়া, পাশে থাকা।

আমাদের সব কিছু আছে তাও আমরা হতাশ হই কারণ যা আছে, তার মধ্যে আমরা যা খুঁজছি তা পাই না।

সময় যেমন বদলেছে আমাদের ইচ্ছে, চাওয়া পাওয়া বদলেছে, মন খারাপের কারণও বদলে গেছে। সব সময় অন্য কেউ যে হতাশার কারণ হচ্ছে তা কিন্তু না। কিছু কিছু সময় আমরা নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে ফেলে দিচ্ছি। অযাচিত চাওয়া পাওয়া, অতিরঞ্জিত আশা, চেষ্টা ছাড়াই ভালো কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের সুখ শান্তিগুলো নষ্ট করে দেয়।

সবচেয়ে বড় বাস্তবতা হলো আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না, কিংবা মেনে নিতে চাই না। আবার অনেকে যা মেনে নেয়া উচিত না, তা মেনে নিয়ে কষ্টের পরিমাণটা চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়, যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না।

শারীরিক নয়, মানসিকভাবে একাকীত্ব সব হতাশার মূল। মানসিকভাবে যুক্ত থাকুন পরিবার, বন্ধু, স্বজনদের সাথে। যিনি হতাশাগ্রস্ত তাকে মানসিকভাবে অনুভব করানো উচিত আপনি তার পাশে আছেন। অনেক সময় দেখা যায় ঘর ভর্তি মানুষ থাকার সত্ত্বেও মানসিকভাবে ভীষণ একা, তাঁর কথা শোনার, বলার কিংবা বোঝার কেউ নেই।

যারা হতাশ হয়ে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে, তাঁরা নিজেকে ভালোবাসুন, আপনি প্রচণ্ড ডিপ্রেসড তাহলে খুব দ্রুত যেকোন ভাবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যে পর্যায়েরই হোক না কেন, মন খারাপ কে বাড়তে দেবেন না। দুশ্চিন্তা কে প্রশ্রয় দেবেন না। সর্বশক্তিমান এর উপর অটুট বিশ্বাস রাখুন, তিনিই আপনাকে পথ দেখাবেন।

.

পূর্ববর্তী নিবন্ধইতিবাচক মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি
পরবর্তী নিবন্ধবরেণ্য চিকিৎসক প্রফেসর এম এ তাহের খান স্মরণে