দুর্যোগ মোকাবেলায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে

চট্টগ্রামে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ জুন, ২০২৩ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, দেশকে দুর্যোগ সহনশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি করেছে। তবে এখানে থেমে থাকলে হবে না। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের আরো কাজ করার রয়েছে। আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কখন, কোথায়, কিভাবে দুর্যোগ আসবে, তা অনেক ক্ষেত্রেই জানার উপায় নেই। গতকাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভূমিকম্প থেকে জানমাল রক্ষায় ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে পাকা বিল্ডিং ও মার্কেট নির্মাণ করতে হবে। পাকা স্থাপনার চর্তুদিকে চলাচলের জায়গা, অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ওয়াটার হাইড্রেন্ট ও ফায়ার ইস্টিংগুইসার রাখতে হবে। দুর্যোগ প্রতিরোধে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি বলেও জানান তিনি। মহাপরিচালক বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়কে ঘিরে সরকারের দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দুর্যোগমুক্ত হবে দেশ। বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সরওয়ার, প্রকল্প পরিচালক (ইউআরপিডিডিএম পার্ট) . এটিএম মাহবুবউল করিম (যুগ্ম সচিব) ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) প্রবীর কুমার রায়। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. আনোয়ার পাশা। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম, সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের প্রতিনিধি লে. তাকিউল আহসান, ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আবদুল হালিম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কেএম জুলফিকার তারেক ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহিনা সুলতানা। সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদীভাঙন বাড়ছে। সময়ে বৃষ্টি না হয়ে অসময়ে হচ্ছে। বাড়ছে খরা। এসব কারণে ফসলের উৎপাদন কমছে। টেকসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘বৃদ্ধাশ্রমে কোনো বাবা মায়ের স্থান হোক সেটা কখনো কাম্য নয়’
পরবর্তী নিবন্ধছনহরায় আ. লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন