জনসংখ্যার অতিমাত্রায় ঘনত্ব, শহরে জনসংখ্যার চাপ, ভৌগোলিক অবস্থান ও বাস্তবতা ইত্যাদি বিবেচনায় যে কোনো ধরনের ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবেলায় জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের সাথে জড়িত সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনের কথা বলেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ। গতকাল রেডিসন ব্লু হোটেলে ভূমিকম্পের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ের উপর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং ইউনাইটেড ন্যাশান্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের যৌথভাবে আয়োজিত একটি কর্মশালা ও মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চউক’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্। উপস্থিত ছিলেন চউক’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এম হাবিবুর রহমান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ও ইউনাইটেড ন্যাশান্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের কনসালটেন্ট আতিকুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন চউকের কর্মকর্তারা, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি ইনচার্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের উপ–পরিচালক, চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ, আইইবি, বিআইপি ও আইএবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা, এবং চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আতিকুল হক। ভূমিকম্প দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের নিমিত্তে সামগ্রিক পর্যালোচনা, সকলের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা এবং ভূমিকম্প রোধে স্বেচ্ছাসেবক প্রস্ততকরণের প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এরপর ভূমিকম্প বিষয়ক বাংলাদেশের অবস্থান, ঝুঁকি এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের উপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ন্যাশান্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট কামাল হোসেন। শেষে ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগকে পরিকল্পিত উপায়ে মোকাবেলা করতে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত দিক–নির্দেশনা ও অভিমতকে ধন্যবাদ জানান সভার সভাপতি।











