বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর কারণে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলসহ চট্টগ্রামের দিকে এসব মেঘ চলে এসেছে। যার প্রভাবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও দুয়েকদিন চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং চট্টগ্রাম নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসানাৎ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাওয়াদ এখন দুর্বল অবস্থায় পতিত হচ্ছে। যে কারণে ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের শনিবার সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সাথে অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১২-১৫ কি. মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩০-৪০ কি. মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.০ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শনিবারের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কঙবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৫ কি. মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কি.মি. দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসহ হতে পারে। এ সময় চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থারনত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।











