মানসম্মত শিক্ষার পূর্বশর্ত টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা। অথচ সেখানেই চলছে অভিনব এক প্রক্রিয়া। দুষ্টজাল কখনোই সমৃদ্ধির আশা করতে পারে না। একটা দেশের উন্নয়ন বলতে আমরা স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার উন্নতির দিকটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি।কিন্তু মানুষের জীবন বা সমাজের উন্নতি কেবল অর্থনীতির মাপকাঠি দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়। একটা দেশের উন্নয়নের অংশ হিসেবে সমাজের নৈতিক মূল্যবোধেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। অথচ নৈতিক আদর্শে থেকেও যে বা যারা অসদুপায় অবলম্বন করে তাদের শিক্ষা নিয়ে সত্যিই আমি সন্দিহান। এদের দ্বারা দেশ গঠন কতটা উন্নত হবে ভাবতে বড় অবাক লাগে। গত কয়েক অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, যদিও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। শিক্ষায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মান বাড়ছে কি না সেটা আজও আমাদের অজানাতেই পড়ে রয়। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায় দেশের মেগা উন্নয়নে আমরা গর্ব করি। আমাদের দেশ অতীতের তুলনায় বর্তমানে বহুগুণ এগিয়ে। অথচ এই সোনার বাংলাদেশ এখন যেন ঘাতকের হাতের মজার সাম্রাজ্য। যেখানে কোন শাসন নেই, বাধাহীনভাবে নিজ কার্য অনায়াসে হাসিল করছে প্রতিনিয়ত। যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে হারিয়ে যাবে সোনার দেশের সঠিক মানুষগুলো। সামান্য পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রশ্নপত্র আমরা সামলে রাখতে পারিনা তবে কিসে আমাদের অহংকার বলতে পারেন! যোগ্য নেতৃত্বের অভাবেই তো আমাদের আজ পদে পদে ভুগতে হয়। অনিয়মের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বিশেষ করে শিক্ষায় অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ার মতো। যেমন–পরীক্ষার হলে নকলের মহড়া। বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস। সমপ্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নেওয়া বিসিএসের ক্যাডার এবং নন–ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথায় সে সবের সমাধান? এ বিষয়ে কেন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না? প্রশ্ন ফাঁস হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা বাদ দিতে হবে এবং তদন্ত করে জড়িতদের কঠোর বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।