দুর্নীতি দমনে নৈতিক শিক্ষা চাই

| বুধবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

শাস্তির অপ্রতুলতা দুর্নীতি বৃদ্ধিতে অতি সহায়ক। ইদানীং দুর্নীতিবাজরা সীমাহীন দুর্নীতি করলেও কঠোর শাস্তি প্রদানের কোনো নজির নেই, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে দুর্নীতি দমন যে আদৌ সম্ভব নয়, সে কথা সরকারের উপলব্ধি করা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি। উপযুক্ত শিক্ষা জাতির সুষ্ঠু মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি বাংলাদেশে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বাজেটের একটি বৃহৎ অংশ এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এবং এজন্য সরকার দেশে-বিদেশে সুনাম কুড়াচ্ছেন। তারপরও প্রচলিত শিক্ষায় জাতির মধ্যে কতটা ন্যায়বোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত হচ্ছে, তা ভেবে দেখার বিষয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় জীবনকে উপভোগ করা যায়, কিন্তু মানসিক অস্থিরতা দূর করা যায় না। অবৈধ অর্থ দ্বারা জীবনকে ক্ষণিকের জন্য বিলাসিতায় পূর্ণ করা যেতে পারে, কিন্তু প্রকৃত সুখ যে সেখানে অনুপস্থিত, সে কথা উপলব্ধি করা দরকার। সুখ অর্থের বিনিময়ে ক্রয়ের বিষয় নয়। মানসিক প্রশান্তির নাম সুখ। যারা সৎ জীবন-যাপন করেন, জনহিতার্থে নিজেকে নিয়োজিত করেন, অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে পারেন, তারাই জীবনে প্রকৃত সুখ আস্বাদন করতে সক্ষম হন। এজন্যই মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়ার মতো মানব প্রেমিকেরা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেয়েছিলেন। সন্তানের প্রকৃত শিক্ষা প্রদানের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দকার। সন্তানদের ধর্মীয় অনুশাসন, নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে তা দুর্নীতি দমনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।
তারেক আল মুনতাছির
শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ
ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ,চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারামন বিবি বীর প্রতীক : এক সাহসী নারীর পথিকৃৎ
পরবর্তী নিবন্ধবিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস