নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো কাজ করছে সর্বত্র। আমার পূর্বসূরিরা যেভাবে চেষ্টা করেছেন, সহকর্মীদের নিয়ে একইভাবে আমি চেষ্টা করব এই দুর্নীতি যাতে কমানো যায়, সে উদ্যোগ নিতে।
গতকাল বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ কথা বলেন। আইনজীবীদের নিয়ে নতুন এ প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকেরা বিচারকের কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মতো করেই। আমি শুধু একটি কথা বলব, যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন বা যেসব আইনজীবী বন্ধু রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, তারা রাজনীতিটা করুন। কিন্তু কোর্টের মধ্যে, আদালতে তারা যেন সহনশীলতার পরিচয় দেন। তারা যেন একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। খবর বাংলানিউজের।
মামলাজট নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমাদের মামলাজট বা মামলার দীর্ঘসূত্রতা একটি পুরোনো ব্যাধি। এই ব্যাধি যাতে দীর্ঘস্থায়ী না হয়ে যায়, সেই চেষ্টা করব আমি। শপথ নেওয়ার পর এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পূর্বসূরিদের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করব। বিচার বিভাগের গতিশীলতা নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, চেষ্টা করব, এই বিচার বিভাগকে আরও একটু গতিশীল করা যায় কি না। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ এবং অধস্তন আদালতে আমাদের যেসব সহকর্মী আছেন, সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা প্রত্যেকেই যেন এই বিচার বিভাগের কাজটি, বিচারের কাজটি নিজের কাজ মনে করেন। সেটি মনে করলেই শুধু সম্ভব হবে। যে পাঁচটি মামলা আমরা নিষ্পত্তি করতে পারি, এটি নিজের কাজ মনে করে করলে পাঁচ থেকে সাতটি হবে। নিষ্পত্তির সংখ্যাটা যদি আমরা বৃদ্ধি করতে পারি, তাহলে মামলাজট অনেকাংশেই কমে যাবে। আশা করি সেটি কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।
আস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আস্থার ঘাটতি সর্বত্রই আছে। বিচার বিভাগের ওপর আস্থার ঘাটতি নেই, এ কথা আমি বলব না। মামলা নিষ্পত্তির হার দিনের পর দিন বাড়ছে। মানুষের যদি আস্থাই না থাকবে, মানুষ কোর্টে আসবেন কেন? আস্থা আছে বলেই মানুষ কোর্টে আসেন। আস্থা শতভাগ আছে, এ কথা আমি বলতে পারব না। আস্থা নেই, এ কথা বলতে আমি রাজি নই, আস্থা আছে। আস্থার হয়তো কিছু কমতি আছে। ধীরে ধীরে আমাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সহযোগিতা নিয়ে এই আস্থা বাড়াতে চেষ্টা করব।












