সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কঠিন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। পতিত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও পাচার করা অর্থের নথিপত্র নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন লাগিয়েছে প্রেতাত্মারা। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল শনিবার সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের আটপুনিয়া গ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের একজন মুখ্যসচিব অনেক টাকা পাচার করেছেন। সচিবালয়ে যেসব ফাইল পুড়ে গেছে তার মধ্যে মুখ্যসচিবের ফাইলটিও ছিল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশে পরাজিত স্বৈরাচারের অনেক দোসররা রয়েছেন। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় এখনো রয়েছেন তারা। সব ক্ষেত্রে তো পরিবর্তন হয়নি এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে আছেন। তারা কোথায় কি নাশকতা, কোথায় কি চক্রান্ত করছেন, তার কোনো ঠিক নেই। এসব ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ও দেশকে স্থিতিশীল রাখতে গিয়ে জীবন দিতে হচ্ছে নয়নের মতো ছেলেদের। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরে জীবন দিয়েছে নয়ন। সেও রংপুরের ছেলে। শুধু একটি শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিতে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামনে অনেক কাজ করতে হবে। তা না দেশ টিকবে না। দেশের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা পারবে না। সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত ফায়ার ফাইটার সোয়ানুর জামান নয়নের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, একমাত্র ছেলে হারানো অসহায় নিঃস্ব নয়নের মা–বাবা–বোনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। নয়নের মাস্টার্স পড়ুয়া বড় বোন সীমা আকতারকে আগামী এক মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে।
রিজভী মিঠাপুকুরের বড়বালা ইউনিয়নের আট পুনিয়া গ্রামে নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের বাড়িতে যান তিনি। পরে তার কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।